রবিবার, ১ জুন, ২০১৪

তালাক অধ্যায়


পরিচ্ছেদ : ০০০০/ মহান আল্লাহ্র বাণীঃ হে নবী! তোমরা যখন তোমাদের স্ত্রীগণকে তালাক দিতে ইচ্ছা কর তখন ইদ্দতের প্রতি লক্ষ্য রেখে তাদের তালাক দিবে । সুন্নাত তালাক হলো, পবিত্রকালীন সময়ে সহবাস না করে স্ত্রীকে তালাক দেওয়া এবং দুজন সাক্ষী রাখা ।  -
পরিচ্ছেদ : ২০৪১/ হায়েয অবস্থায় তালাক দিলে তা তালাক হিসেবে পরিগণিত হবে । -
পরিচ্ছেদ : ২০৪২/ তালাক দেওয়ার সময় স্বামী কি তার স্ত্রীর সামনা সামনি হয়ে তালাক দিবে? -
পরিচ্ছেদ : ২০৪৩/ যারা তিন তালাককে জায়েয মনে করে । যেমন মহান অল্লাহ্র বাণীঃ এই তালাক দুবার, এরপর হয় সে বিধিমত রেখে দিবে অথবা সদয়ভাবে মুক্ত করে দিবে । (২:২২৯) ইব্ন যুবায়র (রাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি অসুস্থ অবস্থায় তালাক দেয় তার তিন তালাক প্রাপ্তা স্ত্রী ওয়ারিস হবে বলে আমি মনে করি না । শা‘বী (রঃ) বলেন ওয়ারিস হবে । ইব্ন শুবরূমা জিজ্ঞাসা করলেনঃ ইদ্দত শেষ হওয়ার পর সে মহিলা অন্যত্র বিবাহ করতে পারবে কি? তিনি উত্তর দিলেন, হ্যা । ইব্ন শুবরূমা পুনরায় জিজ্ঞাসা করলেনঃ যদি দ্বিতীয় স্বামীও মারা যায় তাহলে? (অর্থা আপনার মতানুযায়ী উক্ত স্ত্রীর উভয় স্বামীর ওয়ারিস হওয়া জরূরী হয়) এরপর শা‘বী (রঃ) তার পূর্ব মত পত্যাহার করেন । -
পরিচ্ছেদ : ২০৪৪/ যে ব্যক্তি তার স্ত্রীদেরকে ইখতিয়ার দিল । মহান আল্লাহ্র বাণীঃ হে নবী! আপনি আপনার সহধর্মিণীদের বলুন, “তোমরা যদি পার্থিব জীবন ও তার ভূষণ কামনা কর, তবে এস আমি তোমাদের ভোগ সামগ্রীর ব্যবস্থা করে দেই এবং সৌজন্যের সাথে তোমাদেরকে বিদায় করে দেই” । -
পরিচ্ছেদ : ২০৪৫/ যে (তার স্ত্রীকে) বলল, ‘আমি তোমাকে পৃথক করলাম’ বা ‘আমি তোমাকে বিদায় দিলাম’ বা ‘তুমি মুক্ত বা বন্ধনহীন’ অথবা এমন কোন বাক্য উচ্চারণ করল যা দ্বারা তালাক উদ্দেশ্য হয় । তবে তা তার নিয়্যাতের উপর নির্ভর করবে । মহান আল্লাহ্র বাণীঃ “তাদের কে সৌজন্যের সাথে বিদায় দাও ।” তিনি আরও বলেনঃ আমি তোমাদেরকে সৌজন্যের সাথে বিদায় দিচ্ছি । আরও বলেন – হয়ত বৈধ পন্থায় ফিরিয়ে রাখবে নতুবা উত্তম রূপে ছেড়ে দিবে ।” আরও বলেন, তাদেরকে সৌজন্যের সাথে বিচ্ছিন্ন করে দাও । আর হযরত আয়িশা (রাঃ) বলেনঃ নবী (সাঃ) জানতেন আমার মা-বাবা আমাকে তাঁর সাথে সম্পর্কচ্ছেদের আদেশ দিবেন না । - ও
পরিচ্ছেদ : ২০৪৬/ যে ব্যক্তি তার স্ত্রীকে বলল – “তুমি আমার জন্য হারাম ।” হাসান (রঃ) বলেন, তবে তা তার নিয়্যাত অনুযায়ী হবে । আলিমগণ বলেন, যদি কেউ তার স্ত্রীকে তিন তালাক দেয়, তবে সে স্ত্রী তার জন্য হারাম হয়ে যাবে । তারা এটাকে হারাম আখ্যায়িত করেছেন, যা তালাক বা বিচ্ছেদ দ্বারা সম্পন্ন হয় । তবে এ হারাম তেমন নয়, যেমন কেউ খাদ্যকে হারাম ঘোষণা করল, কেননা হালাল খাদ্যকে হারাম বলা যায় না । কিন্ত তালাক প্রাপ্তাকে হারাম বলা যায় । আবার তিন তালাক প্রাপ্তা সম্পর্কে বলেছেন, সে (স্ত্রী) অন্য স্বামীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া ছাড়া প্রথম স্বামীর জন্য বৈধ হবে না । লায়স (রঃ) নাফি থেকে বর্ণনা করেছেন যে, ইব্ন উমর (রা্ঃ) কে তিন তালাক প্রদানকারী সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলতেনঃ যদি তুমি এক বা দুই দিতে । কেননা নবী (সাঃ) আমাকে এরূপ করার নির্দেশ দিয়েছেন । তাই কেউ স্ত্রীকে তিন তালাক দিলে তার জন্য সে হারাম হয়ে যাবে, যতক্ষণ না সে (স্ত্রী) অন্যত্র বিবাহ করে । -
পরিচ্ছেদ : ২০৪৭/ (মহান আল্লাহ্র বাণীঃ) এমন বস্তুকে আপনি কেন হারাম করছেন যা আল্লাহ্ আপনার জন্য হালাল করে দিয়েছেন ? -
পরিচ্ছেদ : ২০৪৮/ বিবাহের পূর্বে তালাক নেই । মহান আল্লাহ্র বাণীঃ হে মু‘মিনগণ! তোমরা যখন কোন মু‘মিন রমণীকে বিবাহ কর এবং সংগমের পূর্বেই তালাক দাও, তখন তোমাদের জন্য তাদেরকে কোন ইদ্দত পালন করতে হবে না । সুতরাং তাদেরকে কিছু সম্মানী দিয়ে সৌজন্যের সাথে বিদায় দাও । ইব্ন আব্বাস (রাঃ) বলেনঃ (এ আয়াতে) আল্লাহ্ তা‘আলা বিবাহের পরে তালাকের কথা উল্লেখ করেছেন । এ ব্যাপারে হযরত আলী (রাঃ), সাঈদ ইব্ন মুসায়্যেব (রঃ), উরওয়া ইব্ন যুবায়র (রঃ) প্রমুখ থেকেও বর্ণিত আছে যে, বিবাহের পূর্বে তালাক বর্তায় না । - ও
পরিচ্ছেদ : ২০৪৯/ বিশেষ কারণে স্বীয় স্ত্রীকে যদি কেউ বোন বলে পরিচয় দেয়, তাতে কিছু হবে না । নবী (সাঃ) বলেনঃ ইব্রাহীম (আঃ) (এক সময়) স্বীয় সহধর্মিণী সারাকে লক্ষ্য করে বলেছেন, এটি আমার বোন । আর তা ছিল দ্বীনী সম্পর্কের সূত্রে । - ও
পরিচ্ছেদ : ২০৫০/ বাদ্য হয়ে, মাতাল ও পাগল অবস্থায় তালাক দেওয়া এবং এতদুভয়ের বিধান সম্বদ্ধে । ভুলবশতঃ তালাক দেওয়া এবং শিরক ইত্যাদি সম্বদ্ধে । (এসব নিয়্যাতের উপর নির্ভরশীল) । কেননা নবী (সাঃ) বলেছেনঃ প্রতিটি কাজ নিয়্যাত অনুসারে বিবেচিত হয় । প্রত্যেকে তাই পায়, যার সে নিয়্যাত করে । পাঠ করেন “হে আমাদের প্রতিপালক, আমরা যদি ভুল- ভ্রান্তি বশথঃ কোন কাজ করে ফেলি, তবে সে জন্য আপনি আমাদেরকে পাকড়াও করবেন না ।” ওয়াসওয়াসা সম্পন্ন ব্যক্তির স্বীকারোক্তিতে যা দুরস্ত হয় না । স্বীয় যিনার কথা স্বীকারকারী জনৈক ব্যক্তিকে নবী (সাঃ) বলেছিলেনঃ তুমি কি পাগল হয়েছ ? হযরত আলী (রাঃ) বলেন, হামযা (রাঃ) আমার দুটি উটনীর পার্শ্বদেশ ফেঁড়ে পেললে, নবী (সাঃ) হামযাকে তিরস্কার করতে থাকেন । হঠা দেখা গেল নেশায় হামযার চক্ষুযুগল রক্তিম হয়ে গেছে ।৥ এরপর হামযা(রাঃ) বললেন, তোমরা তো আমার বাবার গোলাম বৈ নও । তখন নবী (সাঃ) বুঝতে পারলেন, তিনি নেশাগ্রস্থ হয়েছেন । তিনি সেখান থেকে বেরিয়ে এলেন আমরাও তাঁর সাথে বেরিয়ে এলাম । হযরত উসমান (রাঃ) বলেনঃ পাগল ও নেশাগস্থে ব্যক্তির তালাক প্রযোজ্য হয় না । হযরত ইব্ন আব্বাস (রাঃ) নেশাগ্রস্থ ও বাধ্য হয়ে তালাক দানকারীর তালাক জায়েজ নয় । উকবা ইব্ন আমির (রাঃ) বলেন, ওয়াসওয়াসা সম্পন্ন (সন্দেহের বাতিকগ্রস্ত) ব্যক্তির তালাক কার্যকর হয়না । আতা (রঃ) বলেন, তালাক শর্ত যুক্ত করে তালাক দিলেশর্ত পাওয়ার পরই তালাক হবে । নাফি (রঃ) জিজ্ঞেস করলেন, ঘর থেকে বের হওয়ার শর্তে স্বীয় স্ত্রীকে জনৈক ব্যক্তি তালাক দিল- (এর হুকুম কি) ? ইব্ন উমর (রঃ) বললেনঃ যদি সে মহিলা ঘর থেকে বের হয়, তাহলে সে তিন তালাকপ্রাপ্তা হবে । আর যদি বের না হয়, তাহলে কিছুই হবে না । যুহরী (রঃ) বলেন, যে ব্যক্তি বললঃ যদি আমি এরূপ না করি, তবে আমার স্ত্রীর প্রতি তিন তালাক প্রযোজ্য হবে ।তার সম্বন্ধে যুহরী (রঃ) বলেন, উক্ত ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসা করা হবে, শপথ কালে তার ইচ্ছা কি ছিল ? যদি সে ইচ্ছাকৃত সময়সীমা নির্ধারন করে থাকে এবং শপথ কালে তার এ ধরনের নিয়্যাত থাকে, তাহলে এবিষয়কে তার দ্বীন ও আমানতের উপর ন্যস্ত করা হবে । ইব্রাহীম (রঃ) বলেন, যদি সে বলে, তোমাকে আমার কোন প্রয়োজন নেই, তবে তার নিয়্যাত অনুসারে কাজ হবে । আর প্রত্যেক সম্প্রদায়ের লোক তাদের নিজস্ব ভাষায় তালাক দিতে পারে । কাতাদা (রঃ) বলেনঃ যদি কেউ বলে তুমি গর্ভবতী হলে, তোমার প্রতি তিন, তালাক । তাহলে সে প্রত্যেক তুহরে স্ত্রীর সাথে একবার সংগম করবে । যখন গর্ভ প্রকাশ পাবে, তক্ষণা সে স্বামী থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে । হাসান (রঃ) বলেন, যদি কেউ বলে, তুমি তোমার পরিবারের কাছে চলে যাও, তবে তার নিয়্যাত অনুযায়ী কাজ হবে । হযরত ইব্ন আব্বাস (রাঃ) বলেনঃ প্রয়োজনের তাগিদে তালাক দেওয়া যায় । আর দাসমুক্তি আল্লাহ্র সন্তষ্টির উদ্দেশ্যে থাকলেই করা যায় । যুহরী (রঃ) বলেন, যদি কেউ বলেঃ তুমি আমার স্ত্রী নও, তবে তালাক হওয়া বা না হওয়া নিয়্যাতের উপর নির্ভর করবে । যদি সে তালাকের নিয়্যাত করে থাকে, তবে তাই হবে । হযরত আলী (রাঃ) (উমর (রাঃ) কে সম্বোধন করে) বলেনঃ আপনি কি অবগত নন যে, তিন ধরনের লোক থেকে কসম তুলে নেওয়া হয়েছে । এক, পাগল ব্যক্তি, যতক্ষণ না সে হুশ ফিরে পায় । দুই, শিশু যতক্ষণ না সে বালেগ হয় । তিন, ঘুমন্ত ব্যক্তি যতক্ষণ না সে জাগ্রত হয় । হযরত আলী (রঃ) আরও বলেনঃ পাগল লোক ব্যতীত অন্য সকলের তালাক কার্যকর হয় । -
পরিচ্ছেদ : ২০৫১/ খুলার বর্ণনা এবং তালাক হওয়ার নিয়ম । মহান আল্লাহ্র বাণীঃ “তোমরা নারীদের যা দিয়েছ তা থেকে কিছু গ্রহণ করা তোমাদের জন্য হালাল হবে না .. .. .. .. অত্যাচারী পর্যন্ত”। হযরত উমর (রাঃ) কাজীর অনুমতি ছাড়া খুলা কে বৈধ বলেছেন । হযরত উসমান (রাঃ) মাথার বেনী ছাড়া অন্য সব কিছুর পরিবর্তে খুলা করার অনুমতি দিয়েছেন । তাউস (রঃ) বলেন, যদি তারা উভয় আল্লাহ্র সীমা ঠিক না রাখতে পারার আশংকা করে অর্থা সংসার জীবনে তাদের প্রত্যেকের উপর যে দায়িত্ব আল্লাহ্ অর্পণ করেছেন সে ব্যাপারে তিনি বোকাদের মাঝে একথা বলেন নি যে, খুলা ততক্ষণ বৈধ হবে না, যতক্ষণ না মহিলা তাকে সহবাস থেকে বাধা দিবে । -
পরিচ্ছেদ : ২০৫২/ স্বামী-স্ত্রীর দ্বন্ধ ক্ষতির আশংকায় খুলার প্রতি ইঙ্গিত করতে পারে কি ? মহান আল্লাহ্র বাণীঃ “যদি তোমরা তাদের উভয়ের মধ্যে বিরোধের আশংকা কর, তবে উভয়ের পরিবারের পক্ষ থেকে একজন করে সালিশ নিযুক্ত কর । যদি তারা ইভয়ে সংশোধন হতে চায়, তবে আল্লাহ্ তাদের জন্য সে উপায় বের করে দিবেন । নিঃসন্দেহে আল্লাহ্ সর্ব বিষয়ে অবহিত এবং তিনি সব কিছুর খবর রাখেন ।” (৪:৩৫) -
পরিচ্ছেদ : ২০৫৩/ কিক্রয়ের কারণে দাসী তালাক হয় না । -
পরিচ্ছেদ : ২০৫৪/ দাসী স্ত্রী আযাদ হওয়ার পরে গোলাম স্বামীর সাথে থাকা বা না থাকার ইখতিয়ার । -
পরিচ্ছেদ : ২০৫৫/ বারীরার স্বামীর ব্যাপারে নবী (সাঃ) এর সুপারিশ । -
পরিচ্ছেদ : ২০৫৬/  -
পরিচ্ছেদ : ২০৫৭/ মহান আল্লাহ্র বাণীঃ তোমরা মুশরিক মহিলাদেরকে বিয়ে করো না যে পর্যন্ত তারা ইমান আনে । নিঃসন্দেহে একজন ইমানদার দাসী একজন একজন মুশরিক মহিলা উপেক্ষা উত্তম । যদি সে তোমাদের কাছে ভালও মনে হয় । -
পরিচ্ছেদ : ২০৫৮/ মুশরিক নারী মুসলমান হলে তার বিবাহ ও ইদ্দত । -
পরিচ্ছেদ : ২০৫৯/ যিম্মি বা হরবীর কোন মুশরিক বা খৃস্টান স্ত্রী যদি ইসলাম গ্রহণ করে । আব্দুল ওয়ারি (রঃ) . . . ইব্ন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, যদি কোন খৃস্টান নারী তার স্বামীর পূর্বে ইসলাম গ্রহণ করে, তবে উক্ত মহিলা তার জন্য হারাম হয়ে যায় । দাউদ (রঃ) ইব্রাহীম সায়েগ (রঃ) থেকে বর্ণনা করেন, আতা (রঃ) কে জিজ্ঞাসা করা হল, চুক্তিবদ্ধ কোন হরবীর স্ত্রী যদি ইসলাম গ্রহণ করে এবং ইদ্দতের মধ্যেই তার স্বামীও ইসলাম গ্রহণ করে, তবে কি মহিলা তার স্ত্রী থাকবে ? তিনি উত্তর দিলেঃ না । তবে সে মহিলা যদি নতুন ভাবে বিবাহ ও মোহরে সম্মত হয় । মুজাহিদ (রঃ) বলেন, মহিলার ইদ্দতের মধ্যে স্বামী মুসলমান হলে সে তাকে বিবাহ করে নিবে । আল্লাহ্ তা‘আলা বলেছেনঃ না তারা কাফিরদের জন্য হালাল, আর না কাফিরেরা তাদের জন্য হালাল । অগ্নি উপাসক স্বামী-স্ত্রী মুসলমান হলে কাতাদা ও হাসান (রঃ) তাদের সম্বন্ধে বলেন, তাদের পূর্ব বিবাহ বলব থাকবে । আর যদি তাদের কেউ আগে ইসলাম কবূল করে, আর অন্যজন অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করে, তবে মহিলা তার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে । স্বামীর জন্য তাকে গ্রহল করার কোন পথই থাকবে না । ইব্ন জুরায়জ (রঃ) বলেন, আমি আতা (রঃ) কে জিজ্ঞাসা করলামঃ মুশরিকদের কোন মহিলা যদি ইসলাম গ্রহণ করে মুসলমানদের নিকট চলে আসে, তাহলে তার স্বামী কি তার নিকট থেকে বিনিময় গ্রহণ করতে পারবে ? আল্লাহ্ তা‘আলা বলেছেনঃ “তারা যা ব্যয় করেছে তোমরা তাদেরকে তা দিয়ে দাও ।” তিনি উত্তর দিলেন, না । এ আদেশ কেবল নবী (সাঃ) ও জিম্মীদের মধ্যে ছিল । (মুশরিকদের বেলায় এটা প্রযোজ্য নয় ।) মুজাহিদ (রঃ) বলেনঃ এসব ছিল সে সন্ধির ক্ষেত্রে যা নবী (সাঃ) ও কুরাইশদের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়েছিল । -
পরিচ্ছেদ : ২০৬০/ মহান আল্লাহ্ এর বাণীঃ “যারা স্বীয় স্ত্রীদের সাথে সংযত না হওয়ার শপথ করে, তারা চার মাস অপেক্ষা করবে । এরপর যদি তারা প্রত্যাগত হয় তবে আল্লাহ্ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু । আর যদি তারা তালাক দেওয়ার সংকল্প করে, তবেও আল্লাহ্ সবাকছু শুনেন ও জানেন ।” (২:২২৬ ও ২২৭) -
পরিচ্ছেদ : ২০৬১/ নিরূদ্দিষ্ট ব্যাক্তির পরিবার ও তার সম্পদের বিধান । ইব্ন মুসাইয়্যাব (রঃ) বলেন, যুদোধর ব্যূহ থেকে কোন ব্যাক্তি নিখোঁজ হলে এক বছর অপেক্ষা করবে । ইব্ন মাসউদ (রাঃ) একটি দাসী ক্রয় করে এক বছর পর্যন্ত তার মালিককে খুঁজলেন (মূল্য পরিশোধ করার জন্য) । তিনি তাকে পেলেন না, সে নিখোঁজ হয়ে যায় । তবশেষে তিনি এক দিরহাম, দুই দিরহাম করে দান করতেন এবং বলতেনঃ হে আল্লাহ্! এটা অমুকের পক্ষ থেকে দিচ্ছি । যদি মালিক এসে যায়, তবে এর সওয়াব আমি পাব, আর তার টাকা পরিশোধ করার দায়িত্ব হবে আমার । তিনি বলেনঃ হারানো প্রাপ্তির ব্যাপারেও তোমরা এরূপ কাজ করবে । হযরত ইব্ন মাসউদ (রাঃ) ও এরূপ মত ব্যক্ত করেছেন । ঠিকানা জানা আছে এরূপ কয়েদী সম্বন্ধে হযরত যুহরী (রঃ) বলেনঃ তার স্ত্রী অন্যত্র বিয়ে বসতে পারবে না এবং তার সম্পদ ও বন্টন করা হবে না । তবে তার খবরাখবর সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে গেলে, তার ব্যাপারে নিখোঁজ ব্যাক্তির বিধান কার্যকর হবে । -
পরিচ্ছেদ : ২০৬২/ যিহার । (আল।লাহ বলেছেনঃ) আল্লাহ্ শুনতে পেয়েছেন সেই মহিলাটির কথা যে, তার স্বামীর ব্যাপারে তোমার সাথে বিতর্ক করে – থেকে – আর যে ব্যাক্তি এতে সক্ষম হবে না, সে যেন ষাটজন মিসকীন কে খাবার দেয় পর্যন্ত । (হযরত বুখারী (রঃ) বলেন): ইসমাঈল আমাকে বলেছেন, হযরত মালিক (রঃ) তাঁর কাছে হাদীস বর্ণনা করেছেন যে, তিনি ইব্ন শিহাব কে গোলামের যিহার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলেন । উত্তরে তিনি বললেনঃ আযাদ ব্যাক্তির অনুরূপ । হযরত মালিক (রঃ) বলেনঃ গোলাম ব্যক্তি দু‘মাস রোযা রাখবে । হাসান বলেনঃ আযাদ মহিলা বা বাঁদীর সাথে আযাদ পুরূষ বা গোলামের যিহার একই রকম । ইকরামা বলেনঃ বাঁদীর সাথে যিহার করলে কিছু হবে না । যিহার তো কেবল আযাদ রমণীর সাথেই হতে পারে । - ও
পরিচ্ছেদ : ২০৬৩/ ইশারার মাধ্যমে তালাক বা অন্যান্য কাজ । হযরত ইব্ন উমর (রাঃ) বলেন, নবী (সাঃ) বলেছেনঃ আল্লাহ্ চোখের পানির জন্য শাস্তি দিবেন না, তবে শাস্তি দিবেন এটার জন্য এই বলে তিনি মুখের প্রতি ইংগিত করলেন । হযরত কা‘ব ইব্ন মালিক (রঃ) বলেন, নবী (সাঃ) আমার প্রতি ইশারা করে বললেনঃ অর্ধেক লও । হযরত আসমা (রাঃ০ বলেন, নবী (সাঃ) সূর্যগ্রহলের সালাত আদায় করেন । হযরত আয়িশা (রাঃ) সালাত আদায় করছিলেন । এমতাবস্থায় আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলাম ব্যাপার কি ? তিনি তাঁর মাথা দ্বারা সূর্যেএর প্রতি ইশারা করলেন । আমি বললামঃ কোন নিদর্শন নাকি ? তিনি মাথা নেড়ে বললেনঃ জি হ্যাঁ । হযরত আনাস (রাঃ) বলেন, নবী (সাঃ) তাঁর হাত দ্বারা হযরত আবূ বকর (রাঃ) এর প্রতি ইশারা করে সামনে যেতে বললেন । হযরত ইব্ন আব্বাস (রাঃ০ বলেন, নবী (সাঃ) হাত দ্বারা ইশারা করে বললেনঃ কোন দোষ নেই । হযরত আবূ কাতাদা (রাঃ) বলেন, নবী (সাঃ) মুহরিমের শিকার সম্বন্ধে বললেন, তোমাদের কেউ কি তাকে (মুহরিমকে) এ কাজে লিপ্ত হবার আদেশ করেছিল বা শিকারের প্রতি ইশারা করেছিল ? লোকেরা বললঃ না । তিনি বললেন, তবে খাও । -
পরিচ্ছেদ : ২০৬৪/ লি‘আন (অভিশাপযুক্ত শপথ) । মহান আল্লাহ্র বাণীঃ “যারা তাদের স্ত্রীদের উপর অপবাদ আরোপ করবে, আবার নিজেরা ছাড়া অন্য কোন সাক্ষীও থাকবে না . . . থেকে যদি সে সত্যবাদী” পর্যন্ত । যদি কোন বোবা (মূক) লোক লিখিতভাবে বা ইশারায় কিংবা কোন পরিচিত ইঙ্গিতের মাধ্যমে নিজ সাত্রীকে অপবাদ দেয়, তাহলে তার হুকুম বাকশক্তি সম্পন্ন মানুষের মতই । কেননা নবী (সাঃ) ফরয বিষয়গুলিতে ইশারা করার অনুমতি দিয়েছেন । হিজাজ ও অন্যান্য ম্থানের কিছু সংখ্যক আলিমের ও এমত । মহান আল্লাহ্ বলেছেনঃ সে (মরিয়ম) সন্তানের প্রতি ইশারা করলো, লোকেরা বলর, দোলনার শিশুর সাথে আমরা কিভাবে কথোপকথন করবো ? য্হ্হাক বলেনঃ ইঙ্গিত এবং ইশারার মাধ্যমে । কিছু লোকের মত হলোঃ ইশারার মাধ্যমে কোন হদ্ (শরয়ী দন্ড) বা লি‘আন নেই, আবার তাদেরই মত হলো লিখিতভাবে কিংবা ইশারা ইঙ্গিতে তালাক দেয় জায়েয আছে । অথচ তালাক ও অপবাদের মধ্যে কোন ব্যবধান নাই । যদি তারা বলেঃ কথা বলা ছাড়া তো অপবাদ দেওয়া সম্ভব নয় । তাহলে তো তালাক দেওয়া, অপবাদ দেওয়া এমনি ভাবে গোলাম আযাদ করা, কোনটাই ইশারার মাধ্যমে জায়েয হতে পারে না । অথচ আমরা দেখি বধির ব্যাক্তি ও লি‘আন করতে পারে । হযরত শাবী ও কাতাদা (রঃ) বলেনঃ যদি কেউ আঙ্গুল দ্বারা ইশারা করে  তার স্ত্রীকে বলে, তুমি তালাকপ্রাপ্তা, তাহলে ইশারার দ্বারা স্ত্রী স্বামী থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে । ইব্রাহীম বলেনঃ বোবা ব্যাক্তি স্বহস্তে তালাক পত্র লিপিবদ্ধ করলে অবশ্যই তালাক হবে । হাম্মাদ বলেনঃ বোবা এবং বধির মাথার ইঙ্গিতে বললেও জায়েয হবে ।  -
পরিচ্ছেদ : ২০৬৫/ ইঙ্গিতে সন্তান অস্বীকার করা । -
পরিচ্ছেদ : ২০৬৬/ লি‘আনকারীকে শপথ করানো । -
পরিচ্ছেদ : ২০৬৭/ পুরূষকে প্রথমে লি‘আন করানো হবে । -
পরিচ্ছেদ : ২০৬৮/ লি‘আন এবং লি‘আনের পর তালাক দেওয়া । -
পরিচ্ছেদ : ২০৬৯/ মসজিদে লি‘আণ করা । -
পরিচ্ছেদ : ২০৭০/ নবী (সাঃ) এর উক্তিঃ আমি যদি প্রমাণ ছাড়া রজম করতাম । -
পরিচ্ছেদ : ২০৭১/ লি‘আনকারীণীর মোহর । -
পরিচ্ছেদ : ২০৭২/ লি‘আনকারীদ্বয়কে ইমামের একথা বলা যে, নিশ্চয় তোমাদের কোন একজন মিথ্যাবাদী, তাই তোমাদের কেউ তাওবা করতে প্রস্তত আছ কি ? -
পরিচ্ছেদ : ২০৭৩/ লি‘আনকারীদ্বয়কে পৃথক করে দেওয়া । -
পরিচ্ছেদ : ২০৭৪/ লি‘আনকারীণীকে সন্তান অর্পণ করা হবে । -
পরিচ্ছেদ : ২০৭৫/ ইমামের উক্তিঃ হে আল্লাহ! সত্য প্রকাশ করে দিন । -
পরিচ্ছেদ : ২০৭৬/ যদি মহিলাকে তিন তালাক দেয় এবং ইদ্দত শেষে সে অন্য স্বামীর কাছে বিয়ে বসে, কিন্ত সে তাকে স্পর্শ (সংগম) না করে থাকে । -
পরিচ্ছেদ : ২০৭৭/ মহান আল্লাহ্র বাণীঃ তোমাদের স্ত্রীদের মধ্যে যাদের হায়েয বন্ধ হয়ে গেছে . . . . যদি তোমাদের সন্দেহ দেখা দেয় তাদের ইদ্দত তিন মাস এবং তাদেরও যাদের এখনও হায়েয আসা আরম্ভ হয়নি । মুজাহিদ বলেনঃ যদিও তোমরা না জান যে, তাদের হায়েয হবে কিনা । যাদের হায়েয বন্ধ হয়ে গেছে এবং যাদের এখনও আরম্ভ হয়নি, তাদের ইদ্দত তিন মাস ।  - ও
পরিচ্ছেদ : ২০৭৮/ গর্ভবতী মহিলাদের ইদ্দতের সময়সীমা সন্তান প্রসব করা পর্যন্ত ।  -
পরিচ্ছেদ : ২০৭৯/ মহান আল্লাহ্র বাণীঃ তালাকপ্রাপ্তা মহিলারা তিন হায়েয পর্যন্ত অপেক্ষা করবে । ইব্রাহীম বলেছেনঃ যে ব্যাক্তি ইদ্দতের মধ্যে বিয়ে করে, এরপর মহিলা তার কাছে তিন হায়েয পর্যন্ত অবস্থান করার পর দ্বিতীয় স্বামীও যদি তাকে তালাক দেয়, তবে সে প্রথম স্বামী থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে । উক্ত তিন হায়েয তৃতীয় স্বামীর গ্রহনের জন্য যথেষ্ট হবে না । (বরং তার জন্য নতুনভাবে ইদ্দত পালন করতে হবে ।) কিন্ত যুহরী বলেছেনঃ যথেষ্ট হবে । সুফিয়ান ও যুহরীর মত গ্রহণ করেছেন । মা‘মার বলেন, মহিলা মহিলা কুরূ যুক্ত হয়েছে তখনি বলা হয়, যখন তার হায়েয বা তুহুর আসে । তখন বলা হয়, যখন মহিলা গর্ভে কোন সন্তান ধারণ না করে । (অর্থা “কুরূ” অর্থ ধারণ করা বা একত্রিত করাও হয় ।) - ও
পরিচ্ছেদ : ২০৮০/ ফাতিমা বিনতে কায়েসের ঘটনা এবং মহান আল্লাহ্র বাণীঃ আর তোমাদের প্রতিপালক আল্লাহ্ কে ভয় কর, তোমরা তাদের বাসগৃহ থেকে বহিস্কার করো না এবং তারাও যেন বের না হয়, যদি না তারা স্পষ্ট অশ্লীলতায় জড়িয়ে পড়ে, এসব আল্লঅহ্র বিধান, যে আল্লাহ্র বিধান লংঘন করে, সে নিজেরই উপর অত্যাচার করে । তুমি জাননা, হয়ত আল্লাহ্ এরপর উপায় করে দেবেন . . . আর তোমরা নিজেদের সামর্থ অনুযায়ী যে স্থানে বাস কর, তাদেরকে সে স্থানে বাস করতে দাও . . . আল্লাহ্ কষ্টের পর শান্তি দিবেন । (সূরা তালাকঃ ১-৭) -
পরিচ্ছেদ : ২০৮১/ স্বামীর গৃহে অবস্থান করায় যদি তালাকপ্রাপ্তা নারী তার স্বামীর পরিবারের লোকজনদের গালমন্দ দেয়ার বা তার ঘরে চোর প্রবেশ করা ইত্যাদির আশংকা করে । -
পরিচ্ছেদ : ২০৮২/ মহান আল্লাহ্র বাণীঃ তাদের জন্য গোপন করা বৈধ হবে না যা আল্লাহ্ তাদের জরায়ুতে সৃষ্টি করেছেন, হায়েয হোক বা গর্ভ সঞ্চার হোক । -
পরিচ্ছেদ : ২০৮৩/ মহান আল্লাহ্র বাণীঃ তালাকপ্রাপ্তাদের স্বামীরা (ইদ্দতের মধ্যে) তাদের ফিরিয়ে আনার অগ্রাধিকার রাখে এবং এক বা দুই তালাকের পর স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনার পদ্ধতি সম্পর্কে । -
পরিচ্ছেদ : ২০৮৪/ ঋতুমতীকে ফিরিয়ে আনা । -
পরিচ্ছেদ : ২০৮৫/ বিধবা নারী চার মাস দশ দিন শোক পালন করবে । যহরী (রঃ) বলেন, বিধবা কিশোরীর জন্য খোশবু ব্যবহার করা উচিত হবে না । কেননা, তাকেও ইদ্দত পালন করতে হবে । -
পরিচ্ছেদ : ২০৮৬/ শোক পালনকারিণীর জন্য সুরমা ব্যবহার করা । -
পরিচ্ছেদ : ২০৮৭/ তুহুর (পবিত্রতা) এর সময় শোক পালনকারিণীর জন্য কুসত (চন্দন কাঠ) খোশবু ব্যবহার করা । -
পরিচ্ছেদ : ২০৮৮/ শোক পালনকারিণীর রং করা সুতার কাপড় ব্যবহার করতে পারে । -
পরিচ্ছেদ : ২০৮৯/ মহান আল্লাহ্ এর বাণীঃ তোমাদের মধ্যে যারা স্ত্রী রেখে মৃত্যুমুখে পতিত হয়, তাদের স্ত্রীরা চার মাস দশ দিন প্রতীক্ষায় থাকবে । যখন তারা তাদের ইদ্দতকাল পূর্ণ করবে, তখন যথাবিধি নিজেদের জন্য যা করবে তাতে তোমাদের কোন অপরাধ নাই । তোমরা যা কর সে সম্বদ্ধে আল্লাহ্ সবিশেষ অবহিত । -
পরিচ্ছেদ : ২০৯০/ বেশ্যার উপার্জন ও অবৈধ বিবাহ । হাসান (রঃ) বলেছেন, যদি কেউ অজান্তে কোন মুহাররাম মহিলাকে বিয়ে করে ফেলে, তবে তাদেরকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হবে । মহিলা নির্দিষ্ট মোহর ছাড়া অন্য কিছু পাবে না । তিনি পরবর্তীতে বলেছেন, সে মোহরে মিসাল পাবে । -
পরিচ্ছেদ : ২০৯১/ নির্জনবাসের পরে মোহরের পরিমাণ, অথবা নির্জনবাস ও স্পর্শ করার পূর্বে তালাক দিলে স্ত্রীর মোহর এবং কিভাবে নির্জনবাস প্রমাণিত হবে সে প্রসঙ্গে । -
পরিচ্ছেদ : ২০৯২/ তালাকপ্রাপ্তা নারীর যদি মোহর নির্ণিত না হয় তাহলে সে মুত‘আ পাবে । কারণ মহান আল্লাহ্ বলেছেনঃ তোমরা নিজেদের স্ত্রীদেরকে স্পর্শ করা কিংবা তাদের জন্য মোহর ধার্য করার পূর্বে তালাক দিলে তোমাদের কোন পাপ নেই । তোমরা তাদের সংস্থানের ব্যবস্থা করো । বিত্তবান তার সাধ্যমত এবং বিত্তহীন তার সামর্থ্যানুযায়ী . . . তোমরা যা কর আল্লাহ্ সে সব দেখেন । আল্লাহ্ আরও বলেছেনঃ তালাকপ্রাপ্তা নারীদেরকে প্রথামত কিছু দেওয়া মুত্তাকীদের কর্তব্য । আর লি‘আনকারিণীকে তার স্বামী তালাক দেওয়ার সময় নবী (সাঃ) তার জন্য মুত‘আর কিছু দিয়ে দেওয়ার কথা উল্লেখ করেন নি । -
হাদিস নং: ৪৯৫৯/৮৫