৬৫০১/১৯: উবায়দ ইব্ন ইসমাঈল (রহঃ) . . . . . হযরত আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত । তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) মিষ্টান্ন ও মধু পছন্দ করতেন এবং যখন আসরের সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করে নিতেন তখন তিনি তাঁর স্ত্রীদের কাছে ঘুরে বেড়াতেন এবং তাঁদের কাছে উপস্থিত হতেন । একদা তিনি হযরত হাফসা (রাঃ) এর ঘরে প্রবেশ করলেন এবং সাধারণত যত সময় তাঁর কাছে অবস্থান করতেন এর চেয়ে অধিক সময় তাঁর কাছে অবস্থান করলেন । তাই আমি এর কারণ জিজ্ঞাসা করলাম । তখন আমাকে বলা হল যে, তার স্বগোত্রীয় এক মহিলা এক কৌটা মধু হাদিয়া পাঠিয়েছে । এ থেকে তিনি আল্লাহ্ এর রাসূল (সাঃ) কে কিছু পান করিয়েছেন । আমি মনে মনে বললাম, আল্লাহা এর কসম! আমরা অবশ্যই একটা কৌশল অবলম্বন করব । এরপর আমি এ ব্যাপারে হযরত সাওদা (রাঃ) এর সাথে আলোচনা করলাম । আমি বললাম, যখন তিনি তোমার ঘরে আসবেন, তখন তিনি অবশ্যই তোমার সন্নিকটে যাবেন । এ সময় তুমি তাঁকে বলবে, হে আল্লাহ্ এর রাসূল (সাঃ)! আপনি ‘মাগাফীর’ খেয়েছেন? তিনি অবশ্য না-ই বলবেন। তখন তুমি বলবে, তাহলে এ দুর্গন্ধ কিসের? আর রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) এর কাছে তাঁর থেকে দুর্গন্ধ পাওয়া যাওয়াটা খুবই গুরুতর মনে হত । তখণ তিনি বলবেনঃ হাফসা আমাকে মধুর শরবত পান করিয়েছে । তখন তুমি তাঁকে বলবে, তাহলে ঐ মধুর পোকা “উরফুত” গাছের রস আহরণ করেছে । আর আমিও একই কথা বলব । হে সাফিয়া! তুমিও তাঁকে এ কথা বলবে । যখন তিনি হযরত সাওদা (রাঃ) এর ঘরে এলেন, তখন হযরত সাওদা (রাঃ) বললেন, কসম ঐ সত্তার, যিনি ছাড়া আর কোন ইলাহ্ নেই । যখনই তিনি দরজার কাছে এলেন তখনই আমি তোমার ভয়ে তোমার শিখানো কথাগুলো বলতে উদ্যত হলাম । এরপর তিনি যখন সন্নিকটে এলন, তখন আমি বললাম, হে আল্লাহ্ এর রাসূল (সাঃ)! আপনি ‘মাগাফীর’ খেয়েছেন । তিনি বললেন, না । আমি বললাম, তাহলে এ দুর্গন্ধ কিসের? তিনি বললেন, হাফসা আমাকে মধুর শরবত পান করিয়েছে । আমি বললাম, তাহলে এ মধুর পোকা “উরফুত” (বৃক্ষের) রস আহরণ করেছে । হযরত আয়িশা (রাঃ) বললেন, এরপর রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) যখন আমার ঘরে এলেন, তখন আমিও তাঁকে অনুরূপ কথা বললাম । এরপর তিনি হযরত সাফিয়া (রাঃ) এর ঘরে গেলেন, সেও তাঁকে অনুরূপ কথা বলল । পুনরায় রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) যখন হযরত হাফসা (রাঃ) এর ঘরে প্রবেশ করলেন তখন তিনি তাঁকে বললেন, হে আল্লাহ্ এর রাসূল (সাঃ)! আপনাকে মধু পান করতে দিব কি? তিনি বললেনঃ এর কোন প্রয়োজন নেই । হযরত আয়িশা (রাঃ) বলেন, হযরত সাওদা (রাঃ) বললঃ সুবহানাল্লাহ্! আমরা তা হারাম করে দিলাম । হযরত আয়িশা (রাঃ) বললেন, আমি হযরত সাওদা (রাঃ) কে বললামঃ চুপ কর ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন