শনিবার, ১৪ জুন, ২০১৪

কুরআন ও সুন্নাহকে দৃঢ়ভাবে ধারণ করা অধ্যায়

পরিচ্ছেদ : ৩০৭৪/ কিতাব ও সুন্নাহ্ কে দৃঢ়ভাবে ধারণ করা । -
পরিচ্ছেদ : ৩০৭৫/  নবী (সাঃ) এর বাণীঃ আমি ‘জাওয়ামউল কালিম’ সহ প্রেরিত হয়েছি । -
পরিচ্ছেদ : ৩০৭৬/ রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) এর সুন্নাতের অনুসরণ বাঞ্ছনীয় । আল্লাহ্ তা‘আলার বাণীঃ আমাদরেকে মুত্তাকীদের জন্য আদর্শস্বরূপ কর (২৫:৭৪) । জনৈক বর্ণনাকারী বলেছেন, এরূপ ইমাম  যে আমরা আমাদের পুর্ববর্তীদের অনুসরন করব, আর আমাদের পরবর্তীরা আমাদের অনুসরণ করবে । ইব্ন আউন বলেন, তিনটি জিনিস আমি আমার নিজের জন্য ও আমার ভাইদের জন্য পছন্দ করি । এই সুন্নাত, যা শিখবে এবং জানবার জন্য এর সম্পর্কে প্রশ্ন করবে । কুরআন, যা তারা ভালভাবে বুঝতে চেষ্টা করবে এবং জানবার জন্য এর সম্পর্কে প্রশ্ন করবে । এবং কল্যাণ ব্যতীত লোকদের থেকে পৃথক থাকবে অর্থা কল্যাণের প্রতি আহবান করবে । -
পরিচ্ছেদ : ৩০৭৭/ অধিক প্রশ্ন করা এবং অনর্থক কষ্ট করা নিন্দনীয় এবং আল্লাহ্ তা‘আলার বাণীঃ তোমরা সেসব বিষয়ে প্রশ্ন করো না, যা প্রকাশিত হলে তোমরা দুঃখিত হবে (৫:১০১) ।  -
পরিচ্ছেদ : ৩০৭৮/ নবী (সাঃ) এর কাজকর্মের অনুসরণ । -
পরিচ্ছেদ : ৩০৭৯/ দীনের ক্ষেত্রে মাত্রাতিরিক্ত কঠোরতা অবলম্বন, তর্ক-বিতর্কে প্রবৃত্ত হওয়া, বাড়াবাড়ি করা এবং বিদআত অপছন্দনীয় । কেননা আল্লাহ্ তা‘আলা ইরশাদ করেছেনঃ হে কিতাবীরা! তোমরা দীনের ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করো না এবং আল্লাহ্ সম্পর্কে সত্য ব্যতীত বলো না . . . (৪:১৭১) । -
পরিচ্ছেদ : ৩০৮০/ বিদআত এর প্রবর্তকদের আশ্রয়দানকারীর অপরাধ । হযরত আলী (রাঃ) নবী (সাঃ) থেকে এ মর্মে একটি হাদীস বর্ণনা করেছেন । -
পরিচ্ছেদ : ৩০৮১/ মনগড়া মত ও ভিত্তিহীন কিয়াস নিন্দনীয় । আল্লাহ্ তা‘আলার বাণীঃ যে বিষয়ে তোমার কোন জ্ঞান নেই, তার অনুসরণ করো না . . . (১৭:৩৬) । -
পরিচ্ছেদ : ৩০৮২/ ওহী অবতীর্ণ হয়নি এমন কোন বিষয়ে নবী (সাঃ) কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলতেনঃ আমি জানি না কিংবা সে ব্যাপারে ওহী অবতীর্ণ না হওয়া পর্যন্ত কোন জবাব দিতেন না এবং তিনি ব্যক্তিগত মতের উপর ভিত্তি করে কিংবা অনুমান করে কিছুই বলতেন না । কেননা, আল্লাহ্ তা‘আলার বাণীঃ আল্লাহ্ আপনাকে যা কিছু জানিয়ে দিয়েছেন তার দ্বারা (ফয়সালা করূন) । ইব্ন মাসউদ (রাঃ) বলেন, নবী (সাঃ) কে রূহ্ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে ওহী অবতীর্ণ হওয়া পর্যন্ত তিনি চুপ ছিলেন । -
পরিচ্ছেদ : ৩০৮৩/ নবী (সাঃ) নারী-পুরূষ নির্বিশেষে তাঁর উম্মতদেরকে সে বিষয়েরই শিক্ষা দিতেন, যা আল্লাহ্ তাঁকে শিখিয়ে দিতেন, ব্যক্তিগত মত বা দৃষ্টান্তের উপর ভিত্তি করে নয় । -
পরিচ্ছেদ : ৩০৮৪/ নবী (সাঃ) এর বাণীঃ আমার উম্মতের মাঝে এক জামাআত সর্বদাই হকের উপর বিজয়ী থাকবেন । আর তাঁরা হলেন আহলে ইল্ম । -
পরিচ্ছেদ : ৩০৮৫/ আল্লাহ্ তা‘আলার বাণীঃ অথবা তোমাদেরকে বিভিন্ন দলে বিভক্ত করতে . . . (৬:৬৫) । -
পরিচ্ছেদ : ৩০৮৬/ কোন বিষয় সম্পর্কে প্রশ্নকারীকে সুস্পষ্টরূপে বুঝিয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে (আল্লাহ্র পক্ষ থেকে) সুস্পষ্ট হুকুম বর্ণিত আছে এরূপ কোন বিষয়ের সাথে অন্য আর একটি বিষয়ের নিয়ম মোতাবেক তুলনা করা । -
পরিচ্ছেদ : ৩০৮৭/ আল্লাহ্ তা‘আলা যা অবতীর্ণ করেছেন, তার আলোকে ফায়সালার মধ্যে ইজতিহাদ করা । কেননা, আল্লাহ্ তা‘আলার বাণীঃ আল্লাহ্ যা অবতীর্ণ করেছেন তদনুসারে যারা বিধান দেয় না তারাই যালিম . . . (৫:৪৫) । যারা হিকমতের সাথে বিচার করে ও হিকমতের তালীম দেন এবং মনগড়া কোন ফায়সালা করেন না, (এরূপ হিকমতের অধিকালী ব্যক্তির) নবী (সাঃ) প্রশংসা করেছেন । খলীফাদের সাথে পরামর্শ করা এবং বিচারকদের আহলে উলমদের কাছে জিজ্ঞাসা করা । -
পরিচ্ছেদ : ৩০৮৮/ নবী (সাঃ) এর বাণীঃ অবশ্যই তোমরা তোমাদের পূর্ববর্তীদের আচার-আচরণের অনুকরণ করতে থাকবে । -
পরিচ্ছেদ : ৩০৮৯/ গোমরাহীর দিকে আহবান করা অথবা কোন খারাপ তরীকা প্রবর্তনের অপরাধ । কারণ আল্লাহ্ তা‘আলার বাণীঃ এবং পাপভার তাদেরও যাদের তারা অজ্ঞতাহেতু বিভ্রান্ত করেছে . . . . (১৬:২৫) । -
পরিচ্ছেদ : ৩০৯০/ নবী (সাঃ) যা বলেছেন এবং আলেমদেরকে ঐক্যের প্রতি যে উসাহ প্রদান করেছেন । আর যেসব বিষয়ে হারামাঈন মক্কা ও মদীনার আলেমগণ ঐক্যমত্য পোষণ করেছেন । মদীনায় নবী (সাঃ) মুহাজির ও আনসারদের সৃতিচিহ্ন এবং নবী (সাঃ) এর নামাযের স্থান, মিম্বর ও কবর সম্পর্কে । -
পরিচ্ছেদ : ৩০৯১/ মহান আল্লাহ্র বাণীঃ (হে আমার হাবীব) চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের দায়িত্ব আপনার নয় । -
পরিচ্ছেদ : ৩০৯২/ মহান আল্লাহ্র বাণীঃ মানুষ অধিকাংশ ব্যাপারেই বিতর্কপ্রিয় (১৮:৫৪) । মহান আল্লাহ্র বাণীঃ তোমরা কিতাবীদের সাথে বিতর্ক করবে না . . . (২৯:৪৬) । -
পরিচ্ছেদ : ৩০৯৩/ মহান আল্লাহ্র বাণীঃ এভাবে আমি তোমাদেরকে এক মদ্যপন্থী জাতিরূপে প্রতিষ্ঠিত করেছি, যাতে তোমরা মানব জাতির জন্য সাক্ষীস্বরূপ হবে (২:১৪৩) । নবী (সাঃ) জামাআতকে আঁকড়ে ধরে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন । আর জামাঅত বলতে আলেমদের জামাআতকেই বলা হয়েছে । -
পরিচ্ছেদ : ৩০৯৪/ কোন কর্মকর্তা-কর্মচারী কিংবা বিচারক অজ্ঞতাবশত ইজতিহাদে ভুল করে রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) এর মতের বিরূদ্ধে সিদ্ধান্ত দিলে তা অগ্রাহ্য হবে । কেনণা নবী (সাঃ) বলেছেনঃ কোন ব্যক্তি যদি এমন কাজ করে, যার আমি নির্দেশ করিনি তা অগ্রাহ্য । -
পরিচ্ছেদ : ৩০৯৫/ বিচা্রক ইজতিহাদে সঠিক কিংবা ভুল সিদ্ধান্ত নিলেও তার প্রতিদান রয়েছে । -
পরিচ্ছেদ : ৩০৯৬/ প্রমাণ তাদের উক্তির বিরূদ্ধে, যারা বলে নবী (সাঃ) এর সব কাজই সুস্পষ্ট ছিল । কোন কোন সাহাবী নবী (সাঃ) এর দরবার থেকে অনুপস্থিত থাকা যে স্বাভাবিক ছিল যদ্দরূন তাঁদের জন্য ইসলামের বিধিবিধান থেকে লাওয়াকিফ থাকাও স্বাভাবিক ছিল এর প্রমাণ । -
পরিচ্ছেদ : ৩০৯৭/ কোন বিষয় নবী (সাঃ) কর্তৃক অস্বীকৃতি জ্ঞাপন না করাই তা বৈধ হওয়ার প্রমাণ । অন্য কারো অস্বীকৃতি বৈধতার প্রমাণ নয় । -
পরিচ্ছেদ : ৩০৯৮/ দলীল-প্রমাণাদির দ্বারা যেসব বিধিবিধান সম্পর্কে অবগত হওয়া যায় । দলীল-প্রমাণাদির অর্থ ও বিশ্লেষণ বিভাবে করা যায়? নবী (সাঃ) ঘোড়া ইত্যাদির হুকুম বলে দিয়েছেন । এরপর তাঁকে গাধার হুকুম সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি মহান আল্লাহ্র নিম্নোক্ত বাণীর দিকে ইশারা করেনঃ কেউ অনু পরিমাণ সকর্ম করলেও তা দেখতে পাবে (৯৯:৭) । নবী (সাঃ) কে ‘দব্ব’ (গুইসাপ) সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেনঃ আমি এটি খাই না, তবে হারামও বলি না । নবী (সাঃ) এর দস্তরখানে ‘দব্ব’ খাওয়া হয়েছে । এর দ্বারা ইব্ন আব্বাস (রাঃ) প্রমাণ করেছেন যে, ‘দব্ব’ হারাম নয় । -
পরিচ্ছেদ : ৩০৯৯/ নবী (সাঃ) এর বাণীঃ আহলে কিতাবদের কাছে কোন বিষয়ে জিজ্ঞাসা করো না । ‘আবুল ইয়ামান (রঃ) বলেন, শুয়াইব (রঃ),ইমাম যুহরী (রঃ) হুমায়দ ইব্ন আবদুর রাহমান (রঃ) সূত্রে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি মু‘আবিয়া (রাঃ) কে মদীনঅয় বসবাসরত কুরায়শ বংশীয় কতীপয় লোককে আলাপ-আলোচনা করতে শুনেছেন । তখন কা‘ব আহবারের কথা এসে যায় । মু‘আবিয়া (রাঃ) বললেন, যারা পূর্ববর্তী কিতাব সম্পর্কে আলোচনা করেন, তাদের মধ্যে তিনি অধিকতর সত্যবাদী, যদিও বর্ণিত বিষয়সমূহ ভিত্তিহীন । -
পরিচ্ছেদ : ৩১০০/ নবী (সাঃ) এর নিষেধাজ্ঞা দ্বারা হারাম সাব্যস্ত হয় । তবে অন্য দলীলের দ্বারা যা মুবাহ্ হওয়া প্রমাণিত তা ব্যতীত । অনুরূপ তাঁর নির্দেশ দ্বারা ওয়াজিব সাব্যস্ত হয় । তবে অন্য দলীল দ্বারা তা মুবাহ্ হওয়া প্রমাণিত হলে ভিন্ন কথা । যেমন নবী (সাঃ) এর বাণীঃ যখন তোমরা হালাল (ইহরাম থেকে) হয়ে যাও, নিজ স্ত্রীর সাথে সহবাস করবে । জাবির (রাঃ) বলেন, এ কাজ তাদের জন্য ওয়াজিব করা হয়নি । বরং তাদের জন্য (স্ত্রী ষহবাস) হালাল করা হয়েছে । উম্মে আতীয়্যা (রাঃ) বলেছেন, আমাদেরকে (মহিলাদের) জানাযার সাথে যেতে নিষেধ করা হয়েছে । এ নিষেধাজ্ঞা অঅমাদের উপর বধ্যতামূলক নয় । -
পরিচ্ছেদ : ৩১০১/ মতবিরোধ অপছন্দনীয় । -
পরিচ্ছেদ : ৩১০২/ মহান আল্লাহ্ এর বাণীঃ তারা নিজেদের মধ্যে পরামর্শের মাধ্যমে নিজেদের কর্ম সম্পাদন করে (৪২:৩৮) । এবং পরামর্শ করো তাঁদের সাথে কর্মের ব্যাপারে । পরামর্শ হলো স্থির সিদ্ধান্ত ও লক্ষ্য নির্ধারণের পূর্বে । যেমন, মহান আল্লাহ্ এর বাণীঃ এরপর যখন তুমি দৃঢ়সংকল্প হও, তখন আল্লাহ্র উপর ভরসা কর । রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) যখন কোন বিষয়ে দৃঢ়সংকল্প হন, তখন আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলের মতের পরিপন্থি অগ্রসর হওয়ার ব্যাপারে কারো কোন অধিকার থাকে না । ওহুদের যুদ্ধের দিনে নবী (সাঃ) তাঁর সাহাবীদের সাথে এ পরামর্শ করেন যে, যুদ্ধ কি মদীনায় অবস্থান করেই চালাবেন, না বাইরে গিয়ে? সাহাবাগণ মদীনার বাইরে গিয়ে যুদ্ধ করা কে রায় দিলেন । রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) যুদ্ধের পোশাক পরিধান করলেন এবং যখন যুদ্ধের জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হলেন, তখন সাহাবাগণ আরয করলেন, মদীনায়ই অবস্থান করূন । কিন্ত তিনি দৃঢ়সংকল্প হওয়ার পর তাদের এই মতামতের প্রতি ভ্রুক্ষেপ করলেন না । তিনি মন্তব্য করলেনঃ কোন নবীর সামরিক পোশাক পরিধান করার পর আল্লাহ্ এর পক্ষ থেকে নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত তা খুলে ফেলা সমীচীন নয় । তিনি আলী (রাঃ) ও উসমান (রাঃ) এর সাথে আয়িশা (রাঃ) এর উপর যিনার মিথ্যা অপবাদ লাগানোর ব্যপারে পরামর্শ করেন । তাদের কথা তিনি শোনেন । এরপর কুরআনের আয়াত অবতীর্ণ হয় । মিথ্যা অপবাদকারীদেরকে তিনি বেত্রাঘাত করেন । তাঁদের পরস্পর মতান্তরের দিকে লক্ষ্য না করে আল্লাহ্ এর নির্দেশানুসারেই নিদ্ধান্ত নেন । নবী (সাঃ) এর পরে ইমামগণ মুবাহ্ বিষয়াদিতে বিশ্বস্ত আলেমদের কাছে পরামর্শ চাইতেন, যেন তুলনমিুলক সহজ পথ তারা গ্রহণ করতে পারেন । হ্যাঁ, যদি কিতাব কিংবা সুন্নাহতে আলোচ্য বিষয়ে কোন পরিস্কার ব্যাখ্যা পাওয়া যেত, তখন তারা নবী (সাঃ) এর কথারই অনুসরণ করতেন, অন্য কারো কথার প্রতি ভ্রুক্ষেপ করতেন না । যাকাত যারা বন্ধ করে দিয়েছিল, আবূ বকর (রাঃ) তাদের বিরূদ্ধে যুদ্ধ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলেন । উমর (রাঃ) তখণ বললেন,আপনি কিভাবে লোকদের বিরূদ্ধে যুদ্ধ করবেন, অথচ রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) বলেছেনঃ আমি এতক্ষণ পর্যন্ত তাদের বিরূদ্ধে যুদ্ধ করতে আদিষ্ট হয়েছি, যতক্ষণ না তারা বলবে “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্” । তারা যখন ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্’ বলবে তখন তারা আমার কাছ থেকে তাদের জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা লাভ করবে । তবে ইসলামের হকের ব্যাপার ।ভিন্নতর । আর সে ব্যাপারে তাদের হিসাব-নিকাশ আল্লাহ্ এর উপর । আবূ বকর (রাঃ) বললেন, আল্লাহ্ এর কসম! আমি তাদের বিরূদ্ধে যুদ্ধ অবশ্যই করব, যারা রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) এর সুসংহত বিষয়ের মধ্যে বিচ্ছিন্নতা সৃষ্টি করে । পরিশেষে উমর (রাঃ) তাঁর সিদ্ধান্তই মেনে নিলেন । আবূ বকর (রাঃ) এ ব্যাপারে পরামর্শ করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন নি । কেননা, যারা নামায ও যাকাতের মধ্যে পার্থক্য সৃষ্টি করে এবং ইসলামের নির্দেশাবলী পরিবর্তন ও বিকৃতি সাধনের অপচেষ্টা করে, তাদের বিরূদ্ধে রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) এর সিদ্ধান্ত তাঁর সামনে বিদ্যমান ছিল । কেননা, নবী (সাঃ) বলেছেনঃ যে ব্যাক্তি নিজের দীনকে পরিবর্তন করে তাকে হত্যা কর । উমর (রাঃ) এর পরামর্শ পরিষদের সদস্যগণ কুরআন বিশেষজ্ঞ ছিলেন । চাই তারা বয়োবৃদ্ধ হোন কিংবা যুবক । আল্লাহ্ এর কিতাবের প্রতি উমর (রাঃ) ছিলেন অধিক অবহিত । -
হাদিস নং: ৬৮৬৭/৯৬