৬৯২৬/৫৯: কবীসা
(রহঃ) . . . . . হযরত আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত । তিনি বলেছেন, নাবী (সাঃ)
এর সমীপে সামান্য কিছু স্বর্ণ পাঠানো হলে তিনি চারজনকে বণ্টন করে দেন । ইসহাক ইব্ন
নাসর (রহঃ) . . . . . হযরত আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত । তিনি বলেছেন, হযরত আলী
(রাঃ) ইয়ামানে অবস্হানকালে নাবী (সাঃ) -এর কাছে কিছু মাটি মিশ্রিত সোনা পাঠিয়েছিলেন
। নাবী (সাঃ) বনূ মুজাশি গোত্রের আকরা ইব্ন হাবিস হানযালী, উয়ায়না ইব্ন হিসন ইব্ন বদর
ফাযারী, আলকামা ইব্ন উলাছা আমিরী ও বনূ কিলাবের একজন এবং বনূ নাবহান গোত্রের যায়িদ
আল খায়ল তাঈর মধ্যে তা বন্টন করে দেন । এই কারণে কুরাইশ ও আনসারীগণ অন্তুষ্ট হয়ে বলল,
নাবী (সাঃ) নাজদবাসী সরদারদেরকে দিচ্ছেন । আর আমাদেরকে বিমুখ করছেন । এই প্রেক্ষিতে
নাবী (সাঃ) বললেনঃ আমি তাদের হৃদয় আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছি । তখন কোটরাগত চোখ, উচু
কপাল, অধিক দাড়ি, উচ্চ চোয়াল ও মুণ্ডানো মাথা বিশিষ্ট এক ব্যাক্তি সামনে এসে বলল,
হে মুহাম্মাদ (সাঃ)! আল্লাহকে ভয় কর । নাবী (সাঃ) বললেনঃ আমিই যদি তার নাফরমানী করি,
তবে তাঁর অনুগত হবে আর কে? আর এজন্যই তিনি আমাকে পৃথিবীর লোকের উপর আমানতদার নির্ধারণ
করেছেন । অথচ তোমরা আমাকে আমানতদার মনে করছ না । এমন সময় দলের মধ্য থেকে এক লোক, সম্ভবত
তিনি হযরত খালিদ ইব্ন ওয়ালিদ (রাঃ), সেই ব্যাক্তিটিকে হত্যা করার জন্য নাবী (সাঃ) এর
কাছে অনুমতি চাইলে তিনি তাকে নিষেধ করলেন । সে লোকটি চলে যাওয়ার পর নাবী (সাঃ) বললেনঃ
এ ব্যাক্তির বংশ থেকে এমন কিছু লোক আসবে, যারা কুরআন পড়বে, তবে কুরআন তাদের কন্ঠনালী
অতিক্রম করবে না । তারা ইসলাম থেকে এমনভাবে বের হয়ে যাবে, যেভাবে শিকারের দেহ ভেদ করে
তীর বের হয়ে যায় । মূর্তীপূজারীদেরকে তারা ছেড়ে দিয়ে মুসলমানদেরকে হত্যা করবে । যদি
আমি তাদেরকে পাই, তাহলে আদ জাতির হত্যার মত তাদেরকে হত্যা করব ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন