৬৯৬১/৯৪: মুআল্লা
ইব্ন আসা’দ (রহঃ) . . . . . হযরত আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত । তিনি বলেন, আল্লাহ্
এর নাবী সুলায়মান (আঃ) এর ষাটজন স্ত্রী ছিল । একদা সুলায়মান (আঃ) বললেনঃ আজ রাতে আমার
সব স্ত্রীর কাছে যাব । যার ফলে স্ত্রীরা সবাই গর্ভবতী হয়ে এক একজন সন্তান প্রসব করবে,
যারা অশ্বারোহী অবস্হায় আল্লাহর পথে জিহাদ করবে । অতএব সুলায়মান (আঃ) তাঁর সব স্ত্রীর
কাছে গেলেন, তবে তাদের থেকে একজন স্ত্রী ছাড়া আর কেউ গর্ভবতী হলো না। সেও প্রসব করলো
একটি অপূর্ণাঙ্গ সন্তান । নাবী (সাঃ) বললেনঃ যদি সুলায়মান (আঃ) ইনশা আল্লাহ্ বলতেন,
তাহলে স্ত্রীরা সবাই গর্ভবতী হয়ে যেতো এবং প্রসব করতো এমন সন্তান যারা অশ্বারোহী অবস্হায়
আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করত ।
কুরআন শরীফ,বুখারী শরীফ,মুসলিম শরীফ,নাসায়ী শরীফ,আবু দাউদ শরীফ,তিরমিযী শরীফ,ইবনে মাজাহ শরীফ
রবিবার, ৮ জুন, ২০১৪
হাদিস নং: ৬৯৬২ (জাহমিয়াদের মতের খন্ডন ও তাওহীদ প্রসঙ্গ অধ্যায়)
৬৯৬২/৯৫: মুহাম্মাদ
(রহঃ) . . . . . হযরত ইব্ন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত । তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ)
এক বেদুঈনের কাছে প্রবেশ করলেন তার রোগের খোজ খবর নিতে । তিনি বললেনঃ আমার চিন্তার
কোন কারণ নেই ইনশা আল্লাহ্ তুমি সুস্থ হয়ে যাবে । বেদুঈন বলল সুস্থতা? না, বরং এটি
এমন জ্বর যা একজন প্রবীণ বুড়োকে সিদ্ধ করছে, ফলে তাকে কবরে নিয়ে ছাড়বে । নাবী (সাঃ)
বললেনঃ হ্যা, তাহলে সেরুপই ।
হাদিস নং: ৬৯৬৩ (জাহমিয়াদের মতের খন্ডন ও তাওহীদ প্রসঙ্গ অধ্যায়)
৬৯৬৩/৯৬: ইব্ন
সালাম (রহঃ) . . . . . হযরত আবূ কাতাদা তাঁর পিতা (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন । যখন তাঁরা
সালাত (নামায/নামাজ) থেকে ঘুমিয়ে ছিলেন তখন নাবী (সাঃ) বলেছিলেনঃ আল্লাহ্ তা‘আলা যখন
ইচ্ছা করেন তোমাদের রূহকে নিয়ে যান, আর যখন ইচ্ছা ফিরিয়ে দেন । এরপর তারা তাদের প্রয়োজন
সেরে নিলেন এবং উযূ (ওজু/অজু/অযু) করলেন । এতে সূর্য উদিত হয়ে শ্বেতবর্ন হয়ে গেল ।
নাবী (সাঃ) উঠলেন সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করলেন ।
হাদিস নং: ৬৯৬৪ (জাহমিয়াদের মতের খন্ডন ও তাওহীদ প্রসঙ্গ অধ্যায়)
৬৯৬৪/৯৭: ইয়াহইয়া
ইব্ন কাযাআ ও ইসমাঈল (রহঃ) . . . . . হযরত আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত । তিনি বলেন,
একদা একজন মুসলমান ও একজন ইহুদী পরম্পর গালমন্দ করল । মুসলিম ব্যাক্তিটি বলল, সে মহান
সত্তার কসম! যিনি জগতসমূহের ওপর মুহাম্মাদ (সাঃ) -কে মনোনীত করেছেন । এরপর ইহিদীটিও
বলল- সে মহান সত্তার কসম! যিনি জগতসমুহের ওপর মূসা (আঃ) -কে মনোনীত করেছেন । এরপরই
মুসলিম লোকটি হাত উঠিয়ে ইহুদীকে চপেটাঘাত করল । এই প্রেক্ষিতে ইহুদী রাসূলুল্লাহ্
(সাঃ) -এর কাছে গেল এবং তার ও মুসলিম ব্যাক্তির মধ্যে যা ঘটেছে তা জানাল । তারপর রাসূলুল্লাহ্
(সাঃ) বললেনঃ তোমরা আমাকে মূসার উপর প্রাধান্য দিও না । কেননা, সব মানুষ (শিঙ্গায় ফূৎকারে) বেহুঁশ হয়ে যাবে । তখন সর্বপ্রথম আমি হুঁশ ফিরে পাব । পেয়েই
দেখব, মূসা (আঃ) আরশের একপাশ ধরে আছেন । অতএব আমি জানি না, তিনি কি বেহুঁশ হয়ে আমার
আগেই হুঁশ ফিরে পেয়ে গেলেন, নাকি তিনি তাঁদের অন্তর্ভুক্ত, যাদেরকে আল্লাহ্ বেহুঁশ
হওয়া থেকে মুক্ত রেখেছেন ।
হাদিস নং: ৬৯৬৫ (জাহমিয়াদের মতের খন্ডন ও তাওহীদ প্রসঙ্গ অধ্যায়)
৬৯৬৫/৯৮: ইসহাক
ইব্ন আবূ ঈসা (রহঃ) . . . . . হযরত আনাস ইব্ন মালিক (রাঃ) থেকে বর্নিত । তিনি বলেন,
রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) বলেছেনঃ দাজ্জাল মদীনার উদ্দেশ্যে আসবে, তবে সে ফেরেশতাদেরকে মদীনা
পাহারারত দেখতে পাবে । সুতরাং দাজ্জাল ও প্লেগ মদিনার কাছেও আসতে পারবে না ইনশা আল্লাহ্
।
হাদিস নং: ৬৯৬৬ (জাহমিয়াদের মতের খন্ডন ও তাওহীদ প্রসঙ্গ অধ্যায়)
৬৯৬৬/৯৯: আবূল
ইয়ামান (রহঃ) . . . . . হযরত আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত । তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্
(সাঃ) বলেছেনঃ প্রত্যেক নাবীর একটি (বিশেষ) দোয়া রয়েছে । আমার সে দোয়াটি কিয়ামতের দিন
আমার উম্মতের শাফাআতের জন্য লুকিয়ে রাখার ইচ্ছা করছি ইনশা আল্লাহ্ ।
হাদিস নং: ৬৯৬৭ (জাহমিয়াদের মতের খন্ডন ও তাওহীদ প্রসঙ্গ অধ্যায়)
৬৯৬৭/১০০: ইয়াসারা
ইব্ন সাফওয়ান ইব্ন জামীল লাখিমী (রহঃ) . . . . . হযরত আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত
। নাবী (সাঃ) বলেছেনঃ একদা আমি ঘুমন্ত অবস্থায় আমাকে একটি কূপের কাছে দেখতে পেলাম ।
তারপর আমি সে কূপ থেকে আল্লাহ্ এর ইচ্ছা অনুযাযী পানি ওঠালাম । তারপর আবূ কুহাফার পুত্র
(হযরত আবূ বকর (রাঃ)) তা (হাতে) নিলেন এবং তিনি এক বা দুই বালতি উঠালেন । তার ওঠানোর
মধ্যে একটু দুর্বলতা ছিল । তাকে আল্লাহ্ মাফ করূন । তারপর হযরত উমর (রাঃ) তা (হাতে)
নিলেন । তখন তা বিরাট একটি বালতিতে রপান্তরিত হল । আমি লোকের মধ্যে কোন মহাবীরকেও
তার মত পানি তূলতে আর দেখিনি । এমনকি লোকেরা কূপটির পার্শ্বে উটশালা তৈরী করে নিল
।
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)