৬৮৮৬/১৯: ইবরাহীম
ইব্ন মুনযির (রহঃ) . . . . . হযরত জাবির ইব্ন আবদুল্লাহ সালামী (রাঃ) থেকে বর্ণিত ।
তিনি বলেনঃ রাসুলুল্লাহ (সাঃ) তার সাহাবাগণকে সকল কাজে এভাবে ইসতিখারা শিক্ষা দিতেন,
যেভাবে তিনি তাদের কুরআনের শিক্ষা দিতেন । তিনি বলতেনঃ তোমাদের কেউ যখন কোন কাজ করার
ইচ্ছা করে, তখন সে যেন দুই রাকাত নফল সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করে নেয় । তারপর এ বলে
দোয়া করে, হে আল্লাহ! আমি আপনারই ইল্মের সাহায্যে মঙ্গল তলব করছি । আর আপনারই কুদরতের
সাহায্যে আমি শক্তি অন্বেষণ করছি । আর আপনারই অনুগ্রহ প্রার্থনা করছি । কেননা, আপনিই
শক্তি রাখেন, আমি কোন শক্তি রাখি না । আপনিই সব কিছু জানেন, আমি কিছু জানিনা । গায়বী
বিষয়াদির বিশেষজ্ঞ একমাত্র আপনি । এরপর সালাত (নামায/নামাজ) আদায়কারী মনে মনে স্বীয়
উদ্দেশ্য উল্লেখ করে বলবে, হে আল্লাহ! আপনি যদি জানেন যে, এ কাজটি আমার জন্য বর্তমানে
ও ভবিষ্যতে মঙ্গলজনক বর্ননাকারী বলেনঃ কিংবা রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এই স্থানে বলেছেনঃ আমার
দ্বীন-দুনিয়া ও পরিনামের ক্ষেত্রে কল্যাণকর, তা হলে আমার জন্য তা নির্ধারন করে দিন
এবং তা সুগম করে দিন, আর আমার জন্য এতে বরকত প্রদান করুন । হে আল্লাহ! আর যদি আপনি
জানেন যে, এটি আমার দ্বীন, দুনিয়া ও পরিণামের ক্ষেত্রে অথবা আমার তাৎক্ষণিক ও আপেক্ষিক ব্যাপারে অমঙ্গলজনক, তবে তা থেকে আমাকে বিরত রাখুন
। আর নির্ধারণ করুন আমার জন্য যা হয় কল্যাণকর এবং সেটিতেই আমাকে সস্তৃষ্ট রাখুন ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন