৬৯৩৯/৭২: মুহাম্মাদ
ইব্ন মূসান্না (রহঃ) . . . . . হযরত আবূ বাকরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, নাবী (সাঃ) বলেছেনঃ
আল্লাহ আসমান ও যমীনকে যেদিন সৃষ্টি করেছিলেন, সেদিনকার অবস্হায় যামানা পূনরায় প্রত্যবর্তন
করেছে । বারটি মাসে এক বছর হয় । তন্মধ্যে চারটি মাস (বিশেষভাবে) মর্যাদাসম্পন্ন । যুলকাদা,
যুলহাজ্জ (হজ্জ) ও মুহাররম এই তিনটা মাস একাধারে এসে থাকে । আর মুযার গোত্রের রজব মাস
যা জুমাদা ও শাবান মাসের মাঝে । তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, এটি কোন মাস? আমরা বললাম, আল্লাহ
ও তার রাসূলই ভালো জানেন । এরপর রাসুলুল্লাহ (সাঃ) চুপ থাকলেন, যদ্দরূন আমরা ভেবে ছিলাম,
তিনি এই নামটি পাল্টিয়ে অন্য কোন নাম রাখবেন । তিনি বললেনঃ এটি কি যুলহাজ্জ (হজ্জ)
নয়? আমরা উত্তর করলাম, হ্যা, এটি যুলহাজ্জার (হজ্জ) মাস । তিনি বললেনঃ এটি কোন শহর?
আমরা বললাম, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলই বেশি ভাল জানেন । তিনি নীরব রইলেনঃ আমরা ভেবেছিলাম
তিনি হয়ত শহরটির নাম পাল্টিয়ে অন্য কোন নাম রেখে দিবেন । তিনি বললেনঃ এটি কি সেই (পবিত্র)
শহরটি নয়? আমরা উত্তর করলাম, হ্যা । তারপর তিনি পূনরায় জিজ্ঞাসা করলেন, আজকের এই দিনটি
কোন দিন? আমরা উত্তর করলাম, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলই বেশি ভাল জানেন । তিনি নীরব রইলেন
যার দরূন আমরা ভাবলাম তিনি সম্ভবত এর নামটা পাল্টিয়েই দিবেন । তিনি বললেনঃ এটি কি কুরবানীর
দিন নয়? আমরা -বললাম, হ্যা । নাবী (সাঃ) তখন বললেনঃ তোমাদের রক্ত এবং সম্পদ বর্ণনাকারী
মুহাম্মাদ ইব্ন সীরীন (রহঃ) বলেছেন, আমার ধারণা
হচ্ছে, হযরত আবূ বাকরা (রাঃ) “তোমাদের ইজ্জত” কথাটিও বর্ণনা করেছিলেন, অর্থাৎ ওসব এ পবিত্র দিনে, এ পবিত্র শহরে, এ পবিত্র মাসটির ন্যায় পবিত্র
ও মর্যাদা সম্পন । এবং অতিশীঘ্রই তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের সাক্ষাৎ লাভ করবে । তখন তিনি তোমাদেরকে তোমাদের আমল সম্পর্কে জিজ্ঞাসা
করবেন । সাবধান! আমার ওফাতের পরে তোমরা পথভ্রষ্ট হয়ে একে অপরকে হত্যা করো না । সাবধান!
উপস্থীতগণ অনুপস্হিত লোকদের কাছে (কথাগুলো) পৌছিয়ে দেবে । কেননা, হয়ত যার কাছে (রেওয়াত)
পৌছানো হবে, তাদের মধ্যে এমন ব্যাক্তিও থাকবে, যারা (রেওয়াত) প্রত্যক্ষ শ্রোতার চাইতে
বেশি সংরক্ষণকারী হবে । মুহাম্মাদ ইব্ন সীরীন (রহঃ) যখন এ হাদীসটি বর্ণনা করতেন, তখন
বলতেন, নাবী (সাঃ) সত্যিই বলেছিলেন । অতঃপর নাবী (সাঃ) বললেনঃ আমি পৌছিয়ে দিয়েছি কি?
আমি পৌছিয়ে দিয়েছি কি?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন