শুক্রবার, ১৩ জুলাই, ২০১২

হাদিস নং: ৫৮২০ (অনুমতি চাওয়া অধ্যায়)

৫৮২০/২৭: ইব্রাহীম ইব্ন মূসা (রঃ) ……… হযরত উসামা ইব্ন যায়দ (রাঃ) থেকে বর্ণিত । একবার নবী (সাঃ) এমন একটি গাধার উপর সাওয়ার হলেন, যার জ্বীনের নীচে ফাদাকের তৈরী একখানি চাদর ছিল । তিনি উসামা ইব্ন যায়দকে নিজের পেছনে বসিয়েছিলেন । তখন তিনি হারিস ইব্ন খাযরাজ গোত্রের সা’দ ইব্ন উবাদা (রাঃ) এর দেখাশোনার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হচ্ছিলেন । এটি ছিল বদর যুদ্ধের আগের ঘটনা । তিনি এমন এক মজলিসের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন, যেখানে মুসলমান, প্রতিমাপূজক, মুশরিক ও ইয়াহুদী ছিল । তাদের মধ্যে আব্দুল্লাহ ইব্ন উবাই ইব্ন সালূল ও ছিল । আর এ মজলিসে আব্দুল্লাহ ইব্ন রাওয়াহা (রাঃ) ও উপস্থিত ছিলেন । যখন সাওয়ারীর পদাঘাতে উড়ন্ত ধুলাবালী মজলিসকে ঢেকে ফেলছিল । তখন আব্দুল্লাহ ইব্ন উবাই তার চাদর দিয়ে নাক ঢাকল । তারপর বললঃ তোমরা আমাদের উপর ধুলাবালী উড়িয়োনা । তখন নবী (সাঃ) তাদের সালাম করলেন । তারপর এখানে থামলেন ও সাওয়ারী থেকে নেমে তাদের আল্লাহর প্রতি আহবান করলেন এবং তাদের কাছে কুরআন পাঠ করলেন । তখন আব্দুল্লাহ ইব্ন উবাই ইব্ন সালূল বললঃ হে আগত ব্যক্তি! আপনার এ কথার চেয়ে সুন্দর আর কিছু নেই । তবে আপনি যা বলেছেন, যদিও তা সত্য, তবুও আপনি আমাদের মজলিসে এসব বলে আমাদের বিরক্ত করবেন না । আপনি আপনার নিজ ঠিকানায় ফিরে যান । এরপর আমাদের মদ্য থেকে কউ আপনার নিকট গেলে তাকে এসব কথা বলবেন । তখন ইব্ন রাওয়াহা (রাঃ) বললেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ্! আপনি আমাদের মজলিসে আসবেন, আমরা এসব কথা পছন্দ করি । তখন মুসলিম, মুশরিক ও ইয়াহুদীদের মধ্যে পরস্পরগালাগালি শুরূ হয়ে গেল । এমন কি তারা একে অন্যের উপর আক্রমণ করতে উদ্যত হল । তখন রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) তাদের থামাতে লাগলেন । অবশেষে তিনি তাঁর সাওয়ারীতে আরোহণ করে রওয়ানা হলেন এবং সা’দ ইব্ন উবাদার কাছে পৌছলেন । তারপর তিনি বললেন হে সা’দ! আবূ হূবাব অর্থা আব্দুল্লাহ ইব্ন উবাই কি বলেছে, তা কি তুমি শুনোনি ? সা’দ (রাঃ) বললেনঃ সে এমন কথাবার্তা বলেছে । তিনি আরো বললেনঃ ইয়া রাসূলুল্লাহ! আপনি তাকে মাফ করে দিন । আর তার কথা ছেড়ে দিন । আল্লাহর কসম! আল্লাহ তা’আলা আপনাকে যেসব নিয়ামত দান করার ছিল তা সবই দান করেছেন । পক্ষান্তরে এ শহরের অধিবাসীরা তো পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে, তারা তাকে রাজ মুকুট পরাবে । আর তার মাথায় রাজকীয় পাগড়ী বেঁধে দিবে । কিন্ত আল্লাহ তা’আলা আপনাকে যে দীনে হক দান করেছেন, তা দিয়ে তিনি তাদের সিদ্ধান্তকে বাতিল করে দিয়েছেন । ফলে সে (ক্ষোভানলে) জ্বলছে ।   এজন্যই সে আপনার সঙ্গে যে আচরণ করেছে, তা আপনি নিজেই প্রত্যক্ষ করেছেন । তারপর নবী (সাঃ) তাকে মাফ করে দিলেন ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন