৬৪৮৬/০৪: কুতায়বা (রহঃ) . . . . . হযরত তালহা ইব্ন উবায়দুল্লাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, জনৈক অবিন্যাস্ত কেশধারী বেদুঈন রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) এর কাছে এসে বলল, হে আল্লাহ্ এর রাসূল (সাঃ)! আল্লাহ্ আমার উপর সালাত (নামায/নামাজ) থেকে কি ফরয করেছেন, তা বাতলে দিন । তিনি বললেনঃ পাঞ্ছেগানা সালাত (নামায/নামাজ), তবে তুমি কিছু নফল পড়তে পার । সে বলল, আল্লাহ্ আমার উপর রোযা থেকে কি ফরয করেছেন তা আমাকে অবহিত করূন । তিনি বললেনঃ রমযান মাসের রোযা । তবে তুমি কিছু নফল আদায় করতে পার । সে বলল, আল্লাহ্ আমার উপর যাকাত থেকে কি ফরয করেছেন সে সম্পর্কে আমাকে অবহিত করূন । বর্ণনাকারী বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) তাকে ইসলামী হুকুম আহ্কাম সম্পর্কে অবহিত করলেন । সে বলল, ঐ সত্তার কসম! যে আপনাকে সম্মানিত করেছে । আমি নফল কিছু করব না এবং আল্লাহ্ আমার উপর যা ফরয করেছেন তা থেকে কমবেও না । তা শুনে রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) বললেনঃ যদি লোকটি এর উপর স্থিত থাকে, তাহলে সফলকাম হয়েছে । যদি এ সত্যের উপর স্থিত থাকে তাহলে তাকে জান্নাতে দাখিল করা হবে । কোন কোন মনীষী বলেন, একশ বিশটি উটের যাকাত হল দুটি হিক্কা । যদি যাকাত এড়ানোর জন্য সে এগুলো স্বেচ্ছায় ধ্বংস করে ফেলে অথবা দান করে দেয় অথবা অন্য কোন কৌশল অবলম্বন করে যাকাত থেকে বেঁচে থাকার জন্য তাহলে তার উপর কোন কিছু ওয়াজিব হবে না ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন