মঙ্গলবার, ১০ জুলাই, ২০১২

হাদিস নং: ৫৮৪৫ (অনুমতি চাওয়া অধ্যায়)

৫৮৪৫/৫২: কুতায়বা ইব্ন সাঈদ (রঃ) ……… হযরত সাহল ইব্ন সা‘দ (রাঃ) থেকে বর্ণিত । আলী (রাঃ) এর কাছে ‘আবূ তুরাব’ এর চাইতে প্রিয়তর কোন নাম ছিল না । এ নামে ডাকা হলে তিনি অত্যন্ত খুশী হতেন ।কারণ একবার রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) হযরত ফাতিমা (রাঃ) এর ঘরে আসলেন । তখণ আলী (রাঃ) কে ঘরে পেলেন না । তিনি জিজ্ঞাসা করলেন : তোমার চাচাতো ভাই কোথায় ? তিনি বললেন : আমার ও তাঁর মধ্যে কিছু ঘটায় তিনি আমার সঙ্গে রাগারাগি করে বেরিয়ে গেছেন । আমার কাছে কায়লুলা করেন নি । রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) এক ব্যক্তিকে বললেন : দেখতো সে কোথায় ? সে লোকটি এসে বলল : ইয়া রাসূলাল্লাহ! তিনি তো মসজিদে ঘুমিয়ে আছেন । তখন রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এসে দেখতে পেলেন যে, তিনি কাত হয়ে শুয়ে আছেন, আর তাঁর চাদরখানা পাশ থেকে পড়ে গেছে । ফলে তার মধ্যে মাটি লেগে গেছে । তখন রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) তাঁর গায়ের মাটি ঝাড়তে লাগলেন এবং বলতে লাগলেন : ওঠো, আবূ তুরাব (মাটির বাবা) ওঠো, আবূ তুরাব! একথাটা তিনি দু‘বার বললেন ।

হাদিস নং: ৫৮৪৬ (অনুমতি চাওয়া অধ্যায়)

৫৮৪৬/৫৩: কুতায়বা (রঃ) ……… হযরত আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত । তিনি বলেন, উম্মে সুলায়ম (রাঃ) নবী (সাঃ) এর জন্য চামড়ার বিছানা বিছিয়ে দিতেন এবং তিনি সেখানেই ঐ চামড়ার বিছানার উপর কায়লুলা করতেন এরপর তিনি যখন ঘুম থেকে উঠতেন, তখন তিনি তাঁর শরীরের কিছুটা ঘাম ও চুল সংগ্রহ করতেন এবং তা একটা শিশির মধ্যে জমাতেন এবং পরে ‘সুক্কু’ নামীয় সুগন্ধির মধ্যে মিশাতেন । রাবী বর্ণনা করেন যে, আনাস ইব্ন মালিক (রাঃ) এর ওফাতের সময় ঘনিয়ে আসলে, তিনি আমাকে অসিয়ত করলেন : যেন ঐ সুক্কু থেকে কিছুটা তাঁর সুগন্ধির মধ্যে মিশিয়ে দেওয়া হয় । সুতরাং তা তাঁর সুগন্ধির মধ্যে মিশিয়ে দেয়া হয়েছিল ।

হাদিস নং: ৫৮৪৭ (অনুমতি চাওয়া অধ্যায়)


৫৮৪৭/৫৪: ইসমাঈল (রঃ) ……… হযরত আনাস ইব্ন মালিক (রাঃ) বর্ণনা করেন । নবী (সাঃ) ‘কুবা’ এর দিকে যখন যেতেন তখন প্রায়ই উম্মে হারাম বিন্তে মিলহান (রাঃ) এর ঘরে প্রবেশ করতেন এবং তিনি তাঁকে খাবার খাওয়াতেন ।তিনি উবাদা ইব্ন সামিত (রাঃ) এর স্ত্রী ছিলেন । একদিন তিনি তার ঘরে গেলেন তাঁকে খাবার খাওয়ালেন । এরপর রাসূলুল্লাহ (সাঃ) সেখানেই ঘুমালেন । কিছুক্ষণ পরে তিনি জাগ্রত হয়ে হাসতে লাগলেন । তিনি জিজ্ঞাসা করলেন : ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনাকে কিসে হাঁসাচ্ছে ? তিনি বললেন : স্বপ্নের মধ্যে আমাকে আমার উম্মাতের মধ্য হতে আল্লাহর পথে জিহাদকারী কিছু সংখ্যক মুজাহিদ দেখানো হয়েছে, যারা এই বিশাল সমুদ্রের মাঝখানে বাদশাহদের মত সিংহাসনের উপর সমাসীন । তখন তিনি বললেন : আপনি দু‘আ করূন যেন আল্লাহ তা‘আলা আমাকেও তাদের অন্তর্ভুক্ত করে নেন । তিনি সে  ‍দু‘আ করলেন এবং বিছানায় মাথা রেখে আবার শুয়ে পড়লেন । কিছুক্ষণ পর তিনি আবান হাসতে হাসতে জাগ্রত হলেন । আমি বললাম : ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনাকে কিসে হাঁসাচ্ছে ? তিনি বললেন : (স্বপ্নের মধ্যে) আমাকে আমার উম্মাতের মধ্য থেকে আল্লাহর পথে জিহাদকারী কিছু সংখ্যক মুজাহিদ দেখানো হয়েছে, যারা এই বিশাল সমুদ্রের মাঝখানে বাদশাহদের মত সিংহাসনের উপর সমাসীন । তখন আবার আমি বললাম : আপনি আল্লাহর কাছে দু‘আ করূন যেন যেন তিনি আমাকে তাদের অন্তর্ভুক্ত করে নেন ।  তিনি বললেন : তুমি প্রথম বাহিনীদেরই অন্তর্ভুক্ত থাকবে । সুতরাং তিনি মু‘আবিয়া (রাঃ) এর  আমলে সামুদ্রিক  অভিজানে রওয়ানা হন এবং সমুদ্রাভিজান থেকে ফিরে এসে  তাঁর্ নিজেরই সাওয়ারী থেকে পড়ে গিয়ে (আল্লাহর পথেই) মাহাদাত বরণ করেন ।  

হাদিস নং: ৫৮৪৮ (অনুমতি চাওয়া অধ্যায়)

৫৮৪৮/৫৫: আলী ইব্ন আব্দুল্লাহ (রঃ) ……… হযরত সাঈদ খুদরী (রাঃ) বর্ণনা করেন । নবী (সাঃ) দু‘রকমের লেবাস এবং দু‘ধরনের বিক্রয় নিষেধ করেছেন । পেঁচিয়ে কাপড় পরিধান করা থেকে এবং এক কাপড় পরে ‘এহতেবা’ করা থেকে, যাতে মানুষের লজ্জাস্থানের উপর কোন কাপড় না থাকে এবং ‘মুলামাসা ও মুনাবাযা’ বেচা-কেনা থেকেও ।

হাদিস নং: ৫৮৪৯ (অনুমতি চাওয়া অধ্যায়)

৫৮৪৯/৫৬: মূসা ইব্ন ইসমাঈল (রঃ) ……… উম্মুল মু‘মিনীন হযরত আয়িশা (রাঃ) বর্ণনা করেন, একবার আমরা নবী (সাঃ) এর সব সহধর্মিণীগণ তাঁর নিকট জমায়েত হয়েছিলাম । আমাদের একজনও অনুপস্থিত ছিলাম না । এমন সময় হযরত ফাতিমা (রাঃ) পায়ে হেঁটে আসছিলেন ।আল্লাহর কসম! তাঁর হাঁটা রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর হাঁটার অনুরূপই ছিল । তিনি যখন তাঁকে দেখলেন, তখন তিনি আমার মেয়ের আগমন শুভ হোক বলে সম্বর্ধনা জানালেন । এরপর তিনি যখন তাঁকে নিজের ডান পাশে অথবা (রাবী বলেন) বাম পাশে বসালেন । তারপর তিনি তার সঙ্গে কানে-কানে কিছু কথা বললেন, তিনি (ফাতিমা (রাঃ)) খুব বেশী কাঁদতে লাগলেন । এরপর তাঁর বিষণ্ন অবস্থা দেখে দ্বিতীয়বার তাঁর সঙ্গে তিনি কানে-কানে আরও কিছু কথা বললেন, তখন হযরত ফাতিমা (রাঃ) হাসতে লাগলেন । তখন নবী (সাঃ) এর সহধর্মিণীগণের মধ্য থেকে আমি বললাম : আমাদের উপস্থিত থাকা অবস্থায়ই রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বিশেষ করে আপনার সঙ্গে বিশেষ কি গোপনীয় কথা কানে-কানে বললেন, যা কারণে আপনি খুব কাঁদছিলেন ? এরপর যখন নবী (সাঃ) উঠে চলে গেলেন, তখন আমি তাঁকে জিজ্ঞাসা করলাম যে, তিনি আপনাকে কানে-কানে কি বলেছিলেন ? তিনি বললেন : আমি রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর ভেদ (গোপনীয় কথা) ফাঁস করবো না । এরপর রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর ওফাত হয়ে গেল । তখন আমি তাঁকে বললাম : আপনার উপর আমার যে দাবী আছে, আপনাকে আমি তার কসম দিয়ে বলছি যে, আপনি কি গোপনীয় কথাটি আমাকে জানাবেন না ? তখন হযরত ফাতিমা (রাঃ) বললেন : হ্যাঁ, এখন আপনাকে জানাবো ।  সুতরাং তিনি আমাকে জানাতে গিয়ে বললেন : প্রথমবার তিনি আমার নিকট যে গোপনীয় কথা বলেন, তা হলো এই যে, তিনি আমার নিকট বর্ণনা করেন যে, জিব্রাঈল (আঃ) প্রত্যেক বছর এসে পূর্ণ কুরআন একবার আমার নিকট পেশ করতেন । কিন্ত এ বছর তিনি এসে তা আমার কাছে দু‘বার পেশ করেছেন । এত আমি অনুমান করছি যে, আমার চির বিদায়ের সময় ঘনিয়ে আসছে । সুতরাং তুমি আল্লাহকে ভয় করে চলবে এবং বিপদে ধৈর্যধারণ করবে । নিশ্চয়ই আমি তোমার জন্য উত্তম অগ্রগমনকারী । তখন আমি কাঁদলাম যা নিজেই দেখলেন । তারপর যখন তিনি আমার বিষণ্নভাব দেখলেন, তখন দ্বিতীয়বার আমাকে কানে-কানে বললেন : তুমি কি জান্নাতের মুসলিম মহিলাদের অথবা এ উম্মতের মহিলাদের নেত্রী হয়ে যাওয়াতে সন্তষ্ট হবে না ? (তখন আমি হেঁসে দিলাম) ।

হাদিস নং: ৫৮৫০ (অনুমতি চাওয়া অধ্যায়)

৫৮৫০/৫৭: আলী ইব্ন আব্দুল্লাহ (রঃ) ……… হযরত আব্দুল্লাহ ইব্ন যায়দ আনসারী (রাঃ) থেকে বর্ণিত । তিনি বলেন : আমি রাসূলুল্লাহ (সাঃ) কে মসজিদে চিত হয়ে শুয়ে থাকতে দেখেছি, তখন তাঁর এক পা আরেক পায়ের উপর রাখা ছিল ।

হাদিস নং: ৫৮৫১ (অনুমতি চাওয়া অধ্যায়)

৫৮৫১/৫৮: আব্দুল্লাহ ইব্ন ইউসুফ ও ইসমাঈল (রঃ) ……… হযরত আব্দুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন : যদি কোথাও তিনজন লোক থাকে তবে তৃতীয় জনকে বাদ দিয়ে দু‘জনে মিলে চুপি চুপি কথা বলবে না ।

হাদিস নং: ৫৮৫২ (অনুমতি চাওয়া অধ্যায়)

৫৮৫২/৫৯: আব্দুল্লাহ ইব্ন সাব্বাহ (রঃ) ……… হযরত আনাস ইব্ন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত । তিনি বলেন : একবার নবী (সাঃ) আমার কাছে একটি বিষয় গোপনে বলেছিলেন । আমি তাঁর পরেও কাউকে তা জানাইনি । এটা সম্পর্কে উম্মে সুলায়ম (রাঃ) আমাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন । কিন্ত আমি তাঁকেও বলি নি ।

হাদিস নং: ৫৮৫৩ (অনুমতি চাওয়া অধ্যায়)

৫৮৫৩/৬০: উসমান (রঃ) ……… হযরত আব্দুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত । নবী (সাঃ) বলেছেন : যখন কোথাও তোমরা তিনজন থাকো, তখন একজনকে বাদ দিয়ে দু‘জনে কানে-কানে কথা বলবে না । এতে তার মনে দুঃখ হবে । তোমরা পরস্পর মিশে গেলে তবে তা করাতে দোষ নেই ।

হাদিস নং: ৫৮৫৪ (অনুমতি চাওয়া অধ্যায়)

৫৮৫৪/৬১: আবদান (রঃ) ……… হযরত আব্দুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) একদিন কিছু মাল লোকজনকে বন্টন করে দিলেন । তখন একজন আনসারী মন্তব্য করলেন যে, এ বন্টনটি এমন, যার মধ্যে আল্লাহর সন্তষ্টির প্রতি লক্ষ্য রাখা হয়নি । তখন আমি বললাম সাবধান! আল্লাহর কসম! আমি নিশ্চয়ই নবী (সাঃ) এর নিকট গিয়ে এ কথাটি বলে দিব । এরপর আমি তাঁর নিকট গেলাম । কিন্ত তখন তিনি একদল সাহাবীর মধ্যে ছিলেন । তাই আমি কথাটি তাঁকে কানে-কানেই বললাম তখন তিনি রেগে গেলেন । এমনকি তাঁর চেহারার রং লাল হয়ে গেল । কিছুক্ষণ পরে তিনি বললেন : মূসা (আঃ) এর উপর রহমত নাযিল হোক । তাঁকে এর চাইতেও অধিক কষ্ট দেওয়া হয়েছে, কিন্ত তিনি ধৈর্যধারণ করেছেন ।

হাদিস নং: ৫৮৫৫ (অনুমতি চাওয়া অধ্যায়)

৫৮৫৫/৬২: মুহাম্মদ ইব্ন বাশ্শার (রঃ) ……… হযরত আনাস ইব্ন মালিক (রাঃ) বর্ণনা করেন । একবার সালাতের একামত হয়ে গেলো, তখনও একজন লোক রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর সঙ্গে কানে-কানে কথা বলছিলেন এবং দীর্ঘক্ষণ ধরে তিনি এভাবে আলাপ করতে থাকলেন । এমন কি তাঁর সংগীগণ ঘুমিয়ে পড়েছিলেন । তারপর তিনি দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করলেন ।

হাদিস নং: ৫৮৫৬ (অনুমতি চাওয়া অধ্যায়)

৫৮৫৬/৬৩: আবূ নুয়ায়ম (রঃ) ……… হযরত সালিম (রাঃ) তাঁর পিতা থেকে, তিনি নবী (সাঃ) থেকে বর্ণনা করেন । তিনি বলেছেন : যখন তোমরা ঘুমাবে তখন তোমাদের ঘরগুলোতে আগুন রেখে ঘুমাবে না ।

হাদিস নং: ৫৮৫৭ (অনুমতি চাওয়া অধ্যায়)

৫৮৫৭/৬৪: মুহাম্মদ ইব্ন আ‘লা (রঃ) ……… হযরত আবূ মুসা (রাঃ) থেকে বর্ণিত । তিনি বলেন, একবার রাত্রি কালে মদীনার এক ঘরে আগুন লেগে ঘরের লোকজনসহ পুড়ে গেল । এদের অবস্থা নবী (সাঃ) এর ‍নিকট জানানো হলে, তিনি বললেন : এ আগুন নিঃসন্দেহে তোমাদের জন্য চরম শত্রু । সুতরাং তোমরা যখন ঘুমাতে যাবে, তখন তোমাদেরই হিফাযতের জন্য তা নিভিয়ে ফেলবে ।

হাদিস নং: ৫৮৫৮ (অনুমতি চাওয়া অধ্যায়)

৫৮৫৮/৬৫: কুতায়বা (রঃ) ……… হযরত জাবির ইব্ন আব্দুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত । তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন : তোমাদের পানাহারের পাত্রগুলো ঢেকে রাখবে । আর ঘুমাবার সময় (ঘরের) দরজাগুলো বন্ধ করবে এবং বাতিগুলো নিভিয়ে ফেলবে । কারণ প্রায়ই দুষ্ট ইঁদুররা জ্বালানো বাতির ফিতাগুলো টেনে নিয়ে যায় এবং ঘরে আগুন লাগিয়ে গৃহবাসীকে জ্বালিয়ে দেয় ।

হাদিস নং: ৫৮৫৯ (অনুমতি চাওয়া অধ্যায়)

৫৮৫৯/৬৬: হাস্সান ইব্ন আবূ আব্বাদ (রঃ) ……… হযরত জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিত । তিনি বলেন, নবী (সাঃ) বলেছেন : রাতে যখন তোমরা ঘুমাতে যাবে, তখন বাতি নিভিয়ে দিবে, দরজা বন্ধ করবে, খাদ্য ও পানীয় দ্রব্যাদি ঢেকে রাখবে এবং মুশকের মুখ বেঁধে রাখবে । হাম্মাম (রাঃ) বলেন : এক টুকরা কাঠ দিয়ে হলেও ।

হাদিস নং: ৫৮৬০ (অনুমতি চাওয়া অধ্যায়)

৫৮৬০/৬৭: ইয়াহইয়া ইব্ন কুযাআ (রঃ) ……… হযরত আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত । নবী (সাঃ) বলেছেন : মানুষের স্বভাবগত বিষয় হলো পাঁচটি : খাতনা করা, নাভীর নীচের পশম কামানো, বগলের পশম উপড়ানো, গোঁপ কাটা এবং (অতিরিক্ত) নখ কাটা ।

হাদিস নং: ৫৮৬১ (অনুমতি চাওয়া অধ্যায়)

৫৮৬১/৬৮: আবুল ইয়ামান (রঃ) ……… হযরত আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত । রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন : ইব্রাহীম (আঃ) আশী বছর বয়সের পর ‘কাদূম’ নামক স্থানে নিজেই নিজের খাতনা করেন । কুতায়বা (রঃ) আবূয যিনাদ (রঃ) থেকে বর্ণিত । তিনি বলেন : ‘কাদ্দুম’ একটি স্থানের নাম ।

হাদিস নং: ৫৮৬২ (অনুমতি চাওয়া অধ্যায়)

৫৮৬২/৬৯: মুহাম্মদ ইব্ন আব্দুর রাহীম (রঃ) ……… হযরত সাঈদ ইব্ন জুবায়র (রাঃ) থেকে বর্ণিত । তিনি বলেন, ইব্ন আব্বাস (রাঃ) কে জিজ্ঞাসা করা হলো যে, নবী (সাঃ) এর ওফাতের সময় আপনি বয়সে কার মত ছিলেন ? তিনি বললেন : আমি তখন মাখতুম (খাতনাকৃত) ছিলাম । তিনি আরও বলেন : তাদের নিয়ম ছিল যে, সাবালক না হওয়া পর্যন্ত তারা খাতনা করতেন না ।

হাদিস নং: ৫৮৬৩ (অনুমতি চাওয়া অধ্যায়)

৫৮৬৩/৭০: ইয়াহইয়া ইব্ন বুকায়র (রঃ) ……… হযরত আবূ হুরায়রা (রাঃ)বলেন, নবী (সাঃ) বলেছেন : তোমাদের কেউ যদি কসম করে এবং তার কসমে বলে লাত ও উয্যার কসম, তা হলে সে যেন লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ্ বলে, আর যে কেউ তার বন্ধুকে বলে : এসো আমি তোমার সাথে জুয়া খেলবো । সে যেন সাদাকা করে ।

হাদিস নং: ৫৮৬৪ (অনুমতি চাওয়া অধ্যায়)


৫৮৬৪/৭১: আবূ নুরায়ম (রঃ) ……… হযরত ইব্ন উমর (রাঃ) বর্ণনা করেন । নবী (সাঃ) এর যমানায় আমার খেয়াল হলো যে, আমি নিজ হাতে আল্লাহর কোন সৃষ্টির সাহায্য ছাড়া এমন একটা ঘর বানিয়ে নেই, যা আমাকে বৃষ্টির পানি থেকে ঢেকে রাখে এবং আমাকে রোদ থেকে ছায়া দান করে ।