সোমবার, ১৩ জানুয়ারী, ২০১৪

ভরণ- পোষণ অধ্যায়


পরিচ্ছেদ : ০০০০/ পরিবার-পরিজনের জন্য খরচ করার ফযীলত ।  -
পরিচ্ছেদ : ২০৯৩/ পরিবার-পরিজনের উপর ব্যয় করা ওয়াজিব । -
পরিচ্ছেদ : ২০৯৪/ পারিবারের জন্য এক বছরের খাদ্য সঞ্চয় করে রাখা এবং তাদের জন্য খরচ করার পদ্ধতি । -
পরিচ্ছেদ : ২০৯৫/ মহান আলআহর বাণীঃ মাযেরা যেন তাদের সন্তানদের পূর্ণ দুইবছর দুধ পান করায়, সেই পিতার জন্য যে পূর্ণ সময়কাল দুধ পান করাতে চায় . . . . . তোমরা যা কর আল্লাহ্ তা দেকেন । তিনি আরও ইরশাদ করেনঃ তাকে গর্ভে ধারণ ও দুধ ছাড়ানোর সময় তিরিশ মাস । তিনি আরও ইরশাদ করেনঃ যদি তোমরা অসুবিধা বোধ কর, তাহলে অপর কোন মহিলা তাকে দুধ পান করাতে পারে । সচ্ছল ব্যক্তি স্বীয় সাধ্য অনুসারে খরচ করবে . . . . প্রাচুর্য দান করবেন । ইউনুস (রঃ), যুহুরী (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে , আল্লাহ্ নিষেধ করেছেন কোন মাকে তার সন্তানের জন্য ক্ষতিগ্রস্থ করা হবে না । আর তা হলো এরূপ যে, মাতা একথা বলে বসলো, আমি একে দুধ পান করাব না । অথচ মায়ের দুধ শিশুর জন্য উকৃষ্ঠ খাদ্য এবং অন্যান্য মহিলার তুলনায় মাতা সন্তানের জন্য অধিক স্নেহশীলা ও কোমল । কাজেই পিতা যথাসাধ্য নিজের পক্ষ থেকে কিছু দেওয়ার পরও মাতার জন্য দুধ পান করাতে অস্বীকার করা উচিত হবে না । এমনি ভাবে সন্তানের পিতার জন্যও উচিত নয়, সে সন্তানেরকারনে তার মাতাকে কষ্ট দেওয়া অর্থা কষ্টে ফেলার উদ্দেশ্যে শিশুর মাকে দুধ পান করাতে না দিয়ে অন্য মহিলাকে দুধ পান করাতে দেওয়া । হ্যাঁ, মাতাপিতা খুশি হয়ে যদি কাউকে ধাত্রী নিযুক্ত করে, তবে তাতে কোন দোষ নেই । তেমনি যদি তারা উভয়ে দুধ ছাড়াতে চায়, তবে তাতেও তাদের কোন দোষ নেই, যদি তা পারস্পরিক সম্মতি ও পরামর্শের ভিত্তিতে হয়ে থাকে । - ও
পরিচ্ছেদ : ২০৯৬/ স্বামীর অনুপস্থিতিতে স্ত্রী ও সন্তানের খরচ । -
পরিচ্ছেদ : ২০৯৭/ স্বামীর গৃহে স্ত্রীর কাজ কর্ম করা । -
পরিচ্ছেদ : ২০৯৮/ স্ত্রীর জন্য খাদিম । -
পরিচ্ছেদ : ২০৯৯/ নিজ পরিবারে গৃহকর্তার কাজকর্ম । -
পরিচ্ছেদ : ২১০০/ স্বামী যদি (ঠিকভাবে) খরচ না করে, তাহলে তার অজান্তে স্ত্রী তার ও সন্তানের প্রয়োজনুপাতে যথাবিহিত খরচ করতে পারে । -
পরিচ্ছেদ : ২১০১/ স্বামীর সম্পদ রক্ষনাবেক্ষণ ও তার জন্য খরচ করা । -
পরিচ্ছেদ : ২১০২/ মহিলাদের যথাযোগ্য পরিচ্ছদ দান । -
পরিচ্ছেদ : ২১০৩/ সন্তান লালন-পালনে স্বামীকে সাহায্য করা । -
পরিচ্ছেদ : ২১০৪/ নিজ পরিবারের জন্য অসচ্ছল ব্যক্তির খরচ । -
পরিচ্ছেদ : ২১০৫/ ওয়ারিসের উপরেও অনুরূপ দায়িত্ব আছে । মহিলার উপরেও কি এমন কোন দায়িত্ব আছে ? আর আল্লাহ্ তা‘আলা এমন দু‘ব্যক্তির দৃষ্টান্ত দিয়েছেন, যাদের একজন বোবা, কিছুই করতে সমর্থ নয় । সে তার অভিভাবকের ওপর বোঝা স্বরূপ । -
পরিচ্ছেদ : ২১০৬/ দাসী ও অন্যান্য মহিলা কর্তৃক দুধ পান করানো । -
হাদিস নং: ৪৯৮১/২২

হাদিস নং: ৪৯৬০ (ভরণ- পোষণ অধ্যায়)

৪৯৬০/০১: আদাম ইব্ন আবূ ইয়াস (রঃ) ……… হযরত আবূ মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত । রাবী বলেন, আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলামঃ এ কি নবী (সাঃ) থেকে ? তিনি বললেন, (হ্যাঁ) নবী (সাঃ) থেকে বর্ণিত । তিনি বলেছেনঃ সাওয়াবের আশায় কোন মুসলমান যখন তার পরিবার-পরিজনের জন্য খরচ করে, তা তার সাদাকায় পরিগণিত হয় ।

হাদিস নং: ৪৯৬১ (ভরণ- পোষণ অধ্যায়)

৪৯৬১/০২: ইসমাঈল (রঃ) ……… হযরত আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ মহান আল্লাহ্ বলেন, তুমি খরচ কর, হে আদম সন্তান! আমিও খরচ করব তোমার প্রতি ।

হাদিস নং: ৪৯৬২ (ভরণ- পোষণ অধ্যায়)

৪৯৬২/০৩: ইয়াহইয়া ইব্ন কাযা‘আ (রঃ) ……… হযরত আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত । তিনি বলে, নবী (সাঃ) বলেছেনঃ বিধবা ও মিসকীন এর জন্য (খাদ্য যোগাতে) সচেষ্ট ব্যক্তি আল্লাহ্র রাস্তায় মুজাহিদের ন্যায় অথবা রাত জেগে ইবাদতকারী ও দিনভর সিয়াম পালনকারীর মত ।

হাদিস নং: ৪৯৬৩ (ভরণ- পোষণ অধ্যায়)

৪৯৬৩/০৪ মুহাম্মদ ইব্ন কাসীর (রঃ) ……… হযরত সা‘দ (রাঃ) থেকে বর্ণিত । তিনি বলেনঃ আমি মক্কায় রোগগ্রস্ত হলে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) আমার পরিচর্যার জন্য আসতেন । আমি বললাম, আমার তো মাল আছে । সেগুলো আমি সব ওসিয়্যত করে যাই । তিনি বললেনঃ না । আমি বললামঃ তাহলে অর্ধেক ? তিনি বললেনঃ না । আমি বললামঃ তবে এক-তৃতীয়াংশ ? তিনি বললেনঃ এক-তৃতীয়াংশ করতে পার । এক-তৃতীয়াংশই বেশী । মানুষের কাছে হাত পেতে ফিরবে ওয়ারিসদেরকে এরূপ ফকীর অবস্থায় ছেড়ে যাওয়ার তুলনায় তাদেরকে ধনী অবস্থায় রেখে যাওয়া উত্তম । আর যাই তুমি খরচ করবে, তাই তোমার জন্য সাদাকা হবে । এমনকি যে লোকমাটি তুমি তোমার স্ত্রীর মুখে তুলে দিবে, তাও । আল্লাহ্ তোমাকে দীর্ঘজীবী করবেন এই আশায় । তোমার দ্বারা অনেক লোক উপকৃত হবে, আবার অন্যেরা (কাফির সম্প্রদায়) ক্ষতিগ্রস্থও হবে ।

হাদিস নং: ৪৯৬৪ (ভরণ- পোষণ অধ্যায়)

৪৯৬৪/০৫ উমর ইব্ন হাফস (রঃ) ……… হযরত আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত । তিনি বলেন, নবী (সাঃ) বলেছেনঃ উত্তম সাদাকা হলো যা দান করার পরেও মানুষ অমুখাপেক্ষী থাকে । উপরের হাত নীচের হাতের চাইতে শ্রেষ্ঠ । যাদের ভরণ-পোষণ তোমার যিম্মায় তাদের আগে দাও । (কেননা) স্ত্রী বলবে, হয় আমাকে খাবার দাও, নতুবা তালাক দাও । গোলাম বলবে, খাবার দাও এবং কাজ করাও । ছেলে বলবে, আমাকে খাবার দাও, আমাকে তুমি কার কাছে রেখে যাচ্ছ ? লোকেরা জিজ্ঞাসা করলঃ হে আবূ হুরায়রা (রাঃ) আপনি কি এ হাদীস (রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) থেকে শুনেছেন ? তিনি উত্তরে বললেন, এটি আবূ হুরায়রা জামবিলের নয় (বরং হুযূর (সাঃ) থেকে )
  • কারো কারো মতে “লা-) এর সম্পর্ক পূর্বের উক্তির সাথে । পূর্ণ হাদীস নবী (সাঃ) থেকে শ্রুত নয় বরং শেষ অংশ আবূ হুরায়রা (রাঃ) এর নিজস্ব ব্যাখ্যা ।

 

হাদিস নং: ৪৯৬৫ (ভরণ- পোষণ অধ্যায়)

৪৯৬৫/০৬ সাঈদ ইব্ন উফায়র (রঃ) ……… হযরত আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) বলেছেন উত্তম দান তাই, যা দিয়ে মানুষ অভাবমুক্ত থাকে । যাদের ভরণ-পোষণ তোমার দায়িত্ব তাদের থেকে আরম্ব কর ।

হাদিস নং: ৪৯৬৬ (ভরণ- পোষণ অধ্যায়)

৪৯৬৬/০৭ মুহাম্মদ ইব্ন সালাম (রঃ) ……… মা‘মার (রঃ) থেকে বর্ণিত । তিনি বলেন, সাওরী (রঃ) আমাকে জিজ্ঞাসা করলেনঃ কোন ব্যক্তি তার পরিবারের জন্য বছরের বা বছরের কিছু অংশের খাদ্য সঞ্চয় করে রাখা সম্পর্কে আপনি কোন হাদীস শুনেছেন কি ? মা‘মার (রঃ) বলেনঃ তখন আমার কোন হাদীস মনে হলো না । পরে একটি হাদীসের কথা আমার মনে পড়ল, যা ইব্ন শিহাব যুহরী (রঃ) মালিক ইব্ন  আওসের সূত্রে উমর (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, নবী (সাঃ) বনূ নাযীরের খেজুর বিক্রি করে ফেলতেন এবং পরিবারের জন্য এক বছরের খাদ্য সঞ্চয় করে রাখতেন ।

হাদিস নং: ৪৯৬৭ (ভরণ- পোষণ অধ্যায়)

৪৯৬৭/০৮ সাঈদ ইব্ন উফায়র (রঃ) ……… হযরত মালিক ইব্ন আওস ইব্ন হাদাসান (রাঃ) থেকে বর্ণিত । তিনি বলেনঃ আমি হযরত উমর (রাঃ) এর কাছে উপস্থিত হলাম, এমন সময় তাঁর দারোয়ান ইয়ারফা এসে বলল, উসমান আব্দুর রহমান, যুবায়র ও সা‘দ ভেতরে প্রবেশ করার অনুমতি চাইছেন । আপনার অনুমতি আছে কি ? তিনি তাঁদের অনুমতি দিলেন । মালিক (রাঃ) বলেনঃ তাঁরা প্রবেশ করলেন এবং সালাম করে বসলেন । এর কিছুক্ষণ পর ইয়ারফা এসে বললঃ হযরত আলী ও আব্বাস (রাঃ) অনুমতি চাইছেন, আপনার অনুমতি আছে কি ? তিনি হ্যা বলে এদের উভয়কেও অনুমতি দিলেন । তাঁরা প্রবেশ করে সালাম দিয়ে বসলেন । তারপর হযরত আব্বাস (রাঃ) বললেনঃ হে আমীরূল মু‘মিনীন! আামর ও আলীর মধ্যে ফয়সালা করে দিন । উপস্থিত উসমান ও তাঁর সঙ্গীরাও বললেনঃ হে আমীরূল মু‘মিনীন! এঁদের উভয়ের মধ্যে ফয়সালা করে দিন এবং একজন থেকে অপর জন কে শান্তি দিন । হযরত উমর (রাঃ) বললেনঃ থাম! আমি তোমাদেরকে সেই আল্লাহ্র কসম দিয়ে জিজ্ঞাসা , যার আদেশে আসমান ও জমীন ঠিক আছে । তোমরা কি জান যে, রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) বলেছেনঃ আমাদের কেউ ওয়ারিস হয় না । আমরা যা রেখে যাই তা সাদাকা । এ কথা দ্বারা রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) নিজেকে (এবং অন্যান্য নবীগণকে) বুঝাতে চেয়েছেন । সে দলের লোকেরা বললেনঃ নিশ্চয়ই রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) তা বলেছেন । তারপর হযরত উমর (রাঃ) হযরত আলী ও আব্বাস (রাঃ) কে লক্ষ্য করে বললেনঃ আল্লাহ্র কসম দিয়ে জিজ্ঞাসা করছি, তোমরা দুজন কি জান যে, রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) এ কথা বলেছেন ?তাঁরা বললেনঃ অবশ্যই তা বলেছেন । হযরত উমর (রাঃ) বললেন, এ ব্যাপারে আমার বক্তব্য হলোঃ এ মালে আল্লাহ্ তাঁর রাসূলকে একটি বিশেষ অধিকার দিয়েছেন, যা তিনি ছাড়া আর কাউকে দেননি । আল্লাহ্ তা‘আলা বলেছেনঃ আল্লাহ্ ইয়াহূদীদের নিকট থেকে তাঁর রাসূলকে যে ফায় (বিনাযুদ্ধে প্রাপ্ত সম্পদ) দিয়েছেন .... সর্বশক্তিমান পর্যন্ত ।(হাশর:৬)  একমাত্র রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) এর জন্য নির্ধারিত ছিল । আল্লাহ্র কসম! তিনি তোমাদের বাদ দিয়ে একাকী ভোগ করেন নি এবং কাউকে তোমাদের উপর প্রাধান্য দেননি । এ থেকে তিনি তোমাদের দিয়েছেন এবং কিছু তোমাদের মধ্যে বিতরণ করেছেন । শেষ পর্যন্ত এ মালটুকু অবশিষ্ট থেকে যায় । এ মাল থেকেই রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) তাঁর পরিবারের সারা বছরের খরচ দিতেন ।আর যা উদ্বৃত্ত থাকত, তা আল্লাহ্র রাস্তায় ব্যবহার্য মালের সাথে ব্যয় করতেন । রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) জীবনভর এরকমই করেছেন । আল্লাহ্র কসম দিয়ে তোমাদের জিজ্ঞাসা করছি, তোমরা কি এ বিষয় জান ? তাঁরা বললেনঃ হ্যা জানি । এরপর তিনি হযরত আলী ও আব্বাস (রাঃ) কে লক্ষ্য করে বললেনঃ আমি আল্লাহ্র কসম দিয়ে তোমাদের জিজ্ঞাসা করছি, তোমরা কি এ বিষয় জান ? তাঁরা উভয়ে বললেনঃ হ্যা জানি । এরপর আল।রাহ্ তাঁর নবীকে ওফাত দিলেন । তখন আবূ বকর (রাঃ) বললেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) এর স্থলাভিষিক্ত । আবূ বকর এ মাল নিজ কবজায় রাখলেন এবং এ মাল খরচের ব্যাপারে লাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) এর নীতিই অবলম্বন করলেন । হযরত আলী ও আব্বাস (রাঃ) এর দিকে ফিরে হযরত উমর (রাঃ) বললেনঃ তোমরা তখন মনে করতে আবূ বকর এমন, এমন । অথচ আল্লাহ্ জানেন এ ব্যাপারে তিনি সত্য কল্যাণকামী, সাঠক নীতির অনুসারী । আল্লাহ্ আবূ বকর (রাঃ) কে ওফাত দিলেন । আমি বললামঃ আমি রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) ও আবূ বকর (রাঃ) এর স্থলাভিষিক্ত এরপর আমি দুবছর এ মাল নিজ কব্জায় রাখি । আমি এ ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) ও আবূ বকর (রাঃ) এর অনুসৃত নীতিরই অনুসরণ করতে থাকি । তারপর তোমরা দুজন আসলে, তখন তোমরা উভয়ে, ঐক্যমত ছিলে এবং তোমাদের বিষয়ে সমন্বয় ছিল । তুমি আসলে ভ্রাতুস্পুত্রের সম্পত্তিতে তোমার অংশ চাইতে । আর এ আসলো শ্বশুরের সম্পত্তিতে স্ত্রীর অংশ চাইতে । আমি বলেছিলামঃ তোমরা যদি চাও, তবে আমি এ শর্তে তোমাদেরকে তা দিয়ে দিতে পারি, তোমরা আল্লাহ্র সহিত ওয়াদা ও অঙ্গীকারাবদ্ধ থাকবে যে, এ ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ), আবূ বকর (রাঃ) এবং এর কর্তৃত্ব হাতে পাওয়ার পর আমিও যে নীতির অনুসরন করে এসেছি, তোমরাও সে নীতিরই অনুসরণ করবে । অন্যথায় এ ব্যাপারে আমার সাথে কোন কথা বলবে না । তখন তোমরা বলেছিলেঃ এ শর্ত সাপেক্ষেই আমাদের কাছে দিয়ে দিন । তাই অমি এ শর্তেই তোমাদের তা দিয়েছিলাম । তিনি বললেনঃ আমি তোমাদের সকলকে আল্লাহ্র কসম দিয়ে জিজ্ঞাসা করছি,  আমি কি এ শর্তে এটি তাদের কাছে দেইনি ? তাঁরা বললেনঃ হ্যা । তারপর তিনি হযরত আলী ও আব্বাস (রাঃ) কে লক্ষ্য করে বললেনঃ আল্লাহ্র কসম দিয়ে তোমাদের জিজ্ঞাসা করছি, আমি কি এ শর্তেই এটি তোমাদের কাছে দেইনি ?  তাঁরা বললেনঃ হ্যা । তিনি বললেনঃ তবে এখন কি তোমরা আমর কাছে এ ছাড়া অন্য কোন ফয়সালা চাইছ ? সেই সত্তার কসম! যাঁর আদেশে আসমান-যমীন টিকে আছে, আমি কিয়ামত পর্যন্ত এ ছাড়া অন্য কোন ফায়সালা দিতে প্রস্তুত নই । তোমরা যদি উল্লেখিত শর্ত পালন করতে অক্ষম হও, তাহলে তা আমার জিম্মায় ফিরিয়ে দাও তোমাদের পক্ষ থেকে আমই এর পরিচালনা করব ।

হাদিস নং: ৪৯৬৮ (ভরণ- পোষণ অধ্যায়)

৪৯৬৮/০৯ ইব্ন মুকাতিল (রঃ) ……… হযরত আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত । তিনি বলেন, হিনদা বিনতে উতবা এসে বললেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আবূ সুফিয়ান কঠিন লোক । আমি যদি তার মাল থেকে পরিবারের কাউকে কিছু দেই তাহলে আমার কি গুনাহ হবে ? তিনি বললেনঃ না, তবে সঙ্গত ভাবে ব্যয় করবে ।

হাদিস নং: ৪৯৬৯ (ভরণ- পোষণ অধ্যায়)

৪৯৬৯/১০ ইয়াহইয়া (রঃ) ……… হযরত আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী (সাঃ) বলেছেনঃ যদি কোন মহিলা স্বামীর উপার্জন থেকে বিনা হুকুমে দান করে, তবে সে তার অর্ধেক সাওয়াব পাবে ।

হাদিস নং: ৪৯৭০ (ভরণ- পোষণ অধ্যায়)

৪৯৭০/১১ মুসাদ্দাদ (রঃ) ……… হযরত আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, একদা হযরত ফাতিমা (রাঃ) যাঁতা ব্যবহারে তাঁর হাতে যে কষ্ট পেতেন তার অভিযোগ নিয়ে নবী (সাঃ) এর কাছে আসলেন । তাঁর কাছে নবী (সাঃ) এর নিকট আসার খবর দাস পৌছেছিল । কিন্ত তিনি নবী (সাঃ) কে পেলেন না । তখন তিনি তাঁর অভিযোগ হযরত আয়িশা (রাঃ) এর কাছে বললেন । নবী (সাঃ) ঘরে আসলে হযরত আয়িশা (রাঃ) তাঁকে জানালেন । হযরত আলী (রাঃ) বলেনঃ রাতে আমরা যখন শুয়ে পড়েছিলাম, তখন তিনি আমাদের কাছে অসলেন । আমরা উঠতে চাইলাম, কিন্ত তিনি বললেনঃ তোমরা উভয়ে নিজ স্থানে থাক । তিনি এসে আমার ও ফাতিমার মাঝখানে বসেলেন । এমনকি আমি আমার পেটে তাঁর পায়ের শীতলতা অনুভব করেছিলাম । তারপর তিনি বললেনঃ তোমরা যা চেয়েছ তার চেয়ে কি কল্যাণকর বিষয় সম্বন্ধে তোমাদের অবহিত করব না ? তোমরা যখন তোমাদের শয্যাস্থানে যাবে, অথবা বললেনঃ তোমরা যখন তোমাদের বিছানায় যাবে, তখন ৩৩বার “সুবহানাল্লাহ্”, ৩৩বার “আল্ হামদুলিল্লাহ্” এবং ৩৪বার “আল্লাহু আকবার” পাঠ করবে । খাদেম অপেক্ষা ইহা তোমাদের জন্য অধিক কল্যাণকর ।