কুরআন শরীফ,বুখারী শরীফ,মুসলিম শরীফ,নাসায়ী শরীফ,আবু দাউদ শরীফ,তিরমিযী শরীফ,ইবনে মাজাহ শরীফ
সোমবার, ২৮ জুলাই, ২০১৪
হাদিস নং: ৬৫১১ (স্বপ্নের ব্যাখ্যা প্রদান অধ্যায়)
৬৫১১/০১: ইয়াহ্ইয়া
ইব্ন বুকায়র ও আবদুল্লাহ্ ইব্ন মুহাম্মাদ (রহঃ) . . . . . হযরত আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত
। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) এর ওহীর সূচনা হয় ঘুমের ঘোরে ভালো স্বপ্নের মাধ্যমে
। তিনি যে স্বপ্নই দেখতেন তা ভোরের আলোর ন্যায় উদ্ভাসিত হয়ে প্রতিফলিত হতো । তিনি হেরা
গুহায় গমন করে সেখানে বেশ কয়েক রাত ইবাদতে কাটিয়ে দিতেন এবং এজন্য খাদ্য সামগ্রী ও
সাথে নিয়ে যেতেন । এরপর হযরত খাদীজা (রাঃ) এর কাছে ফিরে আসতেন এবং তিনি তাকে অনুরূপ
খাদ্য সামগ্রী প্রস্তুত করে দিতেন । অবশেষে তাঁর কাছে সত্যের বাণী (ওহী) আসল । আর এ
সময় তিনি হেরা গুহায় ছিলেন । সেখানে ফেরেশতা এসে তাঁকে বলল, আপনি পড়ুন, রাসূলুল্লাহ্
(সাঃ) বলেন, আমি বললামঃ আমি তো পাঠক নই । তখন তিনি আমাকে জড়িয়ে ধরে শক্ত করে চাপ দিলেন
। এমনকি এতে আমার খুব কষ্ট হল । তারপর তিনি আমাকে ছেড়ে দিলেন এবং বললেন, আপনি পড়ুন
। আমি বললাম, আমি পাঠক নই । তিনি দ্বিতীয়বার আমাকে শক্ত করে চাপ দিলেন । এবারেও এতে
আমার খুব কষ্ট হল । অতঃপর তিনি আমাকে ছেড়ে দিয়ে বললেন, আপনি পড়ুন । আমি বললাম, আমি
তো পাঠক নই । এরপর তিনি তৃতীয়বার আমাকে শক্ত করে এমন চাপ দিলেন যে, এবারেও এতে আমার
খুব কষ্ট হল । তারপর তিনি আমাকে ছেড়ে দিয়ে বললেন, পাঠ করুন, আপনার প্রতিপালকের নামে
যিনি সৃষ্টি করেছেন যা সে জানত না (৯৪:১-৫) এ আয়াত পর্যন্ত ।
এরপর তিনি তা নিয়ে হযরত খাদীজা (রাঃ) এর কাছে কম্পিত হৃদয়ে ফিরে এলনে । আর বললেন, আমাকে কম্বল দিয়ে ঢেকে দাও । আমাকে কম্বল দিয়ে ঢেকে দাও । ফলে তাঁরা তাঁকে কম্বল দিয়ে ঢেকে দিলেন । অবশেষে তাঁর থেকে ভীতি দূর হয়ে গেল । এরপর তিনি বললেন, হে খাদীজা (রাঃ)! আমার কি হল? এবং তাকে সমূহ ঘটনা জানালেন । আর বললেনঃ আমি আমার জীবন সম্পর্কে শংকাবোধ করছি । হযরত খাদীজা (রাঃ) তাকে বললেন, কখনই না । আপনি সুসংবাদ গ্রহণ করূন । আল্লাহ্ এর কসম! আল্লাহ্ আপনাকে কখনই লাঞ্ছিত করবেন না । কেননা, আপনি তো আত্মীয়তার বন্ধন জুড়ে রাখেন, সত্য কথা বলেন, অনাথ অক্ষমদের বোঝা বহন করেন, মেহমানদের মেহমানাদী করেন এবং হকের পথে আগত যাবতীয় বিপদে সাহায্য করেন । অতঃপর হযরত খাদীজা (রাঃ) তাঁকে নিয়ে চললেন । অতঃপর তাঁকে নিয়ে ওরাকা ইব্ন নাওফল ইব্ন আসা’দ ইব্ন আবদুল উয়াবা ইব্ন কুসাই এর কাছে এলেন । আর তিনি হযরত খাদীজা (রাঃ) এর চাচার পুত্র (চাচাত ভাই) এবং তার পিতার পক্ষ থেকে চাচাও ছিলেন । তিনি জাহিলিয়াতের যুগে খৃষ্ট ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন । তিনি আরবী কিতাব লিখতেন । তিনি ইঞ্জিল আরবীতে ভাসান্তর করেছেন । যতখানি লেখা আল্লাহ্ এর মনযুর হত । তিনি ছিলেন অতি বৃদ্ধ, দৃষ্টিশক্তিহীন ব্যাক্তি । হযরত খাদীজা (রাঃ) তাকে বললেন, হে আমার চাচাতো ভাই! তোমার ভাতিজার কথা শুন । তখন ওরাকা বললেন, হে ভাতিজা! তুমি কি দেখেছ? রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) যা কিছু দেখেছিলেন তা তাকে অবহিত করেলেন । তখন ওরাকা বললেন, এই তো আল্লাহ্ এর সেই নামুস (দূত) যাঁকে মূসা (আঃ) এর কাছে প্রেরণ করা হয়েছিল । হায় আফসোস! যদি সেদিন আমি জীবিত থাকতে পারতাম যে দিন তোমার কাওম তোমাকে বের করে দেবে । রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) বললেনঃ তারা কি আমাকে বের করে দেবে? ওরাকা বললেন, হ্যাঁ, তুমি যা নিয়ে এসেছ, এমন বস্তু নিয়ে কোন দিনই কেউ আসেনি যার সাথে শত্রুতা করা হয়নি । যদি তোমার জীবনকাল আমাকে পায় তাহলে আমি পরিপূর্ণরূপে তোমাকে সাহায্য করব । এরপর কিছু দিনের মধ্যেই ওরাকার মৃত্যু হয় । আর কিছু দিনের জন্য ওহীও বন্ধ থাকে । এমনকি রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) এ অবস্থার প্রেক্ষিতে অত্যন্ত চিন্তিত হয়ে পড়লেন । এমনকি আমার এ সম্পর্কে তার থেকে জানতে পেরেছি যে, তিনি পাহাড়ের চূড়া থেকে নিচে পড়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে একাধিকবার দ্রুত সেখানে চলে গেছেন । যখন নিজেকে নিক্ষেপ করার জন্য পাহাড়ের চূড়ায় পৌঁছতেন, তখনই জিবরাঈল (আঃ) তাঁর সামনে আত্মপ্রকাশ করে বলতেন হে মুহাম্মদ (সাঃ)! নিঃসন্দেহে আপনি তো আল্লাহর রাসূল! এতে তাঁর অস্থিরতা প্রশমিত হত এবং নিজে মনে শান্তিবোধ করতেন । তাই সেখান থেকে ফিরে আসতেন । ওহী বন্ধ অবস্থা যখন তাঁর উপর দীর্ঘায়িত হয় তখনই তিনি অনরূপ উদ্দেশ্যে দ্রুত চলে যেতেন । যখনই তিনি পাহাড়ের চূড়ায় পৌঁছতেন, তখনই জিবরাঈল (আঃ) তাঁর সামনে আত্মপ্রকাশ করে পূর্বের ন্যায় বলতেন । হযরত ইব্ন আব্বাস (রাঃ) বলেন দিনের বেলায় সূর্যের আলো ও রাতের বেলায় চাঁদের আলো ।
এরপর তিনি তা নিয়ে হযরত খাদীজা (রাঃ) এর কাছে কম্পিত হৃদয়ে ফিরে এলনে । আর বললেন, আমাকে কম্বল দিয়ে ঢেকে দাও । আমাকে কম্বল দিয়ে ঢেকে দাও । ফলে তাঁরা তাঁকে কম্বল দিয়ে ঢেকে দিলেন । অবশেষে তাঁর থেকে ভীতি দূর হয়ে গেল । এরপর তিনি বললেন, হে খাদীজা (রাঃ)! আমার কি হল? এবং তাকে সমূহ ঘটনা জানালেন । আর বললেনঃ আমি আমার জীবন সম্পর্কে শংকাবোধ করছি । হযরত খাদীজা (রাঃ) তাকে বললেন, কখনই না । আপনি সুসংবাদ গ্রহণ করূন । আল্লাহ্ এর কসম! আল্লাহ্ আপনাকে কখনই লাঞ্ছিত করবেন না । কেননা, আপনি তো আত্মীয়তার বন্ধন জুড়ে রাখেন, সত্য কথা বলেন, অনাথ অক্ষমদের বোঝা বহন করেন, মেহমানদের মেহমানাদী করেন এবং হকের পথে আগত যাবতীয় বিপদে সাহায্য করেন । অতঃপর হযরত খাদীজা (রাঃ) তাঁকে নিয়ে চললেন । অতঃপর তাঁকে নিয়ে ওরাকা ইব্ন নাওফল ইব্ন আসা’দ ইব্ন আবদুল উয়াবা ইব্ন কুসাই এর কাছে এলেন । আর তিনি হযরত খাদীজা (রাঃ) এর চাচার পুত্র (চাচাত ভাই) এবং তার পিতার পক্ষ থেকে চাচাও ছিলেন । তিনি জাহিলিয়াতের যুগে খৃষ্ট ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন । তিনি আরবী কিতাব লিখতেন । তিনি ইঞ্জিল আরবীতে ভাসান্তর করেছেন । যতখানি লেখা আল্লাহ্ এর মনযুর হত । তিনি ছিলেন অতি বৃদ্ধ, দৃষ্টিশক্তিহীন ব্যাক্তি । হযরত খাদীজা (রাঃ) তাকে বললেন, হে আমার চাচাতো ভাই! তোমার ভাতিজার কথা শুন । তখন ওরাকা বললেন, হে ভাতিজা! তুমি কি দেখেছ? রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) যা কিছু দেখেছিলেন তা তাকে অবহিত করেলেন । তখন ওরাকা বললেন, এই তো আল্লাহ্ এর সেই নামুস (দূত) যাঁকে মূসা (আঃ) এর কাছে প্রেরণ করা হয়েছিল । হায় আফসোস! যদি সেদিন আমি জীবিত থাকতে পারতাম যে দিন তোমার কাওম তোমাকে বের করে দেবে । রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) বললেনঃ তারা কি আমাকে বের করে দেবে? ওরাকা বললেন, হ্যাঁ, তুমি যা নিয়ে এসেছ, এমন বস্তু নিয়ে কোন দিনই কেউ আসেনি যার সাথে শত্রুতা করা হয়নি । যদি তোমার জীবনকাল আমাকে পায় তাহলে আমি পরিপূর্ণরূপে তোমাকে সাহায্য করব । এরপর কিছু দিনের মধ্যেই ওরাকার মৃত্যু হয় । আর কিছু দিনের জন্য ওহীও বন্ধ থাকে । এমনকি রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) এ অবস্থার প্রেক্ষিতে অত্যন্ত চিন্তিত হয়ে পড়লেন । এমনকি আমার এ সম্পর্কে তার থেকে জানতে পেরেছি যে, তিনি পাহাড়ের চূড়া থেকে নিচে পড়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে একাধিকবার দ্রুত সেখানে চলে গেছেন । যখন নিজেকে নিক্ষেপ করার জন্য পাহাড়ের চূড়ায় পৌঁছতেন, তখনই জিবরাঈল (আঃ) তাঁর সামনে আত্মপ্রকাশ করে বলতেন হে মুহাম্মদ (সাঃ)! নিঃসন্দেহে আপনি তো আল্লাহর রাসূল! এতে তাঁর অস্থিরতা প্রশমিত হত এবং নিজে মনে শান্তিবোধ করতেন । তাই সেখান থেকে ফিরে আসতেন । ওহী বন্ধ অবস্থা যখন তাঁর উপর দীর্ঘায়িত হয় তখনই তিনি অনরূপ উদ্দেশ্যে দ্রুত চলে যেতেন । যখনই তিনি পাহাড়ের চূড়ায় পৌঁছতেন, তখনই জিবরাঈল (আঃ) তাঁর সামনে আত্মপ্রকাশ করে পূর্বের ন্যায় বলতেন । হযরত ইব্ন আব্বাস (রাঃ) বলেন দিনের বেলায় সূর্যের আলো ও রাতের বেলায় চাঁদের আলো ।
হাদিস নং: ৬৫১২ (স্বপ্নের ব্যাখ্যা প্রদান অধ্যায়)
৬৫১২/০২: আবদুল্লাহ্
ইব্ন মাসলামা (রহঃ) . . . . . হযরত আনাস ইব্ন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত । রাসূলুল্লাহ্
(সাঃ) বলেছেনঃ নেক্কার লোকের ভাল স্বপ্ন নবুয়তের ছেচল্লিশ ভাগের এক ভাগ ।
হাদিস নং: ৬৫১৩ (স্বপ্নের ব্যাখ্যা প্রদান অধ্যায়)
৬৫১৩/০৩: আহমাদ
ইব্ন ইউনুস (রহঃ) . . . . . হযরত আবূ কাতাদা (রাঃ) সূত্রে রাসূলূল্লাহ্ (সাঃ) থেকে
বর্ণিত । তিনি বলেছেনঃ ভাল স্বপ্ন আল্লাহ্ এর পক্ষ থেকে হয়ে থাকে আর অশুভ স্বপ্ন শয়তানের
পক্ষ থেকে হয়ে থাকে ।
হাদিস নং: ৬৫১৪ (স্বপ্নের ব্যাখ্যা প্রদান অধ্যায়)
৬৫১৪/০৪: আবদুল্লাহ্
ইব্ন ইউসুফ (রহঃ) . . . . . হযরত আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত । তিনি রাসূলুল্লাহ্
(সাঃ) কে বলতে শুনেছেন, যখন তোমাদের কেউ এমন স্বপ্ন দেখে, যা সে পছন্দ করে, তাহলে তা
আল্লাহ্ এর পক্ষ থেকে । তাই সে যেন এর উপর আল্লাহ্ এর প্রশংসা করে এবং অন্যের কাছে
তা বর্ণনা করে । আর যদি এর বিপরীত অপছন্দনীয় কিছু দেখে, তাহলে তা শয়তানের পক্ষ থেকে
। তাই সে যেন এর অনিষ্টতা থেকে আল্লাহ্ এর আশ্রয় চায় । আর কারো কাছে যেন তা বর্ণনা
না করে । তাহলে এ স্বপ্ন তার কোন ক্ষতি সাধন করবে না ।
হাদিস নং: ৬৫১৫ (স্বপ্নের ব্যাখ্যা প্রদান অধ্যায়)
৬৫১৫/০৫: মূসা’দ্দাস
(রহঃ) . . . . . হযরত আবূ কাতাদা (রাঃ) থেকে রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) থেকে বর্ণিত । তিনি
বলেছেনঃ ভাল স্বপ্ন আল্লাহ্ এর পক্ষ থেকে হয়ে থাকে । আর খারাপ স্বপ্ন শয়তানের পক্ষ
থেকে হয়ে থাকে । তাই যখন কেউ খারাপ স্বপ্ন দেখে তখন যেন তার থেকে আশ্রয় চায় এবং তার
বাম দিকে থু থু ফেলে । তাহলে সে স্বপ্ন আর তার কোন ক্ষতি করবে না । হযরত আবূ আবদুল্লাহ্
(ইয়াহ্য়া ইব্ন আবূ কাসীর) কাতাদা (রাঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা
করেছেন ।
হাদিস নং: ৬৫১৬ (স্বপ্নের ব্যাখ্যা প্রদান অধ্যায়)
৬৫১৬/০৬: মুহাম্মদ
ইব্ন বাশ্শার (রহঃ) . . . . . হযরত উবাদা ইব্ন সামিত (রাঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ)
থেকে বর্ণিত । তিনি বলেছেনঃ মু’মিনের স্বপ্ন নবুয়তের ছেচল্লিশ ভাগের এক ভাগ । সাবিত,
হুমাইদ, ইসহাক ইব্ন আবদুল্লাহ্ ও শুআইব (রহঃ) . . . . . হযরত আনাস (রাঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহ্
(সাঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন ।
হাদিস নং: ৬৫১৭ (স্বপ্নের ব্যাখ্যা প্রদান অধ্যায়)
৬৫১৭/০৭: ইয়াহ্ইয়া
ইব্ন কাযাই (রহঃ) . . . . . হযরত আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত । রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ)
বলেছেনঃ মু’মিনের স্বপ্ন নবুয়তের ছেচল্লিশ ভাগের এক ভাগ ।
হাদিস নং: ৬৫১৮ (স্বপ্নের ব্যাখ্যা প্রদান অধ্যায়)
৬৫১৮/০৮: ইবরাহীম
ইব্ন হামযা (রহঃ) . . . . . হযরত আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত । তিনি রাসূলুল্লাহ্
(সাঃ) কে বলতে শুনেছেন, ভাল স্বপ্ন নবুয়তের ছেচল্লিশ ভাগের এক ভাগ ।
হাদিস নং: ৬৫১৯ (স্বপ্নের ব্যাখ্যা প্রদান অধ্যায়)
৬৫১৯/০৯: আবূল
ইয়ামান (রহঃ) . . . . . হযরত আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত । তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্
(সাঃ) কে বলতে শুনেছি, সু-সংবাদবাহী বিষয়াদি ছাড়া নবুয়তের আর কিছু অবশিষ্ট নেই । সাহাবাগণ
জিজ্ঞাসা করলেন, সুসংবাদবাহী বিষয়াদি কি? তিনি বললেন, ভাল স্বপ্ন ।
হাদিস নং: ৬৫২০ (স্বপ্নের ব্যাখ্যা প্রদান অধ্যায়)
৬৫২০/১০: ইয়াহ্ইয়া
ইব্ন বুকায়ম (রহঃ) . . . . . হযরত ইব্ন উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, একদল লোককে লাইলাতুল
কদর্ (রমযানের) শেষ সাত রাতের মধ্যে রয়েছে বলে স্বপ্নে দেখানো হয়েছে । আর কিছু সংখ্যক
লোককে তা শেষ দশ রাতের মধ্যে দেখানো হয়েছে । তখন রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) বললেনঃ তোমরা লাইলাতুল
কদর্ শেষ সাত রাতের মধ্যেই তালাশ কর ।
হাদিস নং: ৬৫২১ (স্বপ্নের ব্যাখ্যা প্রদান অধ্যায়)
৬৫২১/১১: আবদুল্লাহ্
(রহঃ) . . . . . হযরত আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত । তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ)
বলেছেনঃ হযরত ইউসুফ (আঃ) যতদিন কারাগারে কাটিয়েছেন, যদি আমি ততদিন কাটাতাম, অতঃপর আমার
কাছে (বাদশাহর পক্ষ থেকে) আহবানকারী আসত, তাহলে আমি অবশ্যই তার ডাকে সাড়া দিতাম ।
হাদিস নং: ৬৫২২ (স্বপ্নের ব্যাখ্যা প্রদান অধ্যায়)
৬৫২২/১২: আবদান
(রহঃ) . . . . . হযরত আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত । তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্
(সাঃ) কে বলতে শুনেছিঃ যে ব্যাক্তি আমাকে স্বপ্নে দেখবে সে অচিরেই জাগ্রতাবস্থায়ও আমাকে
দেখবে । কেননা শয়তান আমার আকৃতি ধারণ করতে পারে না ।
হাদিস নং: ৬৫২৩ (স্বপ্নের ব্যাখ্যা প্রদান অধ্যায়)
৬৫২৩/১৩: মুআল্লা ইব্ন আসা’দ (রহঃ) . . . . . হযরত আনাস (রাঃ)
থেকে বর্ণিত । তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) বলেছেনঃ যে আমাকে নিদ্রাবস্থায় দেখল সে
আমাকেই দেখল । কারণ শয়তান আমার আকৃতি ধারন করতে পারে না । আর মু‘মিনের স্বপ্ন নযূয়তের
ছেচল্লিশ ভাগের এক ভাগ ।
হাদিস নং: ৬৫২৪ (স্বপ্নের ব্যাখ্যা প্রদান অধ্যায়)
৬৫২৪/১৪: ইয়াহইয়া
ইব্ন বুকায়র (রহঃ) . . . . . হযরত আবূ কাতাদা (রাঃ) থেকে বর্ণিত । তিনি বলেন, নাবী
(সাঃ) বলেছেনঃ ভালো স্বপ্ন আল্লাহ্ এর পক্ষ থেকে ও খারাপ স্বপ্ন শয়তানের পক্ষ থেকে
হয়ে থাকে । যে কেউ এমন কিছু দেখবে, যা সে অপছন্দ করে, সে যেন বামদিকে তিনবার থুথু ফেলে
এবং শয়তান থেকে আশ্রয় চায় । তাহলে এ স্বপ্ন তার কোন ক্ষতি করবে না । আর শয়তান আমার
আকৃতি ধারণ করতে পারে না ।
হাদিস নং: ৬৫২৫ (স্বপ্নের ব্যাখ্যা প্রদান অধ্যায়)
৬৫২৫/১৫: খালিদ
ইব্ন খালিয়্যি (রহঃ) . . . . . হযরত আবূ কাতাদা (রাঃ) থেকে বর্ণিত । তিনি বলেন, নাবী
(সাঃ) বলেছেনঃ যে আমাকে স্বপ্ন দেখে সে ঠিকই দেখে । ইউনূস ও ইব্ন আখীয যুহরী (রহঃ)
যূবায়দীর অনুসরণ করেছেন ।
হাদিস নং: ৬৫২৬ (স্বপ্নের ব্যাখ্যা প্রদান অধ্যায়)
৬৫২৬/১৬: আবদুল্লাহ্
ইব্ন ইউসুফ (রহঃ) . . . . . হযরত আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত । তিনি নাবী (সাঃ)
-কে বলতে শুনেছেন, যে আমাকে স্বপ্নে দেখে সে সত্যই দেখে । কারণ শয়তান আমার আকৃতি ধারণ
করতে পারে না ।
হাদিস নং: ৬৫২৭ (স্বপ্নের ব্যাখ্যা প্রদান অধ্যায়)
৬৫২৭/১৭: আহমাদ
ইব্ন মিকদাম ইজলী (রহঃ) . . . . . হযরত আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত । তিনি বলেনঃ
নাবী (সাঃ) বলেছেনঃ আমাকে সংক্ষিপ্ত অথচ বিশদ অর্থপূর্ন বাক্য দান করা হয়েছে । এবং
আমাকে প্রভাব সঞ্চারী প্রকৃতি দ্বারা সাহায্য করা হয়েছে । কোন এক রাতে আমি নিদ্রিত
ছিলাম । ইত্যবসরে ভূ-পৃষ্ঠের যাবতীয় ভাণ্ডারের চাবি আমার কাছে এনে আমার হাতে রাখা হল
। হযরত আবূ হুরায়রা (রাঃ) বললেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) চলে গেছেন । আর তোমরা উক্ত ভাণ্ডার
সমূহ হস্তান্তর করে চলছ ।
হাদিস নং: ৬৫২৮ (স্বপ্নের ব্যাখ্যা প্রদান অধ্যায়)
৬৫২৮/১৮: আবদুল্লাহ্
ইব্ন মাসলামা (রহঃ) . . . . . হযরত আবদুল্লাহ্ ইব্ন উমর (রাঃ) থেকে বর্নিত । রাসূলুল্লাহ্
(সাঃ) বলেছেনঃ এক রাতে আমাকে কা‘বা এর কাছে স্বপ্ন দেখানো হল । তখন আমি গৌর বর্নের
সুন্দর এক পুরুষকে দেখলাম। তার মাথায় অতি চমৎকার লম্বা
লম্বা চুল ছিল, যেগুলো আঁচড়িয়ে রেখেছে । চুল থেকে ফোঁটা ফোঁটা পানি ঝরছিল । তিনি
দু-ব্যাক্তির ওপর অথবা বলেছেনঃ দুব্যাক্তির কাঁধের ওপর ভর করে বায়তূল্লাহ্ এর তাওয়াফ
করছেন । আমি জিজ্ঞাসা করলাম, এ ব্যাক্তি কে? বলা হলঃ মাসী ইব্ন মরিয়ম । এরপর অপর এক
ব্যাক্তির সাথে আমার সাক্ষাৎ ঘটল । সে ছিল কোঁকড়ানো চুল বিশিষ্ট, ডান
চোখ কানা, চোখটি যেন (পানির ওপর) ভাসমান আঙুর । আমি জিজ্ঞাসা করলাম, এ ব্যাক্তি কে?
সে বলল মাসীহ্ দাজ্জাল ।
হাদিস নং: ৬৫২৯ (স্বপ্নের ব্যাখ্যা প্রদান অধ্যায়)
৬৫২৯/১৯: ইয়াহইয়া
(রহঃ) . . . . . হযরত ইব্ন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত । তিনি বলেন, জনৈক ব্যাক্তি রাসূলুল্লাহ্
(সাঃ) -এর কাছে এসে বলল, আমি রাতে স্বপে দেখেছি । এরপর পুরো হাদীসটি বর্ণনা করেন ।
সুলায়মান ইব্ন কাসীর, ইব্ন আখীয যুহরী ও সুলায়মান ইব্ন হুসায়ন (রহঃ) . . . . . হযরত
ইব্ন আব্বাস (রাঃ) সুত্রে নাবী (সাঃ) থেকে ইউনুস (রহঃ) এর অনুসরণ করেছেন । যুবায়দী
(রহঃ) . . . . . হযরত ইব্ন আব্বাস (রাঃ) অথবা হযরত আবূ হুরায়রা (রাঃ) সুত্রে নাবী (সাঃ)
থেকে বর্ণনা করেছেন শুআয়ব, ইসহাক ইব্ন ইয়াহইয়া, আবূ হুরায়রা (রাঃ) নাবী (সাঃ) থেকে
বর্ণনা করতেন । মা‘মার (রহঃ) প্রথমে এ হাদীসের সনদ বর্ণনা করতেন না । কিন্তু পরবর্তীতে
করতেন ।
হাদিস নং: ৬৫৩০ (স্বপ্নের ব্যাখ্যা প্রদান অধ্যায়)
৬৫৩০/২০: আবদুল্লাহ্
ইব্ন ইউসুফ (রহঃ) . . . . . হযরত আনাস ইব্ন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত । তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্
(সাঃ) প্রায়ই হযরত উম্মে হারাম বিনতে মিলহান (রাঃ)-এর ঘরে যেতেন । আর সে ছিল উবাদা
ইব্ন সামিত (রাঃ)-এর স্ত্রী । একদা তিনি তার কাছে এলেন । সে তাঁকে খানা খাওয়াল । তারপর
তাঁর মাথার উকুন বাছতে শুরু করল । রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) ঘুমিয়ে পড়লেন । কিছুক্ষণ পর হেসে
হেসে জেগে উঠলেন । হযরত উম্মে হারাম (রাঃ) বলেনঃ আমি বললাম, হে আল্লাহ্ এর রাসূল (সাঃ)!
আপনি কেন হাসলেন? তিনি বললেনঃ আমার উম্মাতের একদল লোককে আমার কাছে পেশ করা হয়েছে ।
যারা আল্লাহ্ এর রাস্তায় যুদ্ধরত সাগরের মধ্যে জাহাজের ওপর আরোহণ করে বাদশাহর সিংহাসনে
অথবা বাদশাহদের মত তারা সিংহাসনে উপবিষ্ট । ইসহাক রাবী সন্দেহ করেছেন । হযরত উম্মে
হারাম (রাঃ) বলেনঃ আমি বললাম, হে আল্লাহ্ এর রাসূল (সাঃ)! আপনি আল্লাহ্ এর কাছে দোয়া
করূন, তিনি যেন আমাকে তাদের দলভূক্ত করে দেন । রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) তার জন্য দোয়া করলেন
। এরপর আবার তিনি মাথা রেখে ঘুমিয়ে পড়লেন । কিছুক্ষণ পর আবার হেসে হেসে জেগে উঠলেন
। আমি বললামঃ- আপনি হাসলেন কেন হে আল্লাহ্ এর রাসূল (সাঃ)? তিনি বললেনঃ আল্লাহ্ এর
রাস্তায় জিহাদরত আমার একদল উম্মাতকে আমার কাছে পেশ করা হয়েছে । পূর্বের ন্যায় এ দল
সম্পর্কেও বললেন । হযরত উম্মে হারাম (রাঃ) বলেনঃ আমি বললাম, হে আল্লাহ্ এর রাসূল (সাঃ)!
আপনি আল্লাহ্ এর কাছে দোয়া করূন, তিনি যেন আমাকে এ দলভূক্ত করে দেন । তিনি বললেনঃ তূমি
প্রথম দল ভূক্তা । হযরত উম্মে হারাম (রাঃ) মুআবিয়া ইব্ন সূফিয়ান (রাঃ)-এর আমলে সামুদ্রিক
জাহাজে আরোহণ করেন এবং সমুদ্র থেকে পেরিয়ে আসার সময় আপন সাওয়ারী থেকে মাটিতে পড়ে গিয়ে
মারা যান ।
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)