পরিচ্ছেদ : ২৬৫৬/
৫৯৩৩/৬৮: মূসা ইব্ন ইসমাঈল (রঃ) ……… সা’দ ইব্ন আবূ ওয়াক্কাস (রাঃ) বর্ণনা করেন, বিদায় হাজ্জের সময় আমি রোগে আক্রান্ত হয়ে মরণাপন্ন হয়ে পড়েছিলাম । নবী (সাঃ) সে সময় আমাকে দেখতে এলেন । তখন আমি বললাম : আমি যে রোগ-যন্ত্রণায় আক্রান্ত, তাতো আপনি দেখছেন । আমি একজন ধনবান লোক । আমার একটি মেয়ে ছাড়া আর কেউ ওয়ারিস নেই । তাই আমি কি আমার দু’তুতীয়াংশ মাল সাদাকা করে দিতে পারি ? তিনি বললেন: না । আমি বললাম : তবে অর্ধেক মাল ? তিনি বললেন : না । এক তৃতীয়াংশ অনেক । তোমার ওয়ারিসদের লোকের কাছে ভিক্ষার হাত প্রসারিত করার মত অভাবী রেখে যাওয়ার চাইতে তাদের ধনবান রেখে যাওয়া তোমার জন্য অনেক উত্তম । আর তুমি একমাত্র আল্লাহর সন্তষ্টি লাভের জন্য যা কিছুই ব্যয় করবে নিশ্চয়ই তার প্রতিদান দেওয়া হবে । এমন কি (সে উদ্দেশ্যে) তুমি তোমার স্ত্রীর মুখে লুকমাটি তুলে দিয়ে থাকো, তোমাকে এর প্রতিদান দেওয়া হবে । আমি বললাম : তা হলে আমার সঙ্গীগণের পরেও কি আমি বেঁচে থাকবো ? তিনি বললেন : নিশ্চয়ই তুমি এঁদের পরে বেঁচে থাকলে তুমি আল্লাহর সন্তষ্টি লাভের জন্য যা কিছু নেক আমল করনা কেন, এর বিনিময়ে তোমার মর্যাদা ও সম্মান আরও বেড়ে যাবে । আশা করা যায় যে, তুমি আরও কিছু দিন পর্যন্ত বেঁচে থাকবে । এমন কি তোমার দ্বারা অনেক কাওম(সম্প্রদায়) উপকৃত হবে । আর অনেক কাওম(সম্প্রদায়) ক্ষতিগ্রস্থ হবে । তার পর তিনি দু’আ করলেন : ইয়া আল্লাহ! আপনি আমার (মুহাজির) সাহাবীগণের হিজরতকে বহাল রাখুন । আর তাদের পেছনে ফিরে যেতে দেবেন না । কিন্তু সা’দ ইব্ন খাওলাহ (রাঃ) এর দর্ভাগ্য (কারণ তিনি ইচ্ছা না থাকা সত্ত্বেও বিদায় হাজ্জের সময় মক্কায় মারা যান) সা’দ (রাঃ) বলেন : তিনি মক্কাতে ওফাতের কারণে রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) তাঁর জন্য শোক প্রকাশ করেছেন ।
৫৯৩৩/৬৮: মূসা ইব্ন ইসমাঈল (রঃ) ……… সা’দ ইব্ন আবূ ওয়াক্কাস (রাঃ) বর্ণনা করেন, বিদায় হাজ্জের সময় আমি রোগে আক্রান্ত হয়ে মরণাপন্ন হয়ে পড়েছিলাম । নবী (সাঃ) সে সময় আমাকে দেখতে এলেন । তখন আমি বললাম : আমি যে রোগ-যন্ত্রণায় আক্রান্ত, তাতো আপনি দেখছেন । আমি একজন ধনবান লোক । আমার একটি মেয়ে ছাড়া আর কেউ ওয়ারিস নেই । তাই আমি কি আমার দু’তুতীয়াংশ মাল সাদাকা করে দিতে পারি ? তিনি বললেন: না । আমি বললাম : তবে অর্ধেক মাল ? তিনি বললেন : না । এক তৃতীয়াংশ অনেক । তোমার ওয়ারিসদের লোকের কাছে ভিক্ষার হাত প্রসারিত করার মত অভাবী রেখে যাওয়ার চাইতে তাদের ধনবান রেখে যাওয়া তোমার জন্য অনেক উত্তম । আর তুমি একমাত্র আল্লাহর সন্তষ্টি লাভের জন্য যা কিছুই ব্যয় করবে নিশ্চয়ই তার প্রতিদান দেওয়া হবে । এমন কি (সে উদ্দেশ্যে) তুমি তোমার স্ত্রীর মুখে লুকমাটি তুলে দিয়ে থাকো, তোমাকে এর প্রতিদান দেওয়া হবে । আমি বললাম : তা হলে আমার সঙ্গীগণের পরেও কি আমি বেঁচে থাকবো ? তিনি বললেন : নিশ্চয়ই তুমি এঁদের পরে বেঁচে থাকলে তুমি আল্লাহর সন্তষ্টি লাভের জন্য যা কিছু নেক আমল করনা কেন, এর বিনিময়ে তোমার মর্যাদা ও সম্মান আরও বেড়ে যাবে । আশা করা যায় যে, তুমি আরও কিছু দিন পর্যন্ত বেঁচে থাকবে । এমন কি তোমার দ্বারা অনেক কাওম(সম্প্রদায়) উপকৃত হবে । আর অনেক কাওম(সম্প্রদায়) ক্ষতিগ্রস্থ হবে । তার পর তিনি দু’আ করলেন : ইয়া আল্লাহ! আপনি আমার (মুহাজির) সাহাবীগণের হিজরতকে বহাল রাখুন । আর তাদের পেছনে ফিরে যেতে দেবেন না । কিন্তু সা’দ ইব্ন খাওলাহ (রাঃ) এর দর্ভাগ্য (কারণ তিনি ইচ্ছা না থাকা সত্ত্বেও বিদায় হাজ্জের সময় মক্কায় মারা যান) সা’দ (রাঃ) বলেন : তিনি মক্কাতে ওফাতের কারণে রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) তাঁর জন্য শোক প্রকাশ করেছেন ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন