৬৫৪৪/৩৪: আবদুল্লাহ্
ইব্ন সাব্বাহ (রহঃ) . . . . . হযরত আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত । তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্
(সাঃ) বলেছেনঃ যখন কিয়ামত নিকটবর্তী হয়ে যাবে তখন মু‘মিনের স্বপ্ন খুব কমই অবাস্তবায়িত
থাকবে । আর মু‘মিনের স্বপ্ন নবুয়তের ছেচল্লিশ ভাগের এক ভাগ । আর নবুয়তের কোন কিছুই
অবাস্তব হতে পারে না । রাবী মুহাম্মাদ (রহঃ) বলেন, আমি এরূপ বলছি । তিনি বলেন, এ কথা
বলা হয়ে থাকে যে, স্বপ্ন তিন প্রকার, মনের কল্পনা, শয়তানের পক্ষ হতে ভীতি প্রদর্শন
এবং আল্লাহ্ এর তরফ হতে সুসংবাদ । তাই যদি কেউ অপছন্দনীয় কিছু দেখে তবে সে যেন তা কারো
কাছে বর্ণনা না করে । বরং উঠে যেন (নফল) সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করে নেয় । রাবী বলেন,
স্বপ্নে শৃংখল দেখা অপছন্দনীয় মনে করা হত এবং পায়ে বেড়ি দেখাকে তারা পছন্দ করতেন ।
বলা হত, পায়ে বেড়ি দেখার ব্যাখ্যা হলো দ্বীনের ওপর অবিচল থাকা । কাতাদা, ইউনূস, হিশাম
ও আবূ হিলাল (রহঃ) . . . . . হযরত আবূ হুরায়রা (রাঃ) সুত্রে নাবী (সাঃ) থেকে উক্ত হাদীসকে
বর্ণনা করেছেন । আর কেউ কেউ এসবকে হাদীসের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করেছেন । (পক্ষান্তরে)
আউদের বর্ণনাকৃত হাদীস সুষ্পষ্ট । ইউনুস (রহঃ) বলেছেনঃ আমি বন্ধনের ব্যাখ্যাকে নাবী
(সাঃ) -এর পক্ষ থেকেই মনে করি । আবূ আবদুল্লাহ [ইমাম বুখারী (রহঃ)] বলেনঃ শৃংখল গলদেশেই
বাঁধা হয় ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন