৫৮৩৪/৪১: উমর ইব্ন হাফ্স (রঃ) ……… হযরত যায়দ ইব্ন ওয়াহ্ব (রঃ) বলেন, আল্লাহর
কসম! হযরত আবূ যার (রাঃ) রাবাযাহ নামক স্থানে আমাদের কাছে বর্ণনা করেন যে, একবার আমি
নবী (সাঃ) এর সঙ্গে এশার সময় মদীনায় হার্রা নামক স্থান দিয়ে পায়ে হেঁটে যাচ্ছিলাম ।
তখন আমরা ওহোদ/ওহুদ পাহাড়ের সম্মুথীন হলে তিনি আমাকে বললেনঃ হে আবূ যার! আমি এটা পছন্দ
করিনা যে, আমার নিকট ওহোদ/ওহুদ পাহাড় পরিমাণ সোনা আসুক । আর ঋণ পরিশোধের পরিমাণ ব্যতীত
এক দীনার পরিমাণ সোনাও এক রাত অথবা তিন রাত পর্যন্ত আমার হাতে তা থেকে যাক । বরং আমি
পছন্দ করি যে, আমি এগুলো আল্লাহর বান্দাদের এভাবে বিলিয়ে দেই । (কিভাবে দিবেন) তা
তাঁর হার দিয়ে তিনি দেখালেন । তারপর বললেনঃ হে আবূ যার! আমি বললামঃ লাব্বায়কা ওয়া সাদায়কা,
ইয়া রাসূলাল্লাহ্ । তখন তিনি বললেনঃ দুনিয়াতে যারা অধিক সম্পদশালী, আখিরাতে তারা হবেন
অনেককম সাওয়াবের অধিকারী । তবে যারা তাদের সম্পদকে এভাবে, এভাবে বিলিয়ে দিবে, তারা
হবেন এর ব্যতিক্রম । তারপর তিনি আমাকে বললেনঃ আমি ফিরে না আসা পর্যন্ত, হে আবূ যার!
তুাম এ স্থানেই থাকো । এখান থেকে কোথাও যেয়োনা । এরপর তিনি রাওয়ানা হয়ে গেলেন, এমন
কি আমার চোখের আড়ালে চলে গেলেন । এমন সময় একটা শব্দ শুনলাম । এতে আমি শংকিত হয়ে পড়লাম
যে, রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) কোন বিপদের সম্মুখীন হয়ে পড়লেন কিনা ? তাই আমি সে দিকে অগ্রসর
হতে চাইলাম । কিন্তু সাথে সাথেই রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) এর নিষেধাজ্ঞা, যে কোথাও যেয়োনা
মনে পড়লো এবং আমি থেমে গেলাম । এরপর তিনি ফিরে আসলে আমি বললামঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমি
একটা আওয়ায শুনে শংকিত হয়ে পড়লাম যে, আপনি সেখানে গিয়ে কোন বিপদে পড়লেন কিনা । কিন্তু
আপনার কথা স্বরণ করে থেমে গেলাম । তখন নবী (সাঃ) বললেনঃ তিনি ছিলেন জিব্রাঈল (আঃ) ।
তিনি আমার নিকট এসে সংবাদ দিলেন যে, আমার উম্মতের মধ্যে যে ব্যক্তি আল্লাহর সংঙ্গে
কোন কিছুকে শরীক না করে মারা যাবে, সে বেহেশ্তে প্রবেশ করবে । তখন আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ্!
যদিও সে ব্যক্তি ব্যভিচার করে ? যদিও সে ব্যক্তি চুরি করে ? তিনি বললেনঃ সে যদিও ব্যভিচার
করে, যদিও চুরি করে থাকে তবুও । আমাশ (রঃ) বলেন, আমি যাব্দকে বললাম, আমার কাছে খবর
পৌছেছে যে, এ হাদীসের রাবী/বর্ণনাকারী হলেন আবূদ দারদা / আবূ দারদা (রাঃ) । তিনি বললেনঃ
আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, এ হাদীসটি আবূ যারই রাবাযা নামক স্থানে আমার কাছে বর্ণনা করেছেন
। আমাশ (রঃ) বলেন, আবূ সালিহ্ ও আবূদ দারদা / আবূ দারদা (রাঃ) সূত্রে আমার কাছে অনুরূপ
বর্ণনা করেছেন । আর আবূ শিহাব, আমাশ (রঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ ‘তিন দিনের
অতিরিক্ত’ ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন