৫৮৪৩/৫০: ইয়াহইয়া ইব্ন জা‘ফর ও আবূ ওয়ালীদ (রঃ) ……… হযরত ইব্রাহীম (রঃ)
থেকে বর্ণিত । তিনি বলেন, একবার আলকামা (রাঃ) সিরিয়ায় গমন করলেন । তখন তিনি মসজিদে
গিয়ে দু‘রাক‘আত সালাত আদায় করে দু‘আ করলেন : ইয়া আল্লাহ! আপনি আমাকে একজন নেক সঙ্গী
দান করূন । এরপর তিনি আবূদ দারদা (রাঃ) এর পাশে গিয়ে বসে পড়লেন । তারপর তাঁকে জিজ্ঞাসা
করলেন : আপনি কোন শহরের লোক ? তিনি জবাব দিলেন : আমি কূফার বাসিন্দা । তিনি জিজ্ঞাসা
করলেন : আপনাদের মধ্যে কি সেই ব্যক্তি নেই ? যিনি ঐ ভেদ সম্পর্কে অবগত ছিলেন, যা অপর
কেউ জানতেন না । (রাবী বলেন) অর্থাৎ হুযায়ফা (রাঃ) । আবার জিজ্ঞাসা করলেন : আপনাদের
মধ্যে কি এমন ব্যক্তি নেই, অথবা আছেন, যাঁকে আল্লাহ তা‘আলা তাঁর রাসূলের দু‘আর কারনে
শয়তান থেকে পানাহ দিয়েছেন ? (রাবী বলেন) অর্থাৎ আম্মার (রাঃ) তিনি আবার জিজ্ঞাসা করলেন
: আর আপনাদের মধ্যে কি সে ব্যক্তি নেই যিনি রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর মিসওয়াক ও বালিশের
জিম্মাদার ছিলেন ? (রাবী বলেন) অর্থাৎ আব্দুল্লাহ ইব্ন মাসউদ (রাঃ) । আবূ দারদা
(রাঃ) তাঁকে জিজ্ঞাসা করেন : আব্দুল্লাহ ইব্ন মাসউদ (রাঃ)সূরায়ে ‘ওয়াল্লাইলি ইযা ইয়াগশা’
কি রকম পড়তেন ? তিনি বললেন : তিনি ‘ওয়ামা খালাকায যাকারা ওয়াল উনসা’ এর স্থলে ‘ওয়ামা
খালাকা’ অংশটুকু ছেড়ে দিয়ে পড়তেন । ‘ওয়ায যাকারা ওয়াল উনসা’ । তখন তিনি বললেন : এখানকার
লোকেরা আমাকে এ সূরা সম্পর্কে সন্দেহের মধ্যে ফেলে দিচ্ছিলেন । অথচ আমি রাসূলুল্লাহ
(সাঃ) থেকে এ রকমই শুনেছি ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন