৫৮৪৯/৫৬: মূসা ইব্ন ইসমাঈল (রঃ) ……… উম্মুল মু‘মিনীন হযরত আয়িশা (রাঃ) বর্ণনা
করেন, একবার আমরা নবী (সাঃ) এর সব সহধর্মিণীগণ তাঁর নিকট জমায়েত হয়েছিলাম । আমাদের
একজনও অনুপস্থিত ছিলাম না । এমন সময় হযরত ফাতিমা (রাঃ) পায়ে হেঁটে আসছিলেন ।আল্লাহর
কসম! তাঁর হাঁটা রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর হাঁটার অনুরূপই ছিল । তিনি যখন তাঁকে দেখলেন,
তখন তিনি আমার মেয়ের আগমন শুভ হোক বলে সম্বর্ধনা জানালেন । এরপর তিনি যখন তাঁকে নিজের
ডান পাশে অথবা (রাবী বলেন) বাম পাশে বসালেন । তারপর তিনি তার সঙ্গে কানে-কানে কিছু
কথা বললেন, তিনি (ফাতিমা (রাঃ)) খুব বেশী কাঁদতে লাগলেন । এরপর তাঁর বিষণ্ন অবস্থা
দেখে দ্বিতীয়বার তাঁর সঙ্গে তিনি কানে-কানে আরও কিছু কথা বললেন, তখন হযরত ফাতিমা (রাঃ)
হাসতে লাগলেন । তখন নবী (সাঃ) এর সহধর্মিণীগণের মধ্য থেকে আমি বললাম : আমাদের উপস্থিত
থাকা অবস্থায়ই রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বিশেষ করে আপনার সঙ্গে বিশেষ কি গোপনীয় কথা কানে-কানে
বললেন, যা কারণে আপনি খুব কাঁদছিলেন ? এরপর যখন নবী (সাঃ) উঠে চলে গেলেন, তখন আমি তাঁকে
জিজ্ঞাসা করলাম যে, তিনি আপনাকে কানে-কানে কি বলেছিলেন ? তিনি বললেন : আমি রাসূলুল্লাহ
(সাঃ) এর ভেদ (গোপনীয় কথা) ফাঁস করবো না । এরপর রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর ওফাত হয়ে গেল
। তখন আমি তাঁকে বললাম : আপনার উপর আমার যে দাবী আছে, আপনাকে আমি তার কসম দিয়ে বলছি
যে, আপনি কি গোপনীয় কথাটি আমাকে জানাবেন না ? তখন হযরত ফাতিমা (রাঃ) বললেন : হ্যাঁ,
এখন আপনাকে জানাবো । সুতরাং তিনি আমাকে জানাতে
গিয়ে বললেন : প্রথমবার তিনি আমার নিকট যে গোপনীয় কথা বলেন, তা হলো এই যে, তিনি আমার
নিকট বর্ণনা করেন যে, জিব্রাঈল (আঃ) প্রত্যেক বছর এসে পূর্ণ কুরআন একবার আমার নিকট
পেশ করতেন । কিন্ত এ বছর তিনি এসে তা আমার কাছে দু‘বার পেশ করেছেন । এত আমি অনুমান
করছি যে, আমার চির বিদায়ের সময় ঘনিয়ে আসছে । সুতরাং তুমি আল্লাহকে ভয় করে চলবে এবং
বিপদে ধৈর্যধারণ করবে । নিশ্চয়ই আমি তোমার জন্য উত্তম অগ্রগমনকারী । তখন আমি কাঁদলাম
যা নিজেই দেখলেন । তারপর যখন তিনি আমার বিষণ্নভাব দেখলেন, তখন দ্বিতীয়বার আমাকে কানে-কানে
বললেন : তুমি কি জান্নাতের মুসলিম মহিলাদের অথবা এ উম্মতের মহিলাদের নেত্রী হয়ে যাওয়াতে
সন্তষ্ট হবে না ? (তখন আমি হেঁসে দিলাম) ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন