৬৫১১/০১: ইয়াহ্ইয়া
ইব্ন বুকায়র ও আবদুল্লাহ্ ইব্ন মুহাম্মাদ (রহঃ) . . . . . হযরত আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত
। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) এর ওহীর সূচনা হয় ঘুমের ঘোরে ভালো স্বপ্নের মাধ্যমে
। তিনি যে স্বপ্নই দেখতেন তা ভোরের আলোর ন্যায় উদ্ভাসিত হয়ে প্রতিফলিত হতো । তিনি হেরা
গুহায় গমন করে সেখানে বেশ কয়েক রাত ইবাদতে কাটিয়ে দিতেন এবং এজন্য খাদ্য সামগ্রী ও
সাথে নিয়ে যেতেন । এরপর হযরত খাদীজা (রাঃ) এর কাছে ফিরে আসতেন এবং তিনি তাকে অনুরূপ
খাদ্য সামগ্রী প্রস্তুত করে দিতেন । অবশেষে তাঁর কাছে সত্যের বাণী (ওহী) আসল । আর এ
সময় তিনি হেরা গুহায় ছিলেন । সেখানে ফেরেশতা এসে তাঁকে বলল, আপনি পড়ুন, রাসূলুল্লাহ্
(সাঃ) বলেন, আমি বললামঃ আমি তো পাঠক নই । তখন তিনি আমাকে জড়িয়ে ধরে শক্ত করে চাপ দিলেন
। এমনকি এতে আমার খুব কষ্ট হল । তারপর তিনি আমাকে ছেড়ে দিলেন এবং বললেন, আপনি পড়ুন
। আমি বললাম, আমি পাঠক নই । তিনি দ্বিতীয়বার আমাকে শক্ত করে চাপ দিলেন । এবারেও এতে
আমার খুব কষ্ট হল । অতঃপর তিনি আমাকে ছেড়ে দিয়ে বললেন, আপনি পড়ুন । আমি বললাম, আমি
তো পাঠক নই । এরপর তিনি তৃতীয়বার আমাকে শক্ত করে এমন চাপ দিলেন যে, এবারেও এতে আমার
খুব কষ্ট হল । তারপর তিনি আমাকে ছেড়ে দিয়ে বললেন, পাঠ করুন, আপনার প্রতিপালকের নামে
যিনি সৃষ্টি করেছেন যা সে জানত না (৯৪:১-৫) এ আয়াত পর্যন্ত ।
এরপর তিনি তা নিয়ে হযরত খাদীজা (রাঃ) এর কাছে কম্পিত হৃদয়ে ফিরে এলনে । আর বললেন, আমাকে কম্বল দিয়ে ঢেকে দাও । আমাকে কম্বল দিয়ে ঢেকে দাও । ফলে তাঁরা তাঁকে কম্বল দিয়ে ঢেকে দিলেন । অবশেষে তাঁর থেকে ভীতি দূর হয়ে গেল । এরপর তিনি বললেন, হে খাদীজা (রাঃ)! আমার কি হল? এবং তাকে সমূহ ঘটনা জানালেন । আর বললেনঃ আমি আমার জীবন সম্পর্কে শংকাবোধ করছি । হযরত খাদীজা (রাঃ) তাকে বললেন, কখনই না । আপনি সুসংবাদ গ্রহণ করূন । আল্লাহ্ এর কসম! আল্লাহ্ আপনাকে কখনই লাঞ্ছিত করবেন না । কেননা, আপনি তো আত্মীয়তার বন্ধন জুড়ে রাখেন, সত্য কথা বলেন, অনাথ অক্ষমদের বোঝা বহন করেন, মেহমানদের মেহমানাদী করেন এবং হকের পথে আগত যাবতীয় বিপদে সাহায্য করেন । অতঃপর হযরত খাদীজা (রাঃ) তাঁকে নিয়ে চললেন । অতঃপর তাঁকে নিয়ে ওরাকা ইব্ন নাওফল ইব্ন আসা’দ ইব্ন আবদুল উয়াবা ইব্ন কুসাই এর কাছে এলেন । আর তিনি হযরত খাদীজা (রাঃ) এর চাচার পুত্র (চাচাত ভাই) এবং তার পিতার পক্ষ থেকে চাচাও ছিলেন । তিনি জাহিলিয়াতের যুগে খৃষ্ট ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন । তিনি আরবী কিতাব লিখতেন । তিনি ইঞ্জিল আরবীতে ভাসান্তর করেছেন । যতখানি লেখা আল্লাহ্ এর মনযুর হত । তিনি ছিলেন অতি বৃদ্ধ, দৃষ্টিশক্তিহীন ব্যাক্তি । হযরত খাদীজা (রাঃ) তাকে বললেন, হে আমার চাচাতো ভাই! তোমার ভাতিজার কথা শুন । তখন ওরাকা বললেন, হে ভাতিজা! তুমি কি দেখেছ? রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) যা কিছু দেখেছিলেন তা তাকে অবহিত করেলেন । তখন ওরাকা বললেন, এই তো আল্লাহ্ এর সেই নামুস (দূত) যাঁকে মূসা (আঃ) এর কাছে প্রেরণ করা হয়েছিল । হায় আফসোস! যদি সেদিন আমি জীবিত থাকতে পারতাম যে দিন তোমার কাওম তোমাকে বের করে দেবে । রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) বললেনঃ তারা কি আমাকে বের করে দেবে? ওরাকা বললেন, হ্যাঁ, তুমি যা নিয়ে এসেছ, এমন বস্তু নিয়ে কোন দিনই কেউ আসেনি যার সাথে শত্রুতা করা হয়নি । যদি তোমার জীবনকাল আমাকে পায় তাহলে আমি পরিপূর্ণরূপে তোমাকে সাহায্য করব । এরপর কিছু দিনের মধ্যেই ওরাকার মৃত্যু হয় । আর কিছু দিনের জন্য ওহীও বন্ধ থাকে । এমনকি রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) এ অবস্থার প্রেক্ষিতে অত্যন্ত চিন্তিত হয়ে পড়লেন । এমনকি আমার এ সম্পর্কে তার থেকে জানতে পেরেছি যে, তিনি পাহাড়ের চূড়া থেকে নিচে পড়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে একাধিকবার দ্রুত সেখানে চলে গেছেন । যখন নিজেকে নিক্ষেপ করার জন্য পাহাড়ের চূড়ায় পৌঁছতেন, তখনই জিবরাঈল (আঃ) তাঁর সামনে আত্মপ্রকাশ করে বলতেন হে মুহাম্মদ (সাঃ)! নিঃসন্দেহে আপনি তো আল্লাহর রাসূল! এতে তাঁর অস্থিরতা প্রশমিত হত এবং নিজে মনে শান্তিবোধ করতেন । তাই সেখান থেকে ফিরে আসতেন । ওহী বন্ধ অবস্থা যখন তাঁর উপর দীর্ঘায়িত হয় তখনই তিনি অনরূপ উদ্দেশ্যে দ্রুত চলে যেতেন । যখনই তিনি পাহাড়ের চূড়ায় পৌঁছতেন, তখনই জিবরাঈল (আঃ) তাঁর সামনে আত্মপ্রকাশ করে পূর্বের ন্যায় বলতেন । হযরত ইব্ন আব্বাস (রাঃ) বলেন দিনের বেলায় সূর্যের আলো ও রাতের বেলায় চাঁদের আলো ।
এরপর তিনি তা নিয়ে হযরত খাদীজা (রাঃ) এর কাছে কম্পিত হৃদয়ে ফিরে এলনে । আর বললেন, আমাকে কম্বল দিয়ে ঢেকে দাও । আমাকে কম্বল দিয়ে ঢেকে দাও । ফলে তাঁরা তাঁকে কম্বল দিয়ে ঢেকে দিলেন । অবশেষে তাঁর থেকে ভীতি দূর হয়ে গেল । এরপর তিনি বললেন, হে খাদীজা (রাঃ)! আমার কি হল? এবং তাকে সমূহ ঘটনা জানালেন । আর বললেনঃ আমি আমার জীবন সম্পর্কে শংকাবোধ করছি । হযরত খাদীজা (রাঃ) তাকে বললেন, কখনই না । আপনি সুসংবাদ গ্রহণ করূন । আল্লাহ্ এর কসম! আল্লাহ্ আপনাকে কখনই লাঞ্ছিত করবেন না । কেননা, আপনি তো আত্মীয়তার বন্ধন জুড়ে রাখেন, সত্য কথা বলেন, অনাথ অক্ষমদের বোঝা বহন করেন, মেহমানদের মেহমানাদী করেন এবং হকের পথে আগত যাবতীয় বিপদে সাহায্য করেন । অতঃপর হযরত খাদীজা (রাঃ) তাঁকে নিয়ে চললেন । অতঃপর তাঁকে নিয়ে ওরাকা ইব্ন নাওফল ইব্ন আসা’দ ইব্ন আবদুল উয়াবা ইব্ন কুসাই এর কাছে এলেন । আর তিনি হযরত খাদীজা (রাঃ) এর চাচার পুত্র (চাচাত ভাই) এবং তার পিতার পক্ষ থেকে চাচাও ছিলেন । তিনি জাহিলিয়াতের যুগে খৃষ্ট ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন । তিনি আরবী কিতাব লিখতেন । তিনি ইঞ্জিল আরবীতে ভাসান্তর করেছেন । যতখানি লেখা আল্লাহ্ এর মনযুর হত । তিনি ছিলেন অতি বৃদ্ধ, দৃষ্টিশক্তিহীন ব্যাক্তি । হযরত খাদীজা (রাঃ) তাকে বললেন, হে আমার চাচাতো ভাই! তোমার ভাতিজার কথা শুন । তখন ওরাকা বললেন, হে ভাতিজা! তুমি কি দেখেছ? রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) যা কিছু দেখেছিলেন তা তাকে অবহিত করেলেন । তখন ওরাকা বললেন, এই তো আল্লাহ্ এর সেই নামুস (দূত) যাঁকে মূসা (আঃ) এর কাছে প্রেরণ করা হয়েছিল । হায় আফসোস! যদি সেদিন আমি জীবিত থাকতে পারতাম যে দিন তোমার কাওম তোমাকে বের করে দেবে । রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) বললেনঃ তারা কি আমাকে বের করে দেবে? ওরাকা বললেন, হ্যাঁ, তুমি যা নিয়ে এসেছ, এমন বস্তু নিয়ে কোন দিনই কেউ আসেনি যার সাথে শত্রুতা করা হয়নি । যদি তোমার জীবনকাল আমাকে পায় তাহলে আমি পরিপূর্ণরূপে তোমাকে সাহায্য করব । এরপর কিছু দিনের মধ্যেই ওরাকার মৃত্যু হয় । আর কিছু দিনের জন্য ওহীও বন্ধ থাকে । এমনকি রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) এ অবস্থার প্রেক্ষিতে অত্যন্ত চিন্তিত হয়ে পড়লেন । এমনকি আমার এ সম্পর্কে তার থেকে জানতে পেরেছি যে, তিনি পাহাড়ের চূড়া থেকে নিচে পড়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে একাধিকবার দ্রুত সেখানে চলে গেছেন । যখন নিজেকে নিক্ষেপ করার জন্য পাহাড়ের চূড়ায় পৌঁছতেন, তখনই জিবরাঈল (আঃ) তাঁর সামনে আত্মপ্রকাশ করে বলতেন হে মুহাম্মদ (সাঃ)! নিঃসন্দেহে আপনি তো আল্লাহর রাসূল! এতে তাঁর অস্থিরতা প্রশমিত হত এবং নিজে মনে শান্তিবোধ করতেন । তাই সেখান থেকে ফিরে আসতেন । ওহী বন্ধ অবস্থা যখন তাঁর উপর দীর্ঘায়িত হয় তখনই তিনি অনরূপ উদ্দেশ্যে দ্রুত চলে যেতেন । যখনই তিনি পাহাড়ের চূড়ায় পৌঁছতেন, তখনই জিবরাঈল (আঃ) তাঁর সামনে আত্মপ্রকাশ করে পূর্বের ন্যায় বলতেন । হযরত ইব্ন আব্বাস (রাঃ) বলেন দিনের বেলায় সূর্যের আলো ও রাতের বেলায় চাঁদের আলো ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন