শুক্রবার, ৬ জুলাই, ২০১২

হাদিস নং: ৫৯০০ (দু‘আ অধ্যায়)

৫৯০০/৩৫: আব্দুল্লাহ ইব্ন মাসলামা (রঃ) ……… আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত । রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেণ : তোমাদে কেউ কখনো একথা বলবেনা যে, ইয়া আল্লাহ! আপনার ইচ্ছা হলে আমাকে মাফ করে দিন । ইয়া আল্লাহ! আপনার ইচ্ছা হলে আমাকে দয়া করূন । বরং দৃঢ় বিশ্বাসের সাথে দু’আ করবে । কারন আল্লাহকে বাধ্য করার মত কেউ নেই ।

হাদিস নং: ৫৯০১ (দু‘আ অধ্যায়)

৫৯০১/৩৬: আব্দুল্লাহ ইব্ন ইউসুফ (রঃ) ……… আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত । নবী (সাঃ) বলেছেন তোমাদের প্রত্যেকের দু’আ কবূল হয়ে থাকে । যদি সে তাড়াহুড়া না করে । আর বলে যে, আমি দু’আ করলাম, কিন্ত আমার দু’আ তো কবূল হলো না ।

হাদিস নং: ৫৯০২ (দু‘আ অধ্যায়)

৫৯০২/৩৭: মুহাম্মদ ইব্ন মাহবুব (রঃ) ……… আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত । নবী (সাঃ) জুমু‘আর দিনে খুতবা দিচ্ছিলেন । একব্যক্তি দাঁড়িয়ে বললো : । ইয়া আল্লাহ আপনি আমাদের উপর বৃষ্টির জন্য দু’আ করূন । (তিনি দু’আ করলেন) তখনই আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে গেল এবং এমন বৃষ্টি হলো যে, মানুষ আপন ঘরে পৌছতে পারলো না এবং পরবর্তী জুমু‘আ পর্যন্ত একাধারে বৃষ্টি হতে থাকলো । পরবর্তী জুমু’আর দিনে সেই ব্যক্তি অন্য একব্যক্তি দাঁড়িয়ে বললো : আপনি আল্লাহর কাছে দু’আ করূন,  তিনি যেন আমাদের উপর থেকে মেঘ সরিয়ে নেন । আমরা তো ডুবে গেলাম । তখন তিনি দু’আ করলেন : ইয়া আল্লাহ! আপনি আমাদের আশে-পাশে বর্ষণ করূন । আমাদের উপর (আর) বর্ষণ করবেন না । তখন মেঘ বিক্ষিপ্ত হয়ে আশে-পাশে ছড়িয়ে পড়লো । মদীনাবাসীর উপর আর বৃষ্টি হলো না ।

হাদিস নং: ৫৯০৩ (দু‘আ অধ্যায়)

৫৯০৩/৩৮: মূসা ইব্ন ইসমাঈল (রঃ) ……… আব্দুল্লাহ ইব্ন যায়দ (রাঃ) থেকে বর্ণিত । তিনি বলেন, একবার নবী (সাঃ) ইসতিসকার (বৃষ্টির) সালাতের উদ্দেশ্যে এ ঈদগাহে গমন করলেন এবং বৃষ্টির জন্য দু’আ করলেন । তারপর কিবলামুখী হয়ে নিজের চাদরখানা উল্টিয়ে গায়ে দিলেন ।

হাদিস নং: ৫৯০৪ (দু‘আ অধ্যায়)

৫৯০৪/৩৯: আব্দুল্লাহ ইব্ন আবুল আসওয়াদ (রঃ) ……… আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত । তিনি বলেন, আমার মা বললেন : ইয়া রাসূলুল্লাহ! আনাস আপনারই খাদেম । আপনি তার জন্য দু’আ করূন । তিনি দু’আ করলেন : ইয়া আল্লাহ! আপনি তার সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি বাড়িয়ে দিন । আর তাকে আপনি যা কিছু দান করেছেন তাতে বরকত দান করূন ।

হাদিস নং: ৫৯০৫ (দু‘আ অধ্যায়)

৫৯০৫/৪০: মুসলিম ইব্ন ইব্রাহীম (রঃ) ……… ইব্ন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত । তিনি বলেন : নবী (সাঃ) বিপদের সময় এ দু’আ পড়তেন : আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই । যিনি মহান ও ধর্যশীল । আল্লাহ ভিন্ন আর কোন ইলাহ নেই । তিনিই আসমান যমীনের রব ও মহান আরশের প্রভু ।

হাদিস নং: ৫৯০৬ (দু‘আ অধ্যায়)

৫৯০৬/৪১: মুসাদ্দাদ (রঃ) ……… ইব্ন আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত । সংকটের সময় নবী (সাঃ) এ দু’আ পড়তেন : আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই, যিনি অতি উচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন ও অশেষ ধৈর্যশীল, আল্লাহ ব্যতীত আর কোন ইলাহ নেই । আরশে আযীমের প্রভু । আল্লাহ ছাড়া আর কোন মাবূদ নেই । আসমান যমীনের প্রতিপালক ও সম্মানিত আরশের মালিক ।

হাদিস নং: ৫৯০৭ (দু‘আ অধ্যায়)

৫৯০৭/৪২: আলী ইব্ন আব্দুল্লাহ (রঃ) ……… আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত । তিনি বলেন, নবী (সাঃ) বালা মুসীবতের কঠোরতা, দুর্ভাগ্যে নিঃপতিত হওয়া, নিয়তির অশুভ পরিণাম এবং দুশমনের খুশি হওয়া থেকে পানাহ্ চাইলেন । সুফিয়ান (রঃ) হাদীসে তিনটির কথা বর্ণনা করেছেন । একটি আমি বৃদ্ধি করেছি । জানিনা তা এগুলোর কোনটি ।

হাদিস নং: ৫৯০৮ (দু‘আ অধ্যায়)

৫৯০৮/৪৩: সাঈদ ইব্ন উফায়র (রঃ) ……… আয়িশা (রাঃ) বর্ণনা করেন । নবী (সাঃ) সুস্থাবস্থায় বলতেন : জান্নাতের স্থান না দেখিয়ে কোন নবীর জান কবয করা হয় না, যতক্ষণ না তাঁকে তাঁর ঠিকানা দেখানো হয় এবং তাঁকে ইখতিয়ার দেওয়া হয় (দুনিয়াতে থাকবেন না আখিরাতকে গ্রহণ করবেন) । এরপর যখন তাঁর মৃত্যুকাল  উপস্থিত হলো, তখন তাঁর মাথাটা আমার উরূর উপর ছিল । কিছুক্ষণ অজ্ঞান থাকার পর তাঁর জ্ঞান ফিরে এলো । তখন তিনি ছাদের দিকে তাকিয়ে বললেন : “আল্লাহুম্মা রাফীকাল আলা” ইয়া আল্লাহ! আমি রাফীকে আলা (শ্রেষ্ঠ বন্ধু) কে গ্রহণ করলাম । আমি বললাম : এখন থেকে তিনি আর আমাদের পছন্দ করবেন না । আর এটাও বুঝতে পারলাম যে, তিনি সুস্থাবস্থায় আমাদের কাছে যা বলতেন এটি তাই । আর তা সঠিক । আয়িশা (রাঃ) বলেন এটি ছিল তাঁর সর্বশেষ বাক্য যা তিনি বললেন : “ইয়া আল্লাহ! আমি শ্রেষ্ঠ বন্ধুকে গ্রহণ করলাম” ।

হাদিস নং: ৫৯০৯ (দু‘আ অধ্যায়)

৫৯০৯/৪৪: মুসাদ্দাদ (রঃ) ……… কায়স (রঃ) থেকে বর্ণিত । আমি খাব্বাব (রাঃ) এর কাছে এলাম । তিনি লৌহা গরম করে শরীরে সাতবার দাগ দিয়েছিলেন । তিনি বললেন : যদি রাসূলুল্লাহ (সাঃ) আমাদের মৃত্যুর জন্য দু’আ করতে নিষেধ না করতেন, তাহলে আমি তাঁর জন্য দু’আ করতাম ।