সোমবার, ৬ আগস্ট, ২০১২

আচার-ব্যবহার অধ্যায়



পরিচ্ছেদ : ২৪৩৩/ মহান আল্লাহ্ তা‘আলার বাণীঃ আমি মানুষকে তার পিতা-মাতার সাথে উত্তম ব্যবহার করার নির্দেশ দিয়েছি । -
পরিচ্ছেদ : ২৪৩৪/ উত্তম ব্যবহার পাওয়ার কে বেশী হকদার ? -
পরিচ্ছেদ : ২৪৩৫/ পিতা-মাতার অনুমতি ছাড়া জিহাদে যাবে না । -
পরিচ্ছেদ : ২৪৩৬/ কোন লোক তার পিতা-মাতাকে গাল দেবে না । -
পরিচ্ছেদ : ২৪৩৭/ পিতা-মাতার প্রতি উত্তম ব্যবহারকারীর দু‘আ কবূল হওয়া । -
পরিচ্ছেদ : ২৪৩৮/ মা-বাবার নাফরমানী করা কবীরা গুনাহ্ । -
পরিচ্ছেদ : ২৪৩৯/ মুশরিক পিতার সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখা । -
পরিচ্ছেদ : ২৪৪০/ যে স্ত্রীর স্বামী আছে, ঐ স্ত্রীর পক্ষে তার নিজের মায়ের সঙ্গে ভাল ব্যবহার অক্ষুণ্ন রাখা । লায়স (রঃ) . . . . হযরত আসমা (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন । তিনি বলেন, কুরাইশরা যে সময়ে নবী (সাঃ) এর সঙ্গে সন্ধি চুক্তি করেছিল, ঐ চুক্তিকালীন সময়ে আমার মুশরিক মা তাঁর পিতার সঙ্গে এলেন । আমি নবী (সাঃ) এর কাছে জিজ্ঞাসা করলামঃ আমার মা এসেছেন, তবে সে অমুসলিম । আমি কি তাঁর সঙ্গে ভাল ব্যবহার করবো ? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ । তোমার মায়ের সঙ্গে উত্তম ব্যবহার করো । -
পরিচ্ছেদ : ২৪৪১/ মুশরিক ভাইয়ের সঙ্গে সৌজন্যমূলক ব্যবহার করা । -
পরিচ্ছেদ : ২৪৪২/ রক্ত সম্পর্ক রক্ষা করার ফযীলত । -
পরিচ্ছেদ : ২৪৪৩/ আত্নীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারীর পাপ । -
পরিচ্ছেদ : ২৪৪৪/ রক্ত সম্পর্ক রক্ষা করলে রিযিক বৃদ্ধি হয় । -
পরিচ্ছেদ : ২৪৪৫/ যে ব্যক্তি আত্নীয়র সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখবে, আল্লাহ্ তার সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখবেন । -
পরিচ্ছেদ : ২৪৪৬/ রক্ত সম্পর্ক সঞ্জীবিত হয়, যদি সুসম্পর্কের দ্বারা তা সিঞ্চন করা হয় । -
পরিচ্ছেদ : ২৪৪৭/ প্রতিদানকারী আত্নীয়তার হক আদায়কারী নয় । -
পরিচ্ছেদ : ২৪৪৮/ যে লোক মুশরিক অবস্থায় আত্নীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখে, তারপর ইসলাম গ্রহন করে । -
পরিচ্ছেদ : ২৪৪৯/ অন্যের শিশু কন্যাকে নিজের সাথে খেলাধুলা করতে বাধা না দেওয়া অথবা তাকে চুম্বন দেওয়া, তার সাথে হাসি-ঠাট্টা করা । -
পরিচ্ছেদ : ২৪৫০/ সন্তানকে আদর-স্নেহ করা, চুমু দেওয়া ও আলিঙ্গন করা । সাবিত (রঃ) হযরত আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন, নবী (সাঃ) (তাঁর পুত্র) ইব্রাহীমকে চুমু দিয়েছেন ও তার ঘ্রাণ নিয়েছেন । -
পরিচ্ছেদ : ২৪৫১/ আল্লাহ্ দয়া-মায়াকে একশ ভাগে ভাগ করেছেন । -
পরিচ্ছেদ : ২৪৫২/ সন্তান খাবে, এ ভয়ে তাকে হত্যা করা । -
পরিচ্ছেদ : ২৪৫৩/ শিশুকে কোলে নেওয়া । -
পরিচ্ছেদ : ২৪৫৪/ শিশুকে রানের উপর রাখা । -
পরিচ্ছেদ : ২৪৫৫/ সম্মানিত ব্যক্তির সাথে সৌজন্যমূলক আচরণ করা ইমানের অংশ । -
পরিচ্ছেদ : ২৪৫৬/ ইয়াতীমের তত্ত্বাবধানকারীর ফযীলত । -
পরিচ্ছেদ : ২৪৫৭/ বিধবার ভরণ-পোষণের চেষ্টাকারী । -
পরিচ্ছেদ : ২৪৫৮/ মিসকীনদের অভাব দূরীকরণের চেষ্টারত ব্যক্তি সম্পর্কে । -
পরিচ্ছেদ : ২৪৫৯/ মানুষ ও পশুর প্রতি দয়া । -
পরিচ্ছেদ : ২৪৬০/ প্রতিবেশীর জন্য অসীয়ত । মহান আল্লাহ তা‘আলার বাণীঃ তোমরা আল্লাহর ইবাদত করো, তাঁর সাথে কাউকে শরীক করো না, পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহার করো এবং আত্নীয়-স্বজন, ইয়াতীম, মিসকীন, নিকটবর্তী প্রতিবেশী, সাথী-সঙ্গী, পথিক এবং তোমাদের অধীনস্থ দাস-দাসীর সাথেও । আল্লাহ্ গর্বীত অহংকারী লোককে কখনও ভালবাসেন না । -
পরিচ্ছেদ : ২৪৬১/ যে ব্যক্তির অনিষ্ট থেকে তার প্রতিবেশী নিরাপদ থাকে না, তার গুনাহ্ । -
পরিচ্ছেদ : ২৪৬২/ কোন প্রতিবেশী নারী তার প্রতিবেশী নারীকে তুচ্ছ মনে করবে না । -
পরিচ্ছেদ : ২৪৬৩/ যে ব্যক্তি আল্লাহ্ ও আখিরাতের দিনে ইমান রাখে, সে যেন তার প্রতিবেশীকে কষ্ট না দেয় । -
পরিচ্ছেদ : ২৪৬৪/ প্রতিবেশীদের অধিকার নির্ধারিতহবে দরজার নিকটবর্তীতার দ্বারা । -
পরিচ্ছেদ : ২৪৬৫/ প্রত্যেক সকাজই সাদাকা । -
পরিচ্ছেদ : ২৪৬৬/ মধুর ভাষা সাদাকা । হযরত আবূ হুরায়রা (রাঃ) নবী (সাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, মদুর ভাষাও হল সাদাকা । -
পরিচ্ছেদ : ২৪৬৭/ সকল কাজে নম্রতা । -
পরিচ্ছেদ : ২৪৬৮/ মু‘মিনদের পরস্পর সহযোগিতা । -
পরিচ্ছেদ : ২৪৬৯/ আল্লাহ্ তা‘আলার বাণীঃ যে ব্যক্তি ভাল কাজের সুপারিশ করে, সে ঐ কাজের সওয়াবের একটা অংশ পাবে ।. . . . .ক্ষমতাবান পর্যন্ত । “কিফলুন” অর্থ অংশ । আবূ মুসা (রাঃ) বলেছেনঃ হব্শী ভাষায় “কিফলাইন” শব্দের অর্থ হলো, দ্বিগুণ সওয়াব । -
পরিচ্ছেদ : ২৪৭০/ নবী (সাঃ) অশালীন ছিলেন না, আর ইচ্ছা করে অশালীন উক্তি করতেন না । -
পরিচ্ছেদ : ২৪৭১/ সচ্চরিত্রতা, দানশীলতা ও কৃপণতা ঘৃণ্য হওয়া সম্পর্কে । ইব্ন আব্বাস (রাঃ) বলেছেন, নবী (সাঃ) মানবজাতির মধ্যে সবচেয়ে দানশীল ছিলেন । আর রামযান মাসে তিনি আরও বেশী দানশীল হতেন । আবূ যার (রাঃ) বর্ণনা করেন, যখন তাঁর কাছে নবী (সাঃ) এর আবির্ভাবের সংবাদ পৌছে তখন তিনি তাঁর ভাইকে বললেন, তুমি এই মক্কা উপত্যকার দিকে সফর কর এবং তাঁর বাণী শুনে এসো । তাঁর ভাই ফিরে গিয়ে বললেনঃ আমি তাঁকে উত্তম চরিত্রের নির্দেশ দিতে দেখেছি । -
পরিচ্ছেদ : ২৪৭২/ মানুষ নিজ পরিবারে কিভাবে চলবে । -
পরিচ্ছেদ : ২৪৭৩/ ভালবাসা আল্লাহ্ তা‘আলার তরফ থেকে আসে । -
পরিচ্ছেদ : ২৪৭৪/ আল্লাহ্ তা‘আলার উদ্দেশ্যে ভালবাসা । -
পরিচ্ছেদ : ২৪৭৫/ আল্লাহ্ তা‘আলার বাণীঃ “হে ইমানদারগণ! তোমরা একদল অপর দলের প্রতি উপহাস করবে না । সম্ভবতঃ উপহাস্য দল, উপহাসকারীদের চেয়ে উত্তম হতে পারে . . . . . আর তারাই যালিম । -
পরিচ্ছেদ : ২৪৭৬/ গালি ও অভিশাপ দেওয়া নিষিদ্ধ । -
পরিচ্ছেদ : ২৪৭৭/ মানুষের গুণাগুণ উল্লেখ করা জায়েয । যেমন লোকে কাউকে বলে ‘লম্বা’ অথবা ‘খাটো’ । আর নবী (সাঃ) কাউকে ‘যুল্ ইয়াদাইন’ (লম্বা হাতওয়ালা) বলেছেন । তবে কারো বদনাম অথবা অপমান করার উদ্দেশ্যে (জায়েয) নয় । -
পরিচ্ছেদ : ২৪৭৮/ গীবত করা । এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহর বাণীঃ তোমাদের কউ যেন অন্যের গীবত না করে . . . . অতি দয়ালু পর্যন্ত । -
পরিচ্ছেদ : ২৪৭৯/ নবী (সাঃ) এর বাণীঃ আনসারদের ঘরগুলো উত্তম । -
পরিচ্ছেদ : ২৪৮০/ ফ্যাসাদ ও সন্দেহ সৃষ্টিকারীদের গীবত করা জায়েয । -
পরিচ্ছেদ : ২৪৮১/ চোগলখোরী কবীরা গুনাহ্ । -
পরিচ্ছেদ : ২৪৮২/ চোগলখোরী নিন্দনীয় গুনাহ্ । আল্লাহর বাণীঃ অধিক কসমকারী, লাস্থিত ব্যক্তি পশ্চাতে নিন্দাকারী এবং চোগলখোরী করে বেড়ায় এমন ব্যক্তি । প্রত্যেক চোগলখোর ও প্রত্যেক প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ নিন্দাকারীদের ধ্বংস অনিবার্য । -
পরিচ্ছেদ : ২৪৮৩/ মহান আল্লাহ্ তা‘আলার বাণীঃ তোমরা মিথ্যা কথা পরিহার কর । -
পরিচ্ছেদ : ২৪৮৪/ দু‘মুখো ব্যক্তি সম্পর্কে । -
পরিচ্ছেদ : ২৪৮৫/ আপন সঙ্গীকে তার সম্পর্কে অপরের উক্তি অবহিত করা । -
পরিচ্ছেদ : ২৪৮৬/ অপছন্দনীয় প্রশংসা -
পরিচ্ছেদ : ২৪৮৭/ নিজের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী কারো প্রশংসা করা । সা‘দ (রঃ) বলেন, আমি নবী (সাঃ) কে যমীনের উপর বিচরণকারী কারো সম্পর্কে একথা বলতে শুনি নি যে, সে জান্নাতী আব্দুল্লাহ ইব্ন সালাম (রাঃ) ব্যতীত । -
পরিচ্ছেদ : ২৪৮৮/ মহান আল্লাহ্ তা‘আলার বাণীঃ নিশ্চয়ই আল্লাহ্ ন্যায়বিচার ও সদ্ব্যবহারের নির্দেশ দান করেন . . . . গ্রহণ, পর্যন্ত । এবং আল্লাহর বাণীঃ তোমাদের সীমা অতিক্রম করার পরিণতি তোমাদেরই উপর বর্তাবে “যার উপর যুলুম করা হয়, নিশ্চয়ই আল্লাহ তাকে সাহায্য করেন ।” আর মুসলিম অথবা কাফিরের কু-কর্ম প্রচার থেকে বিরত থাকা । -
পরিচ্ছেদ : ২৪৮৯/ একে অন্যকে হিংসা করা এবং পরস্পর বিরোধিতা করা নিষিদ্ধ । মহান আল্লাহর বাণীঃ আমি হিংসুকের হিংসার অনিষ্ট থেকে তোমার আশ্রয় প্রর্থনা করছি । -
পরিচ্ছেদ : ২৪৯০/ মহান আল্লাহ্ তা‘আলার বাণীঃ হে মু‘মিনগণ! তোমরা বেশি অনুমান করা থেকে বিরত থাকো . . . . . আয়াতের শেষ পর্যন্ত । -
পরিচ্ছেদ : ২৪৯১/ কি ধরনের ধারণা করা যেতে পারে । -
পরিচ্ছেদ : ২৪৯২/ মু‘মিনের নিজের দোষ গোপন রাখা । -
পরিচ্ছেদ : ২৪৯৩/ অহংকার ।মুজাহিদ (রঃ) বলেনঃ (আল্লাহর বাণী) ‘আথপিহ্’ অর্থা তার ঘাড় । ‘সানিই আথপিই’ অর্থা নিজে নিজে মনে আহমিকা রপাষণকারী । -
পরিচ্ছেদ : ২৪৯৪/ সম্পর্ক ত্যাগ । এ সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) এর বাণীঃ কোন ব্যক্তির জন্য তার ভাইয়ের সাথে তিন দিনের অধিক কথাবার্তা পরিত্যাগ করা বৈধ নয় । -
পরিচ্ছেদ : ২৪৯৫/ যে আল্লাহর নাফরমাণী করে তার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করা জায়েয । কা‘ব ই্ন মালিক (রাঃ) যখন (তাবুক যুদ্ধের সময়) নবী (সাঃ) এর পিছনে থেকে গিয়েছিলেন, তখনকার কথা উল্লেখ করে বলেন যে, নবী (সাঃ) মুসলমানদের আমাদের সাথে কথাবার্তা বলা নিষেধ করে দিয়েছিলেন । তিনি পঞ্চাশ দিনের কথাও উল্লেখ করেন । -
পরিচ্ছেদ : ২৪৯৬/ আপন লোকের সাথে প্রতি দিনই সাক্ষা করবে অথবা সকালে ও বিকালে । -
পরিচ্ছেদ : ২৪৯৭/ দেখা-সাক্ষা এবং কোন লোকদের সাথে দেখা করতে গিয়ে, তাদের সেখানে খাবার গ্রহণ করা । সালমান (রাঃ) নবী (সাঃ) এর যামানায় আবূ দারদা (রাঃ) এর সাথে দেখা করতে যান এবং সেখানে খাবার গ্রহণ করেন । -
পরিচ্ছেদ : ২৪৯৮/ প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষা উপলক্ষে উত্তম পোশাক পরিধান করা । -
পরিচ্ছেদ : ২৪৯৯/ ভ্রাতৃত্বের ও প্রতিশ্রুতির বন্ধন স্থাপন । আবূ জুহায়ফা (রাঃ) বলেন, নবী (সাঃ) সালমান ও আবূ দারদা (রাঃ) এর মধ্যে ভ্রাতৃত্বের সম্পর্ক স্থাপন করেন । আব্দুর রাহমান ইব্ন আওফ (রাঃ) বলেনঃ আমরা মদীনায় এলে, নবী (সাঃ) আমার ও সাদ ইব্ন রাবী এর মধ্যে ভ্রাতৃত্বের সম্পর্ত স্থাপন করে দেন । -
পরিচ্ছেদ : ২৫০০/ মুচকি হাসি ও হাসি প্রসঙ্গে । ফাতেমা (রাঃ) বলেন, একবার নবী (সাঃ) আমাকে গোপনে একটি কথা বললেন, আমি হেসে ফেললাম । ইব্ন আব্বাস (রাঃ) বলেনঃ নিশ্চয়ই আল্লাহ্ হাসানো ও কাঁদানোর একমাত্র মালিক । -
পরিচ্ছেদ : ২৫০১/ মিথ্যা কথা বলা নিষিদ্ধ । আল্লাহ্ তা‘আলার বাণীঃ “হে ইমানদারগণ তোমরা আল্লাহকে ভয় করো এবং সত্যবাদীদের সাথে থাকো” । -
পরিচ্ছেদ : ২৫০২/ উত্তম চরিত্র । -
পরিচ্ছেদ : ২৫০৩/ ধৈর্যধারণ ও কষ্ট দেওয়া । আল্লাহর বাণীঃ নিশ্চয়ই ধৈর্যশীলদের অগণিত পুরস্কার দেওয়া হবে । -
পরিচ্ছেদ : ২৫০৪/ কারো মুখোমুখি তিরস্কার না করা । -
পরিচ্ছেদ : ২৫০৫/ কোন ব্যক্তি তার মুসলিম ভাইকে বিনা কারণে কাফির বললে তা তার নিজের উপরউ বর্তাবে । -
পরিচ্ছেদ : ২৫০৬/ কেউ যদি কাউকে না জেনে কিংবা নিজ ধারণা অনুযায়ী (কাফির বা মুনাফিক) সম্বোধন করে, তাকে কাফির বলা যাবেনা । উমর ইব্ন খাত্তাব (রাঃ) হাতিব ইব্ন বালতা‘আ (রাঃ) কে বলেছিলেন, ইনি মুনাফিক । তখন নবী (সাঃ) বললেনঃ তুমি কি করে জানলে ? অথচ আল্লাহ্ বদর যুদ্ধে অংশ গ্রহণকারীদের প্রতি লক্ষ্য করে বলেছেনঃ আমি তোমাদের গুনাহ মাফ করে দিলাম । -
পরিচ্ছেদ : ২৫০৭/ আল্লাহর বিধি-নিষেধের ব্যাপারে রাগ করা ও কঠোরতা অবলম্বন করা জায়েয । আল্লাহ্ বলেছেনঃ কাফির ও মুনাফিকদের বিরূদ্ধে জিহাদ করো এবং তাদের উপর কঠোরতা অবলম্বন করো । -
পরিচ্ছেদ : ২৫০৮/ ক্রোধ থেকে বেঁচে থাকা । মহান আল্লাহর বাণীঃ “যারা গুরূতর পাপ ও অশালীন কাজ থেকে বেঁচে থাকে এবং যখন ক্রোধান্বিত হয়, তখন তারা (তাদের) মাফ করে দেয় ।” (আল্লাহর বাণী) “যারা স্বচ্ছল ও অস্বচ্ছল অবস্থায় ব্যায় করে, আর যারা ক্রোধ সংবরণকারী ও মানুষের প্রতি ক্ষমাশীল, আল্লাহ্ সকর্ম পরায়ণদের ভালবাসেন ।” -
পরিচ্ছেদ : ২৫০৯/ লজ্জাশীলতা -
পরিচ্ছেদ : ২৫১০/ যখন তুমি লজ্জা ত্যাগ করবে, তখন তুমি যা ইচ্ছা তাই করতে পারবে । -
পরিচ্ছেদ : ২৫১১/ দ্বীনের জ্ঞান অর্জন করার উদ্দেশ্যে সত্য বলতে লজ্জাবোধ করতে নেই । -
পরিচ্ছেদ : ২৫১২/ নবী (সাঃ) এর বাণীঃ তোমরা নম্র ব্যবহার করো, আর কঠোর ব্যবহার করো না । নবী (সাঃ) মানুষের সাথে নম্র ব্যবহার পছন্দ করতেন । -
পরিচ্ছেদ : ২৫১৩/ মানুষের সাথে হাসিমুখে মেলামেশা করা । এব্ন সামউদ (রাঃ) বলেন, মানুষের সাথে এমনভাবে মেলামেশা  করবে, যেন তাতে তোমার দ্বীন আঘাতপ্রাপ্ত না হয় । আর পরিবারের সঙ্গে হাসি-তামাশা করা । -
পরিচ্ছেদ : ২৫১৪/ মানুষের সঙ্গে শিষ্টাচার করা । আবূ দারদা (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, আমরা কোন কোন কাওমের সাথে প্রকাশ্যে হাসি-খুশি মেলামেশা করি । কিন্তু আমাদের অন্তর গুলো তাদের উপর লানত বর্ষণ করে । -
পরিচ্ছেদ : ২৫১৫/ মু‘মিন এক গর্ত থেকে দু‘বার দংশিত হয়না । মু‘আবিয়া (রাঃ) বলেছেনঃ অভিজ্ঞতা ছাড়া সহনশীলতা সম্ভব নয় । -
পরিচ্ছেদ : ২৫১৬/ মেহমানের হক -
পরিচ্ছেদ : ২৫১৭/ মেহমানের সম্মান করা এবং নিজেই মেহমানের খেদমত করা । -
পরিচ্ছেদ : ২৫১৮/ খাবার তৈরি করা ও মেহমানের জন্য কষ্ট স্বীকার করা । -
পরিচ্ছেদ : ২৫১৯/ মেহমানের সামনে কারো উপর রাগ করা, আর অসহনশীল হওয়া অনুচিত । -
পরিচ্ছেদ : ২৫২০/ মেহমানকে মেজবানের (একথা) বলা যে, যতক্ষণ পর্যন্ত আপনি না খান ততক্ষণ আমিও খাব না ।এ সম্পর্কে নবী (সাঃ) থেকে আবূ জুহায়ফার হাদীস রয়েছে । -
পরিচ্ছেদ : ২৫২১/ বড়কে সম্মান কর । বয়সে বড়জনই কথাবার্তা ও প্রশ্নাদি আরম্ভ করবে । -
পরিচ্ছেদ : ২৫২২/ কবিতা পাঠ, সঙ্গীত ও উট চালানোর সঙ্গীতের মধ্যে যা জায়েয ও যা জায়েয না । -
পরিচ্ছেদ : ২৫২৩/ কবিতার মাধ্যমে মুশরিকদের নিন্দা করা । -
পরিচ্ছেদ : ২৫২৪/ যে কবিতা মানুষকে এতখানি প্রভাবিত করে, যা তাকে আল্লাহর স্মরণ, জ্ঞান অর্জন ও কুরআন থেকে বাধা দেয়, তা নিষিদ্ধ । -
পরিচ্ছেদ : ২৫২৫/ নবী (সাঃ) এর উক্তিঃ তোমার ডান হাত ধূলায় ধূসরিত হোক । তোমার হাত-পা ধ্বংস হোক এবং তোমার কন্ঠদেশ ঘায়েল হোক । -
পরিচ্ছেদ : ২৫২৬/ ‘যাআমূ’ (তারা ধারনা করেন) সম্পর্কে যা বর্ণিত হয়েছে । -
পরিচ্ছেদ : ২৫২৭/ কাউকে ‘ওয়াইলাকা’ বলা । -
পরিচ্ছেদ : ২৫২৮/ মহামহিম আল্লাহর প্রতি ভালবাসার নিদর্শন । আল্লাহ্ তা‘আলার বাণীঃ (আপনি বলে দিন) যদি তোমরা আল্লাহকে সত্যই ভালবেসে থাকো, তাহলে তোমরা আমার অনুসরণ কর । তাহলে আল্লাহ্ওএতামাদের ভালবাসবেন । -
পরিচ্ছেদ : ২৫২৯/ কেউ কাউকে দূর হও বলা । -
পরিচ্ছেদ : ২৫৩০/ কাউকে ‘মারহাবা’ বলা । হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন, নবী (সাঃ) ফাতিমা (রাঃ) কে বলেছেনঃ আমার মেয়ের জন্য ‘মারহাবা’ । উম্মে হানী (রাঃ) বলেন, আমি একবার নবী (সাঃ) এর খিদমতে এলাম । তিনি বললেনঃ উম্মে হানী ‘মারহাবা’ । -
পরিচ্ছেদ : ২৫৩১/ কিয়ামতের দিন মানুষকে তাদের পিতার নামে ডাকা হবে । -
পরিচ্ছেদ : ২৫৩২/ কেউ যেন না বলে, আমার আত্না‘খবীস; হয়ে গেছে । -
পরিচ্ছেদ : ২৫৩৩/ যামানাকে গালি দিবে না । -
পরিচ্ছেদ : ২৫৩৪/ নবী (সাঃ) এর বাণীঃ প্রকৃত ‘কারম’ হলো মু‘মিনের কলব । -
পরিচ্ছেদ : ২৫৩৫/ কোন ব্যক্তির একথা বলা আমার মা-বাবা আপনার প্রতি কুরবান । এ সম্পর্কে নবী (সাঃ) থেকে যুবায়র (রাঃ) এর একটি বর্ণনা আছে । -
পরিচ্ছেদ : ২৫৩৬/ কোন ব্যক্তির একথা বলা যে, আল্লাহ আমাকে তোমার প্রতি কুরবান করূন । আবূ বকর (রাঃ) নবী (সাঃ) কে বললেনঃ আমরা আমাদের পিতা-মাতাদের আপনার প্রতি কুরবান করলাম । -
পরিচ্ছেদ : ২৫৩৭/ আল্লাহর নিকট সবচেয়ে প্রিয় নাম । -
পরিচ্ছেদ : ২৫৩৮/ নবী (সাঃ) এর বাণীঃ আমার নামে নাম রাখতে পার, তবে আমার কুনিয়াত দিয়ে কারো কুনিয়াত (ডাকনাম) রেখো না । আনাস (রাঃ) নবী (সাঃ) থেকে এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন । -
পরিচ্ছেদ : ২৫৩৯/ ‘হাযম’ নাম । -
পরিচ্ছেদ : ২৫৪০/ নাম বদলিয়ে পূর্ব নামের চাইতে উত্তম নাম রাখা । -
পরিচ্ছেদ : ২৫৪১/ নবীদের (আঃ) নামে যারা নাম রাখেন । -
পরিচ্ছেদ : ২৫৪২/ ওয়ালীদ নাম রাখা । -
পরিচ্ছেদ : ২৫৪৩/ কারো সঙ্গীকে তার নামের কিছু হরফ কমিয়ে ডাকা । আবূ হাযিম (রঃ) বলেন, হযরত আবূ হুরায়রা (রাঃ) বলেছেন যে, নবী (সাঃ) আমাকে ‘ইয়া আবা হিররিন’ বলে ডাক দেন । -
পরিচ্ছেদ : ২৫৪৪/ কোন ব্যক্তির সন্তান জন্মাবার আগেই সে শিশুর নাম দিয়ে তার ডাকনাম রাখা । -
পরিচ্ছেদ : ২৫৪৫/ কারো অন্য কুনিয়াত (ডাকনাম) থাকা সত্ত্বেও তার কুনিয়াত ‘আবূ তুরাব’ রাখা । -
পরিচ্ছেদ : ২৫৪৬/ আল্লাহ্ তা‘আলার নিকট সবচেয়ে ঘৃণিত নাম । -
পরিচ্ছেদ : ২৫৪৭/ মুশরিকের কুনিয়াত (ডাকনাম) । মিসওয়ার (রাঃ) বলেন, আমি নবী (সাঃ) কে বলতে শুনেছি, কিন্তু যদি ইব্ন আবূ তালিব চায় । -
পরিচ্ছেদ : ২৫৪৮/ পরোক্ষ কথা বলা মিথ্যা এড়ানোর উপায় । ইসহাক বর্ণনা করেছেন, আমি হযরত আনাস (রাঃ) থেকে  শুনেছি । হযরত আবূ তালহা (রাঃ) এর একটি শিশু পুত্র মারা যায় । তিনি এসে (তার স্ত্রীকে) জিজ্ঞাসা করলেনঃ ছেলেটি কেমন আছে ? হযরত উম্মে সুলায়ম (রাঃ) বললেনঃ সে শান্ত । আমি আশা করছি, সে আরামেই আছে । তিনি ধারণা করলেন যে, অবশ্য তিনি সত্য বলেছেন । -
পরিচ্ছেদ : ২৫৪৯/ কোন কিছু সম্পর্কে, তা অবাস্তব মনে করে বলা যে, এটা কোন কিছুই নয় । -
পরিচ্ছেদ : ২৫৫০/ আসমানের দিকে চোখ তোলা । মহান আল্লাহর বাণীঃ “লোকেরা কি উটের প্রতি লক্ষ্য করে না যে, তা কিভাবে সৃষ্টি করা হয়েছে । আর তারা কি আসমানের দিকে তাকায় না যে, তা কিভাবে এত উঁচু করে রাখা হয়েছে ।” হযরত আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, একদিন নবী (সাঃ) আসমানের দিকে মাথা তোলেন । -
পরিচ্ছেদ : ২৫৫১/ (কোন কিছু তালাশ করার উদ্দেশ্যে) পানি ও কাদার মধ্যে লাঠি দিয়ে ঠোকা দেওয়া । -
পরিচ্ছেদ : ২৫৫২/ কারো হাতের কোন কিছু দিয়ে যমীনে ঠোকা মারা । -
পরিচ্ছেদ : ২৫৫৩/ বিস্ময়বোধে ‘আল্লাহু আকবার’ অথবা ‘সুবহানাল্লাহ্’ বলা -
পরিচ্ছেদ : ২৫৫৪/ ঢিল ছোঁড়া -
পরিচ্ছেদ : ২৫৫৫/ হাঁচিদাতার ‘আলহামদু লিল্লাহ্’ বলা । -
পরিচ্ছেদ : ২৫৫৬/ হাঁচিদাতার ‘আলহামদু লিল্লাহ্’ এর জবাব দেওয়া । -
পরিচ্ছেদ : ২৫৫৭/ কিভাবে হাঁচির দু‘আ মুস্তাহাব, আর কিভাবে হাঁই তোলা মাকরূহ্ । -
পরিচ্ছেদ : ২৫৫৮/ কেউ হাঁচি দিলে, কিভাবে জবাব দিতে হয় ? -
পরিচ্ছেদ : ২৫৫৯/ হাঁচিদাতা ‘আলহামদু লিল্লাহ্’ না বললে তার জবাব দেওয়া যাবে না । -
পরিচ্ছেদ : ২৫৬০/ যদি কেউ হাঁই তোলে, তবে সে যেন নিজের হাত তার মুখে রাখে । -
হাদিস নং: ৫৭৯৩/২৪৯