পরিচ্ছেদ
: ০০০০/ -
পরিচ্ছেদ
: ২১৬৮/ তীর লব্ধ
শিকার । বন্দুকের গুলিতে শিকার সম্বন্ধে ইব্ন উমর (রাঃ) বলেছেনঃ এটি মাওকুযাহ বা
থেতলিয়ে যওয়া শিকারের অন্তর্ভুক্ত ।সালিম, কাসিম, ইব্রাহীম, আতা ও হাসান বসীর (রঃ)
একে মাকরূহ মনে করেন । হাসানের মতে গ্রাম ও শহর এলাকায় বন্দুক দিয়ে শিকার করা
মাকরূহ । তবে অন্যত্র শিকার করতে কোন দোষ নেই । -
পরিচ্ছেদ
: ২১৬৯/ তীরের ফলকে
আঘাত প্রাপ্ত শিকার । -
পরিচ্ছেদ
: ২১৭০/ ধনুকের
সাহায্যে শিকার করা । -
পরিচ্ছেদ
: ২১৭১/ ছোট ছোট
পাথর নিক্ষেপ করা ও বন্দুক মারা । -
পরিচ্ছেদ
: ২১৭২/ যে ব্যক্তি
শিকার বা পশু-রক্ষার কুকুর ছাড়া অন্য কুকুর পালন করে ।
-
পরিচ্ছেদ
: ২১৭৩/ শিকারী
কুকুর যদি শিকারের কিছুটা খেয়ে ফেলে । -
পরিচ্ছেদ
: ২১৭৪/ শিকার যদি
দুই বা তিনদিন শিকারী থেকে অদৃশ্য থাকে । -
পরিচ্ছেদ
: ২১৭৫/ শিকারের
সাথে যদি অন্য কুকুর পাওয়া যায় । -
পরিচ্ছেদ
: ২১৭৬/ শিকারে
অভ্যস্ত হওয়া সম্পর্কে । -
পরিচ্ছেদ
: ২১৭৭/ পাহাড়ে
শিকার করা । -
পরিচ্ছেদ
: ২১৭৮/ মহান
আল্লাহ্ তা‘আলার বাণীঃ তোমাদের জন্য সমুদ্রের শিকার হালাল করা হয়েছে . . . . (৫ :
৯৬) । -
পরিচ্ছেদ
: ২১৭৯/ ফড়িং খাওয়া
। -
পরিচ্ছেদ
: ২১৮০/
অগ্নিপুজকদের বাসনপত্র ও মৃত জানোয়ার । -
পরিচ্ছেদ
: ২১৮১/ যবাহের
বস্তুর উপর বিসমিল্লাহ্ বলা এবং ইচ্ছাকৃত ভাবে যে বিসমিল্লাহ্ তরক করে । ইব্ন
আব্বাস (রাঃ) বলেছেনঃ কেউ বিসমিল্লাহ্ বলতে ভুলে গেলে তাতে কোন দোষ নেই । আল্লাহ্
তা‘আলা ইরশাদ করেনঃ “যে সব প্রাণীর উপর আল্লাহর নাম উচ্চারণ করা হয়নি, তা থেকে
আহার করোনা । তা অবশ্যই গুনাহের কাজ ।” আর যে ব্যক্তি বিসমিল্লাহ্ বলতে ভুলে যায়,
তাকে গুনাহগার বলা যায় না । আল্লাহ্ তা‘আলা আরো ইরশাদ করেনঃ “শয়তানরা তাদের
বন্ধুদের প্ররোচনা দেয় . . . . শেষ পর্যন্ত ।
-
পরিচ্ছেদ
: ২১৮২/ যে জন্তকে দেব-দেবী ও মূর্তির নামে যবাহ্ করা
হয় । -
পরিচ্ছেদ
: ২১৮৩/ নবী (সাঃ)
এর বাণীঃ আল্লাহর নামে যবাহ্ করবে । -
পরিচ্ছেদ
: ২১৮৪/ যে জিনিস
রক্ত প্রবাহিত করে অর্থাৎ বাঁশ, পাথর ও লৌহা ।
-
পরিচ্ছেদ
: ২১৮৫/ দাসী ও
মহিলার যবাহ্ কৃত পশু । -
পরিচ্ছেদ
: ২১৮৬/ দাঁত, হাড়
ও নখের সাহায্যে যবাহ্ করা যাবে না । -
পরিচ্ছেদ
: ২১৮৭/ বেদুঈন ও
তাদের মত লোকের যবাহ্ কৃত পশু । -
পরিচ্ছেদ
: ২১৮৮/ আহলে
কিতাবের যবাহ্ কৃত পশু ও এর চর্বি । তারা দারূল হারবের হোক কিংবা না হোক । মহান
আল্লাহ্ তা‘আলা ইরশাদ করেনঃ আজ তোমাদের জন্য পবিত্র জিনিসসমূহ হালাল করে দেওয়া হল
। আহলে কিতাবের খাবার তোমাদের জন্য হালাল, তোমাদের খাবারও তাদের জন্য হালাল ।
(মায়িদাহ্ঃ-৫ -
পরিচ্ছেদ
: ২১৮৯/ যে পশু
পালিয়ে যায় তার হুকুম বন্য পশেুর মত । -
পরিচ্ছেদ
: ২১৯০/ নহর ও
যবাহ্ করা । -
পরিচ্ছেদ
: ২১৯১/ পশুর
অঙ্গহানি করা, বেঁধে তীর দ্বারা হত্যা করা ও চাঁদমারী করা মাকরূহ ।
-
পরিচ্ছেদ
: ২১৯২/ মুরগীর
গোশ্ত । -
পরিচ্ছেদ
: ২১৯৩/ ঘোড়ার
গোশ্ত । -
পরিচ্ছেদ
: ২১৯৪/ গৃহপালিত
গাধার গোশ্ত । -
পরিচ্ছেদ
: ২১৯৫/ মাংসভোজী
সর্বপ্রকার হিংস্র পশু খাওয়া । -
পরিচ্ছেদ
: ২১৯৬/ মৃত পশুর
চামড়া । -
পরিচ্ছেদ
: ২১৯৭/ কস্তুরী ।
-
পরিচ্ছেদ
: ২১৯৮/ খরগোশ ।
-
পরিচ্ছেদ
: ২১৯৯/ গুঁই সাপ ।
-
পরিচ্ছেদ
: ২২০০/ যদি জমাট
কিংবা তরল ঘিয়ের মধ্যে ইদুর পড়ে । -
পরিচ্ছেদ
: ২২০১/ পশুর মুখে
চিহ্ন লাগানো ও দাগানো । -
পরিচ্ছেদ
: ২২০২/ কোন দল
মালে গনীমত লাভ করার পর যদি তাদের কউ সাথীদের অনুমতি ছাড়া কোন বক্ রী কিংবা উট
যবাহ্ করে ফেলে, তাহলে নবী (সাঃ) থেকে বর্ণিত রাফি (রাঃ) এর হাদীস অনুসারে সেই
গোশত খাওয়া যাবেনা । চোরের যবাহকৃত পশুর ব্যপারে তাউস ও ইকারমা (রঃ) বলেছেন, তা
ফেলে দাও । -
পরিচ্ছেদ
: ২২০৩/ কোন দলের
উট ছুটে গেলে তাদের কেউ যদি সেটিকে তাদের উপকারের উদ্দেশ্যে তীর নিক্ষেপ করে এবং
হত্যা করে, তাহলে রাফি (রাঃ) থেকে বর্ণিত নবী (সাঃ) এর হাদীস অনুযায়ী তা জায়েয ।
-
পরিচ্ছেদ
: ২২০৪/ অনন্যোপায়
ব্যক্তির খাওয়া । আল্লাহ্ তা‘আলার বাণীঃ “হে মু‘মিনগণ, তোমাদের আমি সেসব পবিত্র
বস্তু দিয়েছি তা থেকে তোমরা আহার কর, এবং আল্লাহর নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর । যদি
তোমরা শুধু তাঁরই এবাদত কর । নিশ্চয়ই আল্লাহ্ মৃত পশু, রক্ত, শূকরের মাংস এবং যার
উপর আল্লাহর নাম ব্যতীত অন্যের নাম উচ্চারিত হয়েছে, তা তোমাদের জন্য হারাম করেছেন
। কিন্ত যে অনন্যোপায় অথচ নাফরমান কিংবা সীমালঙ্গনকারী নয়, তার কোন পাপ হবে না
(২:১৭২-১৭৩)। আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেনঃ তবে কউ পাপের দিকে না ঝুঁকে ক্ষুধার তাড়নায়
বাধ্য হলে . . . .(৫:৩)। আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেনঃ তোমরা আল্লাহর নিদর্শনে বিশ্বাসী
হলে, যে পশুর উপর তাঁর নাম নেওয়া হয়েছে, তা আহার কর । তোমাদের কি হয়েছে যে, যাতে
আল্লাহর নাম নেওয়া হয়েছে, তোমরা তা আহার করবে না ? যা তোমাদের জন্য নিষিদ্ধ তা
তিনি বিষেস ভাবেই তোমাদের নিকট বিবৃত করেছেন তবে তোমরা নিরূপায় হলে, তা আলঅদা ।
অনেকে অজ্ঞতাবশতঃ নিজেদের খেয়াল-খুশি দ্বারা অবশ্যই অন্যকে বিপদগামী করে, আপনার
প্রতিপালক সীমালঙ্গনকারীদের সম্বন্ধে সবিষেস অবহিত (৬:১১৮-১১৯) আল্লাহ তা‘আলা আরো
বলেনঃ “বলুন, আমার প্রতি যে প্রত্যাদেশ হয়েছে তাতে লোকে যা আহার করে তার মধ্যে আমি
কিছুই নিষিদ্ধ পাই না, মরা, বহমান রক্ত ও শুকরের মাংস ব্যতীত – কেননা, এটা অবশ্যই
অপবিত্র – অথবা যা অবৈধ, আল্লাহ ছাড়া অন্যের নামে উৎসর্গের কারণে, তবে কেউ অবাধ্য না হয়ে এবং সীমালঙ্গন না করে তা
গ্রহনে রিরূপায় হলে, আপনার প্রতিপালক ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু (৬:১৪৫) । আল্লাহ তা‘আলা
আরো বলেনঃ আল্লাহ্ তোমাদের যা দিয়েছেন তার মধ্যে যা বৈধ ও পবিত্র তা তোমরা আহার কর
এবং তোমরা যদি কেবল আল্লাহরই ইবাদত কর, তবে তাঁর অনুগ্রহের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ
কর । আল্লাহ্ তো কেবল মরা, রক্ত, শুকরের মাংস এবং যা যবাহ কালে আল্লাহর পরিবর্তে
অন্যের নাম নেওয়া হয়েছে, তাই তোমাদের জন্য হারাম করেছেন । কিন্ত কেউ অন্যায়কারী
কিংবা সীমালঙ্গনকারী না হয়ে অনন্যোপায় হলে, আল্লাহ্ তো ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু
(১৬:১১৪-১১৫) ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন