বৃহস্পতিবার, ৫ জুলাই, ২০১২

হাদিস নং: ৫৯১০ (দু‘আ অধ্যায়)

৫৯১০/৪৫: মুহাম্মদ ইব্ন মুসান্না (রঃ) ……… কায়স (রঃ) বলেন, আমি খাব্বাব (রাঃ) এর নিকট গেলাম তিনি তাঁর পেটে সাতবার দাগ দিয়েছিলেন । তখন আমি তাঁকে বলতে শুনলাম : যদি নবী (সাঃ) আমাদের মৃত্যুর জন্য দু’আ করতে নিষেধ না করতেন, তবে আমি এর জন্য দু’আ করতাম ।

হাদিস নং: ৫৯১১ (দু‘আ অধ্যায়)

৫৯১১/৪৬: আব্দান (রঃ) ……… আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত । তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন : তোমাদের কেউ কোন বিপদের কারণে মৃত্যু কামনা করবে না । আর যদি কেউ এমন অবস্থাতে পতিত হয় যে, তাকে মৃত্যু কামনা করতেই হয়, তবে সে (মৃত্যু কামনা না করে) দু’আ করবে : ইয়া আল্লাহ! যতদিন পর্যন্ত বেঁচে থাকা আমার জন্য মঙ্গলজনক হয়, ততদিন আমাকে জীবিত রাখুন, আর যখন আমার জন্য মৃত্যুই মঙ্গলজনক হয় তখন আমার মৃত্যু দিন ।

হাদিস নং: ৫৯১২ (দু‘আ অধ্যায়)

৫৯১২/৪৭: কুতায়বা ইব্ন সাঈদ (রঃ) ……… সায়িব ইব্ন ইয়াযীদ (রাঃ) বর্ণনা করেন । আমার খালা আমাকে নিয়ে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর নিকট গেলেন এবং বললেন : ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমার এ ভাগ্নেটি অসুস্থ । তিনি আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিলেন এবং আমার জন্য বরকতের দু’আ করলেন । এরপর তিনি অযু করলে, আমি তাঁর অযুর পানি থেকে কিছুটা পান করলাম । তারপর আমি তাঁর পিঠের দিকে গিয়ে দাঁড়ালাম । তখণ আমি তাঁর উভয় কাঁধের মাঝে মোহরে নবূওয়াত দেখতে পেলাম । সেটা ছিল খাটের চাঁদোয়ার ঝালরের মত ।

হাদিস নং: ৫৯১৩ (দু‘আ অধ্যায়)

৫৯১৩/৪৮: আব্দুলাহ ইব্ন ইউসুফ (রঃ) ……… আবূ আকীল (রঃ) বর্ণনা করেন । তাঁর দাদা আব্দুল্লাহ ইব্ন হিশাম (রাঃ) তাকে নিয়ে তিনি বাজারের দিকে বের হতেন । সেখান সেখান থেকে খাদ্যদ্রব্য কিনে নিতেন । তখন পথে ইব্ন যুবায়র (রাঃ) ও ইব্ন উমর (রাঃ) এর দেখা হলে, তাঁরা তাঁকে বলতেন যে, এর মধ্যে আপনি আমাদেরকেও শরীক করে নিন। কারণ নবী (সাঃ) আপনার জন্য বরকতের দু’আ করেছেন । তখন তিনি তাঁদের শরীক করে নিতেন । তিনি বাহনের পিঠে লাভের শস্যাদি পুরোপুরি পেতেন, আর তা ঘরে পাঠিয়ে দিতেন ।

হাদিস নং: ৫৯১৪ (দু‘আ অধ্যায়)

৫৯১৪/৪৯: আব্দুল আযীয ইব্ন আব্দুল্লাহ (রঃ) ……… ইব্ন শিহাব (রঃ) বর্ণনা করেন । মাহমূদ ইব্ন রাবী বর্ণনা করেছেন যে, তিনিই ছিলেন সে ব্যক্তি, শিশুকালে তাঁদেরই কূপ থেকে পানি মুখে নিয়ে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) যার চেহারার উপর ছিঁটে দিয়েছিলেন ।

হাদিস নং: ৫৯১৫ (দু‘আ অধ্যায়)

৫৯১৫/৫০: আব্দান (রঃ) ……… আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত । তিনি বলেন, নবী (সাঃ) এর খিদমতে শিশুদের নিয়ে আসা হতো । তিনি তাদের জন্য দু’আ করতেন । একবার একটি শিশুকে আনা হলো । শিশূটি তাঁর কাপড়ের উপর পস্রাব করে দিল । তিনি কিছু পানি আনালেন এবং তা তিনি তিনি কাপড়ের উপর ছিটিয়ে দিলেন আর তিনি কাপড় ধুলেন না ।

হাদিস নং: ৫৯১৬ (দু‘আ অধ্যায়)

৫৯১৬/৫১: আবুল ইয়ামান (রঃ) ……… আব্দুল্লাহ ইব্ন সা’আলাবা ইব্ন সুয়ায়র (রাঃ), যার মাথায় (শৈশবে) রাসূলুল্লাহ (সাঃ) হাত বুলিয়েছিলেন, তিনি বর্ণনা করেন যে, তিনি সা’দ ইব্ন আবূ ওক্কাসকে বিতরের সালাত এক রাকা’আত আদায় করতে দেখেছেন ।

হাদিস নং: ৫৯১৭ (দু‘আ অধ্যায়)

৫৯১৭/৫২: আদম (রঃ) ……… আব্দুর রাহমান ইব্ন আবূ লায়লা (রঃ) বর্ণনা করেন, একবার আমার সঙ্গে কাব ইব্ন উজরাহ (রাঃ) এর সাক্ষাত হলো । তিনি বললেন : আমি কি তোমাকে একটি হাদিয়া দেবো না? তা হলো এই : একদিন নবী (সাঃ) আমাদের নিকট বেরিয়ে আসলেন, তখন আমরা বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমরা আপনাকে কেমন করে সালাম দেব, আমরা আপনার উপর দরূদ কিভাবে পড়বো? তিনি বললেন : তোমরা বলবে, ইয়া আল্লাহ! আপনি মুহাম্মদ (সাঃ)-এর উপর ও তাঁর পরিবারবর্গের উপর খাস রহমত বর্ষণ করূন, যেমন আপনি ইব্রাহীম (আঃ)-এর পরিবারের উপর খাস রহমত বর্ষণ করেছেন । নিশ্চয়ই আপনি প্রশংসিত, উচ্চ মর্যাদাশীল । ইয়া আল্লাহ! আপনি মুহাম্মদ (সাঃ)-এর উপর ও তাঁর পরিবারবর্গের উপর বরকত নাযিল করূন, যেমন আপনি ইব্রাহীম (আঃ)-এর পরিবারবর্গের উপর বরকত নাযিল করেছেন । নিশ্চয়ই আপনি প্রশংসিত, উচ্চ মর্যাদাশীল ।

হাদিস নং: ৫৯১৮ (দু‘আ অধ্যায়)

৫৯১৮/৫৩: ইব্রাহীম ইব্ন হামযা (রঃ) ……… আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) বর্ণনা করেন, একবার আমরা বললাম : ইয়া রাসূলুল্লাহ (সাঃ)! এই যে ‘আস্সালামু আলাইকা’ তা তো আমরা জেনে নিয়েছি । তবে আপনার উপর দুরূদ কিভাবে পড়বো ? তিনি বললেন : তোমরা পড়বে : ইয়া আল্লাহ! আপনি আপনার বান্দা ও আপনার রাসূল মুহাম্মদ (সাঃ) এর উপর খাছ রহমত বর্ষণ করূন । যেমন করে আপনি ইব্রাহীম (আঃ) এর উপর রহমত নাযিল করেছেন । আর আপনি মুহাম্মদ (সাঃ) ও তাঁর পরিবারবর্র্গের উপর বরকত বর্ষণ করূণ, যে রকম আপনি ইব্রাহীম (আঃ) এর উপর এবং তাঁর পরিবারবর্গের উপর বরকত নাযিল করেছেন ।

হাদিস নং: ৫৯১৯ (দু‘আ অধ্যায়)

৫৯১৯/৫৪: সুলায়মান ইব্ন হারব (রঃ) ……… আবূ আওফা (রাঃ) বর্ণনা করেন, যখন কেউ নবী (সাঃ) এর নিকট তার সাদাকা নিয়ে আসতেন, তখন তিনি দু’আ করতেন : ইয়া আল্লাহ! আপনি তার উপর রহমত বর্ষণ করূন । এভাবে আমার পিতা একদিন সাদাকা নিয়ে তাঁর কাছে এলেন, তিনি দু’আ করলেন : ইয়া আল্লাহ! আপনি আবূ আওফার পরিবারবর্গের উপর রহমত করূন ।