বুধবার, ১ আগস্ট, ২০১২

হাদিস নং: ৫৫৮০ (আচার-ব্যবহার অধ্যায়)

৫৫৮০/৩৬: ইসমাঈল ইব্ন আব্দুল্লাহ্ (রঃ) ……… হযরত সাফওয়ান ইব্ন সুলায়ম (রাঃ) থেকে বর্ণিত । তিনি নবী (সাঃ) থেকে মারফূরূপে বর্ণনা করেছেন । নবী (সাঃ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি বিধবা ও মিসকীনদের ভরণপোষনের চেষ্টা করে, সে আল্লাহ্র পথে জিহাদকারীর ন্যায় । অথবা সে ঐ ব্যক্তির ন্যায়, যে দিনে সিয়াম পালন করে ও রাতে (নফল ইবাদতে) দাঁড়িয়ে থাকে ।

হাদিস নং: ৫৫৮১ (আচার-ব্যবহার অধ্যায়)

৫৫৮১/৩৭: ইসমাঈল (রঃ) ……… হযরত আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত । তিনি নবী (সাঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন ।

হাদিস নং: ৫৫৮২ (আচার-ব্যবহার অধ্যায়)

৫৫৮২/৩৮: আব্দুল্লাহ্ ইব্ন মাসলামা (রঃ) ……… হযরত আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত । তিনি বলেন, একবার নবী (সাঃ) বলেছেনঃ বিধবা ও মিসকীনদের অভাব দূর করার চেষ্টারত ব্যক্তি আল্লাহ্র রাস্তায় জিহাদকারীর তুল্য । (ইমাম বুখারী (রঃ) বলেন) আমার ধারণা যে কা‘নাবী (ইমাম বুখারীর উস্তাদ আব্দুল্লাহ্) সন্দেহ প্রকাশ করেছেনঃ সে সারারাত দন্ডায়মান ব্যক্তির ন্যায় যে (ইবাদতে) ক্লান্ত হয় না এবং এমন সিয়াম পালনকারীর ন্যায়, যে সিয়াম ভাঙ্গে না ।

হাদিস নং: ৫৫৮৩ (আচার-ব্যবহার অধ্যায়)

৫৫৮৩/৩৯: মুসাদ্দাদ (রঃ) ……… হযরত আবূ সুলায়মান মালিক ইব্ন হুওয়ায়রিস (রাঃ) থেকে বর্ণিত । তিনি বলেনঃ আমরা কয়েকজন নবী (সাঃ) এর দরবারে এলাম । তখন আমরা ছিলাম, প্রায় সমবয়সী যুবক । বিশ দিন থাঁর কাছে আমরা অবস্থান করলাম । তিনি বুঝতে পারলেন, আমরা আমাদের পরিবারবর্গের কাছে ফিরে যেতে উদগ্রীব হয়ে পড়েছি । যাদের আমরা বাড়িতে রেখে এসেছি । তাদের সম্পর্কে তিনি আমাদের কাছে জিজ্ঞাসা করলেন । আমরা তা তাঁকে অবহিত করলাম । তিনি ছিলেন কোমল হৃদয় ও দয়ালু । তাই তিনি বললেনঃ তোমরা তোমাদের পরিবারবর্গের কাছে ফিরে যাও । তাদের (কুরআন) শিক্ষা দাও, (স কাজের) আদেশ কর এবং যেভাবে আমাকে সালাত আদায় করতে দেখেছ ঠিক সেভাবে সালাত আদায় কর । যখন সালাতের ওয়াক্ত হবে, তখন তোমাদের একজন আযান দেবে এবং যে তোমাদের মধ্যে বড় সে ইমামতি করবে ।

হাদিস নং: ৫৫৮৪ (আচার-ব্যবহার অধ্যায়)

৫৫৮৪/৪০: ইসমাঈল (রঃ) ……… হযরত আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) বলেছেনঃ একদা এক ব্যক্তি ঞেঁটে যাচ্ছিল । তার তীব্র পিপাসা লাগে । সে একটি কূপ পেয়ে গেল । সে তাতে অবতরণ করলো এবং পানি পান করলো, তারপর উঠে এলো । হঠা দেখলো, একটি কুকুর হাপাচ্ছে । পিপাসায় কাতর হয়ে কাঁদা চাটছে । লোকটি ভাবলো, এ কুকুরটি পিপাসায় যেরূপ কষ্ট পাচ্ছে, সেরূপ কষ্ট আমারও হয়েছিল । তখন সে কূপে অবতরণ করলো এবং তার মোজার মধ্যে পানি ভরলো, তারপর মুখদিয়ে তা (কামড়িয়ে) ধরে উপরে উঠে এলো । তারপর সে কুকুরটিকে পানি পান করালো । আল্লাহ তাকে এর প্রতিদান দিলেন এবং তাকে মাফ করে দিলেন । সাহাবীগণ জিজ্ঞাসা কররেনঃ ইয়া রাসূলুল্লাহ্! জীব-জন্তুর জন্যও কি আমাদের পুরস্কার আছে ? নবী (সাঃ) বললেনঃ হ্যাঁ! প্রত্যেক দয়ার্দ্র হৃদয়ের অধিকারীদের জন্যে পুরস্কার আছে ।

হাদিস নং: ৫৫৮৫ (আচার-ব্যবহার অধ্যায়)

 ৫৫৮৫/৪১: আবুল ইয়ামান (রঃ) ……… হযরত আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত । তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) একবার সালাতে দাঁড়ান । আমরাও তাঁর সঙ্গে দাঁড়িয়ে গেলাম । এ সময় এক বেদুঈন সালাতের মধ্যে থেকেই বল উঠলোঃ ইয়া আল্লাহ্! আমার ও মুহাম্মদ (সাঃ) এর উপর রহম করো এবং আমাদের সাথে আর কারো প্রতি রহম করো না । নবী (সাঃ) সালাম ফিরানোর পর বেদুঈন লোকটিকে বললেনঃ তুমি একটি প্রশস্ত জিনিসকে অর্থা আল্লাহর রহমতকে সংকুচিত করেছো ।