শুক্রবার, ১৩ জুলাই, ২০১২

হাদিস নং: ৫৮১০ (অনুমতি চাওয়া অধ্যায়)

৫৮১০/১৭: ইসহাক (রঃ) ……… হযরত আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী (সাঃ) যখন সালাম করতেন, তখন তিনবার সালাম দিতেন এবং যখন কথা বলতেন তখন তা তিনবার উল্লেখ করতেন ।

হাদিস নং: ৫৮১১ (অনুমতি চাওয়া অধ্যায়)

৫৮১১/১৮: আলী ইব্ন আব্দুল্লাহ (রঃ) ……… হযরত আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত । তিনি বলেন একবার আমি আনসারদের এক মজলিসে উপস্থিত ছিলাম । এমন সময় হঠা আবূ মূসা (রাঃ) ভীত সন্ত্রস্থ হয়ে এসে বললেন : আমি তিনবার উমর (রাঃ) এর নিকট অনুমতি চাইলাম, কিন্তু আমাকে অনুমতি দেওয়া হলো না । তাই আমি ফিরে এলাম । উমর (রাঃ) তাকে জিজ্ঞাসা করলেন : তোমাকে ভেতরে প্রবেশ করতে কিসে বাধা দিল ? আমি বললাম : আমি প্রবেশের জন্য তিনবার অনুমতি চাইলাম, কিন্তু আমাকে অনুমতি দেওয়া হলো না । তাই আমি ফিরে এলাম । (কারণ) রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন : যদি তোমাদের কেউ তিনবার প্রবেশের অনুমতি চায় । কিন্তু তাকে অনুমতি দেওয়া না হয় তবে সে যেন ফিরে যায় । তখন উমর (রাঃ) বললেন : আল্লাহর কসম! তোমাকে এ কথার উপর অবশ্যই প্রমাণ প্রতিষ্ঠিত করতে হবে । তিনি সবাইকে জিজ্ঞেস করলেন : তোমাদের মধ্যে কেউ আছে কি ? যিনি নবী (সাঃ) থেকে এ হাদীস শুনেছে ? তখন উবাই ইব্ন কাব (রাঃ) বললেন : আল্লাহর কসম! আপনার কাছে প্রমাণ দিতে দলের সর্ব কনিষ্ঠ ব্যক্তিই উঠে দাঁড়াবে । আর আমিই দলের সর্ব কনিষ্ঠ ছিলাম । সুতরাং আমি তাঁর সঙ্গে উঠে দাঁড়িয়ে বললাম : নবী (সাঃ) অবশ্যই একথা বলেছেন ।

হাদিস নং: ৫৮১২ (অনুমতি চাওয়া অধ্যায়)

৫৮১২/১৯: আবূ নুয়া‘ঈম ও মুহাম্মদ ইব্ন মুকাতিল (রঃ) ……… হযরত আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত । তিনি বলেন : একদিন আমি রাসূলুল্লাহ (ষাঃ) এর সঙ্গে তাঁর ঘরে প্রবেশ করলাম । তিনি ঘরে গিয়ে একটি পেয়ালায় দুধ পেলেন । তিনি আমাকে বললেন : হে আবূ হির! তুমি আহলে সুফ্ফার নিকট গিয়ে তাদের আমার নিকট ডেকে আন । তখন আমি তাদের কাছে গিয়ে দাওয়াত দিয়ে এলাম । তারপর তারা এল এবং প্রবেশের অনুমতি চাইলে তাদের অনুমতি দেওয়া হলো । তারপর তারা প্রবেশ করলো ।

হাদিস নং: ৫৮১৩ (অনুমতি চাওয়া অধ্যায়)

৫৮১৩/২০: আলী ইব্ন জা‘দ (রঃ) ……… হযরত আনাস ইব্ন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, একবার তিনি একদল শিশুর পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন তিনি তাদের সালাম করে বললেন যে, নবী (সাঃ) ও তা করতেন ।

হাদিস নং: ৫৮১৪ (অনুমতি চাওয়া অধ্যায়)

৫৮১৪/২১: আব্দুল্লাহ ইব্ন মাসলামা (রঃ) ……… হযরত সাহল ইব্ন সা‘দ (রাঃ) থেকে বর্ণিত । তিনি বলেন, আমরা জুমু‘আর দিনে আনন্দিত হতাম । রাবী বলেন, আমি তাঁকে বললাম : কেন ? তিনি বলরেন : আমাদের একজন বৃদ্ধা মহিলা ছিল । সে কোন একজনকে ‘বুদাআ’ নামক খেজুর বাগানে পাঠাত সে বীট চিনির শিকড় আনতো । তা একটা ডেগচিতে ফেলে সে তাতে কিছুটা যবের দানা দিয়ে ঘুটত ফলে তাতে এক প্রকার খাবার তৈরী হত । এরপর আমরা যখন জুম‘আর সালাত আদায় করে ফিরতাম, তখন আমরা ঐ মহিলাকে সালাম দিতাম । তখন সে আমাদের ঐ খাবার পরিবেশন করত আমরা এজন্য খুশী হতাম । আমাদের অভ্যাস ছিল যে, আমরা জুম‘আর পরেই মধ্যাহ্ন ভোজন ও মধ্যাহ্ন বিশ্রাম করতাম ।

হাদিস নং: ৫৮১৫ (অনুমতি চাওয়া অধ্যায়)

৫৮১৫/২২: ইব্ন মুকাতিল (রঃ) ……… হযরত আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত । তিনি বলেন, একদিন রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বললেন : হে আয়িশা! ইনি জিবরাঈল (আঃ) তোমাকে সালাম দিচ্ছেন । তখন আমিও বললাম : “ওয়া আলাইহিস্ সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ” । তিনি রাসূলুল্লাহ (সাঃ) কে উদ্দেশ্য করে বললেন : আমরা যা দেখছিনা, তা আপনি দেখছেন । ইউনুস যুহরি সূত্রে বলেন এবং ‘বারাকাতুহু’ ও বলেছেন ।