৬৮৭৩/০৬: আবূ নুমান
(রহঃ) . . . . . হযরত উসামা ইব্ন যায়িদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ এক সময় আমরা
নাবী (সাঃ) -এর নিকট উপস্থিত ছিলাম । এমন সময় নাবী (সাঃ) এর কোন-এক কন্যার পক্ষ থেকে
একজন সংবাদ বাহক এসে তাকে জানাল যে, তার কন্যার পূত্রের মৃত্যুযন্ত্রনা আরম্ভ হয়েছে
। নাবী (সাঃ) সংবাদ বাহককে বলে দিলেন, তুমি ফিরে যাও এবং তাকে জানিয়ে দাও, আল্লাহ যা
নিয়ে নিয়েছেন এবং তিনি যা দিয়ে রেখেছেন সবেরই তিনি মালিক । তার কাছে প্রতিটি জিনিসের
মেয়াদ সুনির্ধারিত । সুতরাং তাকে গিয়ে সবর করতে এবং প্রতিদানের আশা রাখিতে বল । নাবী
(সাঃ) -এর কন্যা পূনরায় সংবাদ বাহককে পাঠালেন । সে এসে বলল, আপনাকে তার কাছে যাওয়ার
জন্য তিনি কসম দিয়ে বলেছেন । এরপর নাবী (সাঃ) যাওয়ার জন্য দাঁড়ালেন, তাঁর সঙ্গে হযরত
সা’দ ইব্ন উবাদা (রাঃ), হযরত মু’আয ইব্ন জাবাল (রাঃ)-ও দাড়িয়ে গেলেন । এরপর শিশুটিকে
নাবী (সাঃ) -এর কাছে দেওয়া হল । তখন শিশুটির শ্বাস এমনভাবে ক্ষীণ হয়ে আসছিল, যেন তা
একটি মশকে রয়েছে । তখন নাবী (সাঃ)-এর চোখ সিক্ত হয়ে গেল । হযরত সা’দ ইব্ন উবাদা (রাঃ)
বললেনঃ ইয়া রাসুলুল্লাহ (সাঃ) (এটা কি?)তিনি বললেনঃ এটিই রহমত দয়ামায়া, যা আল্লাহতার
বান্দাদের অন্তরে সৃষ্টি করে দিয়েছেন । বস্তুত আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে যারা দয়ালু আল্লাহ তাদের প্রতিই দয়া প্রদর্শন করে থাকেন
।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন