৬৫৫৫/৪৫: উবায়দুল্লাহ্
ইব্ন সাঈদ (রহঃ) . . . . . হযরত ইব্ন উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত । তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্
(সাঃ) -এর বেশ কজন সাহাবী রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) -এর যুগে স্বপ্ন দেখতেন । অতঃপর তারা
রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) -এর কাছে তা বর্ণনা করতেন । আর রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) এর ব্যাখ্যা
দিতেন যা আল্লাহ্ ইচ্ছা করতেন । আমি তখন অল্প বয়সী যুবক । আর বিয়ের আগে মসজিদই ছিলো
আমার ঘর । আমি মনে মনে নিজেকে সম্বোধন করে বললাম, যদি তোমার মধ্যে কোন কল্যাণ থাকত
তাহলে তুমি তাদের ন্যায় স্বপ্ন দেখতে । আমি এক রাতে বিছানায় শুয়ে শুয়ে বললাম, হে আল্লাহ!
আপনি যদি জানেন যে, আমার মধ্যে কোন কল্যাণ নিহিত আছে তাহলে আমাকে কোন একটি স্বপ্ন
দেখান । আমি ঐ অবস্থায়ই (ঘুমিয়ে) রইলাম । দেখলাম আমার কাছে দু-জন ফেরেশতা এসেছেন ।
তাদের প্রত্যেকের হাতেই লোহার একটি করে হাতুড়ি । তারা আমাকে নিয়ে (জাহান্নামের দিকে)
অগ্রসর হচ্ছেন । আর আমি তাদের উভয়ের মাঝখানে থেকে আল্লাহ্ এর কাছে দোয়া করছি, হে আল্লাহ্!
আমি জাহান্নাম থেকে আপনার আশ্রয় প্রার্থনা করছি । এরপর আমাকে দেখান হল যে, একজন ফেরেশতা
আমার কাছে এসেছেন । তাঁর হাতে লোহার একটি হাতুড়ি । সে আমাকে বলল, তোমার অবশ্যই কোন
ভয় নেই । তুমি খুবই ভাল লোক, যদি বেশি করে সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করতে । তাঁরা আমাকে
নিয়ে চলল, অবশেষে তারা আমাকে জাহান্নামের (তীরে এনে) দাঁড় করাল, (যা দেখতে) কুপের ন্যায়
গোলাকার । আর কূপের ন্যায় এরও রয়েছে অনেক শিং । আর দু-শিং-এর মাঝখানে একজন ফেরেশতা,
যার হাতে লোহার একটি হাতুড়ি । আর আমি এতে কিছু লোককে (জাহান্নামে) শিকল পরিহিত দেখলাম
। তাদের মাথা ছিল নিচের দিকে । কুরাইশের কতক ব্যাক্তিকে তথায় আমি চিনে ফেললাম । অতঃপর
তারা আমাকে ডানদিকে নিয়ে ফিরল । এ ঘটনা (স্বপ্ন) আমি হযরত হাফসা (রাঃ)-এর নিকট বর্ণনা
করলাম । আর হযরত হাফসা (রাঃ) তা রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) -এর নিকট বর্ণনা করলেনঃ তখন রাসূলুল্লাহ্
(সাঃ) বললেনঃ আবদুল্লাহ্ তো সৎকর্মপরায়ন লোক । নাফি (রহঃ) বলেনঃ এরপর থেকে
তিনি সর্বদা বেশি করে (নফল) সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করতেন ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন