রবিবার, ৩ নভেম্বর, ২০১৩

আকীকা অধ্যায়


পরিচ্ছেদ : ২১৬৪/ যে সন্তানের আকীকা দেওয়া হবে না, জন্মগ্রহণের দিনেই তার নাম রাখা ও তাহনীক করা (কিছু চিবিয়ে তার মুখে দেয়া) । -
পরিচ্ছেদ : ২১৬৫/ আকীকার মাধ্যমে শিশুর অশুচি দূর করা । -
পরিচ্ছেদ : ২১৬৬/ ফারা প্রসঙ্গে । -
পরিচ্ছেদ : ২১৬৭/ আতীরা । -
হাদিস নং: ৫০৭৯/০৯

হাদিস নং: ৫০৭১ (আকীকা অধ্যায়)

৫০৭১/০১: ইসহাক ইব্ন নাসর (রঃ) ……… হযরত আবূ মূসা (রাঃ) থেকে বর্ণিত । তিনি বলেন, আমার একটি পুত্র সন্তান জন্মগ্রহণ করলে আমি তাকে নিয়ে নবী (সাঃ) এর কাছে গেলাম । তিনি তার নাম রাখলেন ইব্রাহীম । তারপর খেজুর চিবিয়ে তার মুখে দিলেন এবং তার জন্য বরকতের দু‘আ করে আমার কাছে ফিরিয়ে দিলেন । সে ছিল আবূ মূসার বড় সন্তান ।

হাদিস নং: ৫০৭২ (আকীকা অধ্যায়)

৫০৭২/০২: মুসাদ্দাদ (রঃ) ……… হযরত আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত । তিনি বলেন, নবী (সাঃ) এর কাছে তাহনীক করার জন্য এক শিশুকে আনা হলো, শিশুটি তাঁর কোলে পেশাব করে দিল, তিনি এতে পানি ঢেলে দিলেন ।

হাদিস নং: ৫০৭৩ (আকীকা অধ্যায়)

৫০৭৩/০৩: ইসহাক ইব্ন নাসর (রঃ) ……… হযরত আসমা বিন্ত আবূ বকর (রাঃ) থেকে বর্ণিত । তিনি ‘আবদুল্লাহ্ ইব্ন যুবায়র’ কে মক্কায় গর্ভে ধারণ করেন । তিনি বলেন, গর্ভকাল পূর্ণ হওয়া অবস্থায় আমি বেরিয়ে মদীনায় আসলাম এবং কুবায় অবতরণ করলাম । কুবাতেই আমি তাকে প্রসব করি । তারপর তাকে নিয়ে রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) এর কাছে এসে তাকে তাঁর কোলে রাখলাম । তিনি একটি খেজুর আনতে বললেন । তা চিবিয়ে তিনি তার মুখে দিলেন । রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) এর এই লালাই সর্বপ্রথম তার পেটে প্রবেশ করেছিল । তারপর তিনি খেজুর চিবিয়ে তাহনীক করলেন এবং তার জন্যে বরকতের দু‘আ করলেন । (হিজরতের পরে) ইসলামে সেই ছিল প্রথম জন্মগ্রহণকারী । তাই তার জন্যে মুসলিমরা অত্যন্ত খুশী হয়েছিলেন । কারণ, তাদের বলা হতো ইয়াহূদীরা তোমাদের যাদু করেছে, তাই তোমাদেরন সন্তান হয় না ।

হাদিস নং: ৫০৭৪ (আকীকা অধ্যায়)

৫০৭৪/০৪: মাতার ইব্ন ফাযল (রঃ) ……… হযরত আনাস ইব্ন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত । তিনি বলেন, আবূ তালহার এক ছেলে অসুস্থ হয়ে পড়লো । আবূ তালহা (রাঃ) বাইরে গেলেন, তখন ছেলেটি মারা গেল । আবূ তালহা (রাঃ) ফিরে এসে জিজ্ঞাসা করলেনঃ ছেলেটি কি করছে? উম্মে সুলায়ম বললেনঃ সে আগের চাইতে শান্ত । তারপর তাকে রাতের খাবার দিলেন । তিনি আহার করলেন । তারপর উম্মে সুলায়মের সাথে সহবাস করলেন ।সহবাস ক্রিয়া শেষে উম্মে সুলায়ম বললেনঃ ছেলেটিকে দাফন করে আস । সকাল হলে আবূ তালহা (রাঃ) রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) এর কাছে এস তাঁকে এ ঘটনা বললেন । তিনি জিজ্ঞাসা করলেনঃ গত রাতে তুমি কি স্ত্রীর সঙ্গে রয়েছ? তিনি বললেনঃ হ্যা! নবী (সাঃ) বললেনঃ ইয়া আল্লাহ! তাদের জন্য তুমি বরকত দান কর । কিছুদিন পর উম্মে সুলায়ম একটি সন্তান    প্রসব করলো । (রাবী বলেনঃ) আবূ তালহা (রাঃ) আমাকে বললেন, তাকে তুমি দেখা-শুনা কর যতক্ষণ না আমি তাকে নবী (সাঃ) এর কাছে নিয়ে যাই । তারপর তিনি তাকে নবী (সাঃ) এর কাছে নিয়ে গেলেন । উম্মে সুলায়ম সাথে কিছু খেজুর দিয়ে দিলেন । নবী (সাঃ) তাকে (কোলে) নিলেন এবং জিজ্ঞেস করলেন, তার সাথে কিছু আছে? তারা বললেনঃ হ্যা আছে । তিনি তা নিয়ে চর্বণ করলেন তারপর মুখ থেকে বের করে বাচ্চাটির মুখে দিলেন । তিনি এর দ্বারাই তার তাহনীক করলেন এবং তার নাম রাখলেন ‘আবদুল্লাহ্’ ।
 

হাদিস নং: ৫০৭৫ (আকীকা অধ্যায়)

৫০৭৫/০৫: মুহাম্মদ ইব্ন মুসান্না (রঃ) ……… হযরত আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত । তিনি উক্ত হাদীসটিই বর্ণনা করেন ।

হাদিস নং: ৫০৭৬ (আকীকা অধ্যায়)

৫০৭৬/০৬: আবূ নুমান (রঃ) ……… হযরত সালমান ইব্ন আমির (রাঃ) থেকে বর্ণিত । তিনি বলেনঃ সন্তানের সাথে আকীকা সম্পর্কিত । সালমান ইব্ন আমির (রাঃ) থেকে বর্ণিত । তিনি বলেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ (সাঃ) কে বলতে শুনেছি যে, সন্তানের সাথে আকীকা সম্পর্কিত । তার পক্ষ থেকে রক্ত প্রবাহিত (আকীকার জন্ত যবাহ্) কর এবং তার অশচি (চুল, নখ ইত্যাদি) দূর করে দাও ।

হাদিস নং: ৫০৭৭ (আকীকা অধ্যায়)

৫০৭৭/০৭: আবদুল্লাহ ইব্ন আবুল আসওয়াদ (রঃ) ……… হাবীব ইব্ন শহীদ (রঃ) থেকে বর্ণিত । তিনি বলেন, ইব্ন সিরীন আমাকে আদেশ দিলেন, আমি যেন হাসানকে জিজ্ঞাসা করি তিনি আকীকার হাদীসটিকার থেকে শুনেছেন? আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বললেনঃ সামুরা ইব্ন জুনদুব (রাঃ) এর থেকে ।

হাদিস নং: ৫০৭৮ (আকীকা অধ্যায়)

৫০৭৮/০৮: আবদান (রঃ) ……… হযরত আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত । নবী (সাঃ) বলেছেন, (ইসলামে) ফারা বা আতীরা নেই । ‘ফারা’ হলো উটের সে প্রথম বাচ্চা, যা তারা তাদের দেব-দেবীর নামে যবাহ্ করত । আর ‘আতীরা’ হলো রজবে যে জন্ত যবাহ্ দিত ।

হাদিস নং: ৫০৭৯ (আকীকা অধ্যায়)

৫০৭৯/০৯: আলী ইব্ন আবদুল্লাহ (রঃ) ……… হযরত আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত । নবী (সাঃ) বলেছেন, (ইসলামে) ‘ফারা’ ও ‘আতীরা’ নেই । ‘ফারা’ হলো উটের সে প্রথম বাচ্চা যা তারা তাদের দেব-দেবীর নামে যবাহ্ দিত । আর ‘আতীরা’ হলো যা রজবে যবাহ্ করতো ।