৫৮২৫/৩২: ইউসুফ ইব্ন বাহলূল (রঃ) ……… হযরত আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিত । তিনি
বলেন, নবী (সাঃ) আমাকে ও জুবায়র ইব্ন আওয়াম (রাঃ) এবং আবূ মারসাদ গানাভী (রাঃ) কে অশ্ব
বের করে নির্দেশ দিলে যে, তোমরা রওয়ানা হয়ে যাও এবং ‘রওযায়ে খাখে’ গিয়ে পৌছ । সেখানে
একজন মুশরিক স্ত্রীলোক পাবে । তার কাছে হাতিব ইব্ন আবূ বালতার দেওয় মুশরিকদের নিকট/জন্য
একখানি পত্র আছে । আমরা ঠিক সেই জায়গাতেই তাকে পেয়ে গেলাম, যেখানকার কথা রাসূলুল্লাহ
(সাঃ) বলেছিলেন । ঐ স্ত্রীলোকটি তার এক উটের উপর সাওয়ার ছিল । আমরা তাকে জিজ্ঞাসা করলাম
যে, তোমার কা্ছে যে পত্রখানি আছে তা কোথায়? সে বললোঃ আমার সাথে কোন পত্র নেই । তখন
আমরা তার উটসহ তাকে বসালাম এবং তার সাওয়ারীর আসবাবপত্রের তল্লাশি করলাম । কিন্তু আমরা
কিছুই(পত্রখানা) খুঁজে পেলাম না । আমার দ‘জন সাথী বললেনঃ পত্রখানা তো পাওয়া গেলনা ।
আমি বললামঃ আমার জানা আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) অযথা কথা বলেন নি । তখন তিনি স্ত্রীলোকটিকে
ধমকিয়ে বললেনঃ তোমাকে অবশ্যই পত্রখানা বের করে দিতে হবে, নতুবা আমি তোমাকে উলঙ্গ করে
তল্লাশি নবে । এরপর সে যখন আমার দৃঢ়তা দেখলো, তখন সে বাধ্য হয়ে তার কোমরে পেচানো চাদরে
হাত দিয়ে ঐ পত্রখানা বের করে দিল । তারপর আমরা তা নিয়ে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর কাছে পৌছলাম
। তখন তিনি হাতিব (রাঃ) কে জিজ্ঞাসা করলেনঃ হে হাতিব! তুমি কেন এমন কাজ করলে? তিনি
বললেনঃ আমার মনে এমন কোন দুঃসংকল্প নেই যে, আমি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রতি ঈমান ও
বিশ্বাস হারিয়ে ফেলি । আমি আমার দৃঢ় মনোভাব পরিবর্তন করিনি এবং আমি ধর্মও বদল করিনি
। এই পত্রখানা দ্বারা আমার নিছক উদে্দেশ্য ছিল যে, এতে মক্কাবাসীদের উপর আমার দ্বারা
এমন এহসান হোক, যার ফলে আল্লাহ তা‘আলা আমার পরিবার ও সম্পদ নিরাপদে রাখবেন । আর সেখানে
আপনার অন্যান্য সাহাবীদের এমন লোক আছেন যাঁদের দ্বারা আল্লাহ তা‘আলা তাদের পরিবার ও
সম্পদের নিরাপত্তা বিধান করে দেবেন । তখন নবী (সাঃ)বললেন : হাতিব ঠিক কথাই বলেছে ।
সুতরাং তোমরা তাকে ভাল ছাড়া অন্য কিছুই বলো না । রাবী বলেন : উমর ইব্ন খাত্তাব (রাঃ)
বললেন, তিনি নিশ্চয় আল্লাহ ও তাঁর রাসূল এবং মু‘মিনদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন
। অতএব আমাকে ছেড়ে দিন আমি তাঁর গর্দান উড়িয়ে দেই । রাবী বলেন, তখন নবী (সাঃ) বললেনঃ
হে উমর! তোমার কি জানা নেই যে, নিশ্চয়ই আল্লাহ তা‘আলা বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণকারীদের সম্পর্কে
জ্ঞাত আছেন এবং ঘোষনা দিয়েছেন যে, তোমরা যা ইচ্ছা করতে পার । নিশ্চয়ই তোমাদের জন্য
জান্নাত নির্ধারিত হয়ে আছে । রাবী বলেনঃ তখন উমর (রাঃ) এর দু‘চোখ দিয়ে অশ্রু ঝরতে লাগলো
। তিনি বললেন আল্লাহ ও তাঁর রাসূলই সবচেয়ে ভাল জানেন ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন