সোমবার, ৯ জুন, ২০১৪

হাদিস নং: ৬৯৩২ (জাহমিয়াদের মতের খন্ডন ও তাওহীদ প্রসঙ্গ অধ্যায়)

৬৯৩২/৬৫: ইয়াহইয়া ইব্ন বুকায়র (রহঃ) . . . . . হযরত আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত । তিনি বলেন, আমরা বললাম, ইয়া রাসুলুল্লাহ (সাঃ)! আমরা কিয়ামতের দিন আমাদের প্রতিপালকের দর্শন লাভ করব কি? তিনি বললেনঃ মেঘমুক্ত আকাশে তোমরা সুর্য দেখতে কোন বাধা প্রাপ্ত হও কি? আমরা বললাম, না । তিনি বললেনঃ সেদিন তোমরাও তোমাদের প্রতিপালককে দেখতে বাধা প্রাপ্ত হবে না । এতটুকু ব্যতীত যতটুকু সূর্য দেখার সময় পেয়ে থাক । সেদিন একজন ঘোষনাকারী ঘোষণা করবেন, যারা যে জিনিসের ইবাদত করতে, তারা সে জিনিসের কাছে গমন কর । এরপর যারা ক্রুশধারী ছিল, তারা যাবে তাদের ক্রুশের কাছে । মূর্তিপূজারীরা যাবে তাদের মূর্তির সাথে । সকলেই তাদের উপাস্যের সাথে যাবে । অবশিষ্ট থাকবে একমাত্র আল্লাহর ইবাদতকারীরা । নেককার ও গুনাহগার সবাই । এবং আহলে কিতাবের কিছু সংখ্যক লোকও থাকবে । অতঃপর জাহান্নামকে আনা হবে । সেটি তখন থাকবে মরীচিকার মত । ইহুদীদেরকে সম্বোধন করে জিজ্ঞাসা করা হবে, তোমরা কিসের ইবাদত করতে? তারা উত্তর করবে, আমরা আল্লাহর পূত্র উযায়র (আঃ) -এর ইবাদত করতাম । তখন তাদেরকে বলা হবে, তোমরা মিথ্যা বলছ । কারণ আল্লাহ্র কোন স্ত্রীও নেই এবং নেই তার কোন সন্তান । এখন তোমরা কি চাও? তারা বলবে, আমরা চাই, আমাদেরকে পানি পান করান । তখন তাদেরকে বলা হবে, তোমরা পানি পান কর । এরপর তারা জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হতে থাকবে । তারপর নাসারাদেরকে বলা হবে, তোমরা কিসের ইবাদত করতে? তারা বলে উঠবে, আমরা আল্লাহর পূত্র মসীহের ইবাদত করতাম । তখন তাদেরকে বলা হবে, তোমরা মিথ্যা বলছ । আল্লাহর কোন স্ত্রীও ছিল না, সন্তানও ছিল না । এখন তোমরা কি চাও? তারা বলবে, আমাদের ইচ্ছা আপনি আমাদেরকে পানি পান করতে দিন । তাদেরকে উত্তর দেওয়া হবে, তোমরা পান কর । তারপর তারা জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হতে থাকবে । পরিশেষে অবশিষ্ট থাকবে একমাত্র আল্লাহর ইবাদতকারীগগ । তাদের নেককার ও গুনাহগার সবাই । তাদেরকে লক্ষ্য করে বলা হবে, কোন জিনিস তোমাদেরকে আটকে রেখেছে? অথচ অন্যরা তো চলে গিয়েছে । তারা বলবে আমরা তো সেদিন তাদের থেকে পৃথক রয়েছি, যেদিন আজকের অপেক্ষা তাদের বেশি প্রয়োজন ছিল । আমরা একজন ঘোষণাকারীর এ ঘোষণানা দিতে শুনেছি যে যারা যাঁদের ইবাদত করত তারা যেন ওদের সাথে যায় । আমরা প্রতীক্ষা করছি আমাদের প্রতিপালকের জন্য । নাবী (সাঃ) বলেনঃ এরপর মহাপরাক্রমশালী আল্লাহ তাদের কাছে আগমন করবেন । এবার তিনি সে আকৃতিতে আগমন করবেন না, যেটিতে তাঁকে প্রথমবার ঈমানদারগণ দেখেছিলেন । এসে তিনি ঘোষণা দিবেন - আমি তোমাদের প্রতিপালক, সবাই তখন বলে উঠবে আপনিই-আমাদের প্রতিপালক । আর সেদিন নাবীগণ ছাড়া তাঁর সঙ্গে কেউ কথা বলতে পারবে না । আল্লাহ তাদেরকে বলবেন, তোমাদের এবং তাঁর মাঝখানে পরিচায়ক কোন আলামত আছে কি? তারা বলবেনঃ পায়ের নলা । তখন পায়ের নলা খূলে দেয়া হবে । এই দেখে ঈমানদারগণ সবাই সিজদায় পতিত হবে । বাকি থাকবে  তারা, যারা লোক-দেখানো এবং লোক-শোনানো সিজদা করেছিল । তবে তারা সিজদার মনোবৃত্তি নিয়ে সিজদা করার জন্য যাবে, কিন্তু তাদের মেরু-দন্ড একটি তক্তার ন্যায় শক্ত হয়ে যাবে । এমন সময় পুল স্হাপন করা হবে জাহান্নামের উপর । সাহাবীগন আরয করলেন, সে পূলটি কি ধরনের হবে ইয়া রাসুলুল্লাহ (সাঃ)? তিনি বললেনঃ দুর্ঘম পিচ্ছিল জায়গা । এর ওপর আংটা ও হুক থাকবে, শক্ত চওড়া উল্টো কাঁটা বিশিষ্ট হবে, যা নাজদ দেশের সাদান বৃক্ষের কাটার মত হবে । সে পূলের উপর দিয়ে ঈমানদারগণের কেউ অতিক্রম করবে চোখের পলকের মতো, কেউ বিজলীর মতো, কেউ বা বাতাসের মতো আবার কেউ তীব্রগামী ঘোড়া ও সাওয়ারের মতো ।
তবে মুক্তি প্রাপ্তগণ কেউ নিরাপদে চলে আসবেন, আবার কেউ জাহান্নামের আগুনে ক্ষতবিক্ষত হয়ে যাবে । একবারে শেষে পার হবে যে ব্যাক্তিটি, সে হেঁচড়িয়ে কোন রকমে পার হয়ে আসবে । এখন তোমরা হকের ব্যাপারে আমার অপেক্ষা বেশি কঠোর নও, যতটুকু সেদিন ঈমানদারগণ আল্লাহর সমীপে হয়ে থাকবে, যা তোমাদের কাছে সুস্পষ্ট হয়ে গিয়েছে । যখন ঈমানদারগন এই দৃশ্যটি অবলোকন করবে যে, তাদের ভাইদেরকে রেখে একমাত্র তারাই নাজাত পেয়েছে, তখন তারা বলবে, হে আমাদের রব! আমাদের সেসব ভাই কোথায়, যারা আমাদের সঙ্গে সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করত, রোযা পালন করত, নেক কাজ করত? তখন আল্লাহ তা‘আলা তাদেরকে বলবেনঃ তোমরা যাও, যাদের অন্তরে এক দীনার বরাবর ঈমান পাবে, তাদেরকে জাহান্নাম থেকে বের করে আন । আল্লাহ তা‘আলা তাদের মুখমন্ডল জাহান্নামের ওপর হারাম করে দিয়েছেন । এদের কেউ কেউ দু-পা ও দু-পায়ের নলার অধিক পর্যন্ত জাহান্নামের মধ্যে থাকবে । তারা যাদেরকে চিনতে পারে, তাদেরকে বের করবে । তারপর এরা আবার প্রত্যাবর্তন করবে । আল্লাহ আবার তাদেরকে বলবেনঃ- তোমরা যাও, যাদের অন্তরে অর্ধ দীনার পরিমাণ ঈমান পাবে তাদেরকে বের করে নিয়ে আসবে । তারা গিয়ে তাদেরকেই বের করে নিয়ে আসবে যাদেরকে তারা চিনতে পারবে । তারপর আবার প্রত্যাবর্তন করবে । আল্লাহ তাদেরকে আবার বলবেন, তোমরা যাও, যাদের অন্তরে অনু পরিমাণ ঈমান পাবে, তাদেরকে বের করে নিয়ে আসবে । তারা যাদেরকে চিনতে পাবে তাদেরকে বের করে নিয়ে আসবে । বর্ণনাকারী হযরত আবূ সাঈদ খূদরী (রাঃ) বলেনঃ তোমরা যদি আমাকে বিশ্বাস না কর, তাহলে আল্লাহর এ বানীটি পড়ঃ “আল্লাহ অণু পরিমানও জুলুম করেন না । এবং অণু পরিমান পূণ্য কাজ হলেও আল্লাহ তাকে দ্বিগুণ করেন (৪- ৪০)।” তারপর নাবী (সাঃ), ফেরেশতা ও মুমিনগণ সুপারিশ করবেন । তখন মহান পরাক্রমশালী আল্লাহ বলবেন, এখন একমাত্র আমার শাফাআতই অবশিষ্ট রয়েছে । তিনি জাহান্নাম থেকে একমুষ্টি ভরে এমন কতগুলো কাওমকে বের করবেন, যারা জ্বলে পূড়ে দগ্ধ হয়ে গিয়েছে । তারপর তাদেরকে বেহেশতের সামনে অবস্হিত ‘হায়াত’- নামক নহরে ঢালা হবে। তারা সে নহরের দু‘পার্শ্বে এমনভাবে উদ্ভূত হবে, যেমন পাথর এবং গাছের কিনারে বহন করে আনা আবর্জনায় বীজ থেকে তৃণ উদ্ভূত হয় । দেখতে পাও তন্মধ্যে সূর্যের আলোর অংশের গাছগুলো সাধারণত সবুজ হয়, ছায়ার অংশেরগুলো সাদা হয় । তারা সেখান থেকে মুক্তার দানার মত বের হবে । তাদের গর্দানে মোহর লাগানো হবে । জান্নাতে তারা যখন প্রবেশ করবে, তখন অপরাপর জান্নাতবাসীরা বলবেন, এরা হলেন রাহমান কর্তৃক মুক্তিপ্রাপ্ত যাদেরকে আল্লাহ তা‘আলা কোন নেক আমল কিংবা কল্যাণ কাজ ছাড়া জান্নাতে দাখিল করেছেন । তখন তাদেরকে ঘোষনা দেয়া হবেঃ তোমরা যা দেখেছ, সবই তো তোমাদের এর সাথে আরো সমপরিমান দেওয়া হল তোমাদেরকে ।
হাজ্জাজ ইব্ন মিনহাল (রহঃ) . . . . . হযরত আনাস ইব্ন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত । নাবী (সাঃ) বলেছেনঃ ঈমানদারদেরকে কিয়ামতের দিন আবদ্ধ করে রাখা হবে । পরিশেষে তারা পেরেশান হয়ে ওঠবে এবং বলবে, আমরা যদি আমাদের রবের কাছে কারো দ্বারা শাফাআত করাই যিনি আমাদের স্বস্তি দান করেন । তারপর তারা আদম (আঃ) -এর কাছে এসে বলবে, আপনিই তো সে আদম, যিনি মানবকুলের পিতা, স্বয়ং আল্লাহ্ আপন কুদরতের হাত দিয়ে আপনাকে সৃষ্টি করেছেন । আপনাকে বসবাসের সুযোগ প্রদান করেছেন তাঁর জান্নাতে, ফেরেশতাদের দ্বারা আপনাকে সিজদা করিয়েছেন এবং আপনাকে সব জিনিসের নামের তালীম দিয়েছেন । আমাদের এ স্হান থেকে নিস্কৃতি প্রদানের নিমিত্তে আপনার সেই রবের কাছে শাফাআত করুন । তখন আদম (আঃ) বলবেন, আমি তোমাদের এ কাজের জন্য নই । নাবী (সাঃ) বলেনঃ এরপর তিনি নিষিদ্ধ গাছের ফল খাওয়ার ভুলের কথাটি উল্লেখ করবেন । তিনি বলবেন, বরং তোমরা নূহ (আঃ) -এর কাছে যাও, যিনি পৃথিবীবাসীদের প্রতি প্রেরিত নাবীগণের মধ্যে প্রথম নাবী (সাঃ) । তারপর তারা নূহ (আঃ) -এর কাছে এলে তিনি তাদেরকে বলবেন আমি তোমাদের এ কাজের জন্য নই । আর তিনি না জেনে তাঁর রবের কাছে প্রার্থনার ভুলটি উল্লেখ করবেন এবং বলবেন বরং তোমরা রাহমানের সুহৃদ বন্ধু ইবরাহীম (আঃ) এর কাছে যাও । নাবী (সাঃ) বলেনঃ অতঃপর তারা ইবরাহীম (আঃ) -এর কাছে আসবে । তখন ইবরাহীম (আঃ) বলবেন, আমি তোমাদের এ কাজের জন্য নই । আর তিনি এরুপ তিনটি বাক্যের কথা উল্লেখ করবেন যেগুলো বাহ্যত বাস্তব-পরিপন্হী ছিল । পরে বলবেন, তোমরা বরং মূসা (আঃ) -এর কাছে যাও । তিনি আল্লাহ্র এমন এক বান্দা যাকে আল্লাহ্ তাওরাত দান করেছিলেন, তাঁর সাথে কথা বলেছিলেন এবং গোপন বাক্যালাপের মাধ্যমে তাঁকে সান্নিধ্য দান করেন । রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেনঃ সবাই তখন মূসা (আঃ) -এর কাছে আসবে । তিনিও বলবেন, আমি তোমাদের এ কাজের জন্য নই । এবং তিনি (অনিাচ্ছাকৃত) হত্যার ভুলের কথা উল্লেখ করবেন । তিনি বলবেন, তোমরা বরং ঈসা (আঃ) -এর কাছে যাও । যিনি আল্লাহর বান্দা ও তাঁর রাসুল এবং তাঁর রুহ ও বানী । রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেনঃ তারা সবাই তখন ঈসা (আঃ) -এর কাছে আসবে । ঈসা (আঃ) বলবেন, আমি তোমাদের এ কাজের জন্য নই । তিনি বলবেন, তোমরা বরং মুহাম্মদ (সাঃ) -এর কাছে যাও । তিনি আল্লাহ্র এমন এক বান্দা যাঁর পূর্বের ও পরের ভূল মাফ করে দিয়েছেন । রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেনঃ তারা তখন আমার কাছে আসবে । আমি তখন আমার রবের কাছে তাঁর দরবারে হাযির হওয়ার অনুমতি চাইব । আমাকে তাঁর কাছে যাওয়ার অনুমতি প্রদান করা হবে । তাঁর দর্শন লাভ করার সাথে সাথে আমি সিজদায় পড়ে যাবো । তিনি আমাকে সে অবস্থায় যতক্ষন রাখতে চাইবেন ততক্ষন বাখবেন । এরপর আল্লাহ তা‘আলা বলবেন, মুহাম্মাদ, মাথা ওঠান; বলুন, আপনার কথা শোনা হবে, আর শাফাআত করুন, কবুল করা হবে, চান আপনাকে দেওয়া হবে । রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বললেনঃ তখন আমি আমার মাথা ওঠাবো । তারপর আমি আমার প্রতিপালকের এমন স্তুতি ও প্রশংসা (হামদ ও সানা) করবো যা তিনি আমাকে শিখিয়ে দিবেন । এরপর আমি সুপারিশ করবো, তবে আমার জন্য একটা সীমা নির্ধারণ করা হবে । আমি বের হয়ে তাদেরকে জান্নাতে প্রবেশ করাবো । বর্ণনাকারী কাতাদা (রহঃ) বলেন, আমি আনাস (রাঃ)-কে এ কথাও বলতে শুনেছি যে, আমি বের হবো এবং তাদেরকে জাহান্নাম থেকে বের করবো এবং জান্নাতে প্রবেশ করাব । তারপর আমি ফিরে এসে আমার প্রতিপালকের দরবারে হাযির হওয়ার অনুমতি চাইব । আমাকে অনুমতি দেওয়া হবে । আমি তাঁকে দেখার পর সিজদায় পড়ে যাব । আল্লাহ তা‘আলা যতক্ষন রাখতে চাইবেন, আমাকে সে অবস্হায় রাখবেন । তারপর বলবেন, মুহাম্মদ! মাথা উঠান। বলুন, তা শোনা হবে, শাফাআত করুন, কবুল করা হবে, চান দেওয়া হবে । রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেনঃ তারপর আমি আমার মাথা উথাবো । আমার রবের এমন প্রশংসা ও স্তুতি করব, যা তিনি আমাকে শিখিয়ে দিবেন । রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেনঃ এরপর আমি শাফাআত করব, আমার জন্য একটা সীমা নির্ধারণ করা হবে । আমি বের হয়ে তাদেরকে জান্নাতে প্রবেশ করাব । বর্ণনাকারী কাতাদা (রহঃ) বলেনঃ আমি হযরত আনাস (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি, নাবী (সাঃ) বলেছেনঃ তখন আমি বের হব এবং তাদেরকে জাহান্নাম থেকে বের করব এবং জান্নাতে প্রবেশ করাব। তারপর তৃতীয়বারের মত ফিরে আসব এবং আমার রবের দরবারে প্রবেশ করার অনুমতি চাইব । আমাকে অনুমতি দেওয়া হবে । আমি তাঁকে দেখার পর সিজদায় পড়ে যাব । আল্লাহ্ আমাকে সে অবস্থায় রাখবেন, যতক্ষন তিনি চাইবেন । তারপর আল্লাহ বলবেন, মুহাম্মাদ! মাথা উঠান এবং বলুন, শোনা হবে, সুপারিশ করুন, তা কবুল করা হবে, চান, দেওয়া হবে। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেনঃ আমি মাথা উঠিয়ে আমার রবের এমন স্তুতি ও প্রশংসা (হামদ ও সানা) করব, যা আমাকে শিখিয়ে দেবেন । রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেনঃ এরপর আমি শাফাআত করব, আমার জন্য একটা সীমা নির্ধারন করা হবে । তারপর আমি বের হয়ে তাদেরকে জান্নাতে প্রবেশ করাব । বর্ণনাকারী কাতাদা (রহঃ) বলেনঃ আমি হযরত আনাস (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি, নাবী (সাঃ) বলেছেনঃ আমি সেখান থেকে বের হয়ে তাদেরকে জাহান্নাম থেকে বের করে জান্নাতে প্রবেশ করাব । পরিশেষে জাহান্নামে অবশিষ্ট থাকবে একমাত্র তারা । কুরআন যাদেরকে আটকে রেখেছে । অর্থা যাদের ওপর জাহান্নামের স্হায়ীবাস অপরিহার্য হয়ে পড়েছে । হযরত আনাস (রাঃ) বলেনঃ তিনি কুরআনের এ আয়াত তিলাওয়াত করলেন । মহান আল্লাহর বানীঃ “আশা করা যায় তোমার প্রতিপালক তোমাকে প্রতিষ্ঠিত করবেন প্রশংসিত স্থানে (১৭-৭৯) এবং তিনি বললেনঃ তোমাদের নাবী (সাঃ) -এর জন্য প্রতিশ্রুত ‘মাকামে মাহমূদ’ হচ্ছে এটিই ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন